অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় একাডেমিক গবেষণা ব্যবহারের ৫ কৌশল
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
আরও বেশি সংখ্যক সাংবাদিক যদি তাঁদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় একাডেমিক গবেষণার সন্নিবেশ ঘটাতেন, তাহলে হয়ত এমপক্সের প্রাদুর্ভাব সম্পর্কে বিশ্বকে আরও দ্রুততার সঙ্গে সতর্ক করা যেত।
গবেষকেরা কয়েক বছর ধরে, বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই ভাইরাসের (যা আগে মাঙ্কিপক্স নামে পরিচিত ছিল) বিস্তার নিয়ে নামকরা বিভিন্ন একাডেমিক জার্নালে তাঁদের গবেষণার ফলাফল তুলে ধরছিলেন।
সামাজিক সমস্যা অনুসন্ধান ও প্রভাবশালীদের জবাবদিহি করার একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার একাডেমিক গবেষণা। একাডেমিক গবেষণা থেকে তথ্য বা দিক নির্দেশনা পাওয়া, গবেষকদের সঙ্গে যৌথ উদ্যোগের মাধ্যমে সংবাদ কভারেজকে আরও শক্তিশালী করা এবং সাংবাদিকদের সহায়তায় অনুসন্ধান প্রক্রিয়ার প্রতিটি পর্যায়ে গবেষণার ব্যবহার নিয়ে গত ১৫ ডিসেম্বর এক ঘন্টার একটি প্রশিক্ষণ আয়োজন করে দ্য জার্নালিস্টস রিসোর্স।
ওয়েবিনারে অংশগ্রহণকারীরা প্রোপাবলিকার পুলিৎজারজয়ী অনুসন্ধানী প্রতিবেদক নীল বেদী এবং বিভিন্ন প্রতিবেদক-গবেষক যৌথ উদ্যোগে অংশগ্রহণকারী ও এর সমর্থক ক্লিভল্যান্ড স্টেট ইউনিভার্সিটির অপরাধবিদ র্যাচেল লভেলের কাছ থেকে এই বিষয় নিয়ে অনেক প্রায়োগিক পরামর্শ ও খুঁটিনাটি জেনেছেন।
এই লেখায় আমি কিছু টিপস শেয়ার করেছি যেন রিপোর্টাররা তাদের কাজে একাডেমিক জগতের সেরা পিয়ার-রিভিউড গবেষণাগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করার ক্ষেত্রে বিদ্যমান সাধারণ চ্যালেঞ্জগুলো উৎরে যেতে পারেন।
আপনি যদি প্রশিক্ষণটিতে অংশ না নিয়ে থাকেন অথবা সেটি আবারো দেখতে চান, তাহলে দয়া করে রেকর্ডিং দেখুন। সেই ওয়েবিনার থেকে আমার পছন্দের পাঁচটি কৌশল নিচে তুলে ধরলাম।
১. কোনো অনুসন্ধানী প্রকল্প শুরুর আগে বা প্রকল্পের প্রাথমিক পর্যায়ে, কোনো সমস্যা সম্পর্কে বা সমস্যার জানা-অজানা বিষয় নিয়ে সামগ্রিক ধারণা পেতে একাডেমিক গবেষণা ও গবেষকদের খোঁজ করুন।
বেদী বলেছেন, “কোনো অনুসন্ধানের শুরুতে যে বিষয়টি নিয়ে ঘাঁটাঘাটি করছেন, সাধারণভাবে সে বিষয় সম্পর্কে আপনার বিশেষজ্ঞ-জ্ঞান থাকে না। অনেক সময় বিষয়টি হয়ত আপনার কাছে একেবারে নতুন। কিন্তু আপনি এমন কিছু মানুষ পাবেন, যারা বছরের পর বছর ধরে সে বিষয়গুলো নিয়ে গবেষণা করছেন। তাই আপনি যদি গোড়াতেই সাক্ষাৎকার বা অধ্যয়নের মাধ্যমে তাদের ও তাদের কাজের সঙ্গে পরিচিত হতে পারেন, তবে আপনি সোর্সিং ও নিজস্ব দক্ষতার ভিত্তি তৈরিতে বেশ খানিকটা এগিয়ে যেতে পারেন। এটা খুব জরুরি, কারণ আপনি যখনই অনুসন্ধান করতে যাচ্ছেন, সেই বিষয় নিয়ে আপনার কিছুটা দক্ষতা থাকা প্রয়োজন; যেহেতু আপনি বিষয়টি নিয়ে নেতিবাচক কিছু বলতে যাচ্ছেন, তাই আপনাকে সে সম্পর্কে জানতে হবে।”
লভেল উল্লেখ করেন, প্রায়ই কোনো ইস্যু বা সমস্যা সম্পর্কে সাংবাদিক ও গবেষকদের একই ধরনের প্রশ্ন থাকে। গবেষকরা আগে থেকেই এই প্রশ্নগুলোর উত্তর খুঁজছেন, তাই তারা ডেটা ও অন্যান্য তথ্য অনুসন্ধানে সাংবাদিকদের সহায়তা করতে পারেন।
তিনি বলেছেন, “বিশেষ করে বড় নীতিনির্ধারণী গোছের কাজগুলোকে সহজে বুঝতে হলে সত্যিই আপনার একজন গবেষককে প্রয়োজন। আমার মতে, যারা একই ধরনের প্রশ্নের উত্তর খুঁজছেন তাদের সঙ্গে কথা বলা এই প্রকল্পে, এই আলোচনায় গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। আর [গবেষকেরা] প্রায়ই ডেটা ব্যবহার করেন, কিন্তু ভিন্ন উপায়ে। গবেষকেরা জানেন এই প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে কোথায় ডেটা খুঁজতে হবে অথবা তারা নিজেরাই সেটি করেছেন; এবং/অথবা কোথা থেকে খোঁজ শুরু করবেন, বা কাঙ্খিত প্রশ্নের উত্তর দেবে যে ডেটা, তার উৎস জানিয়েও তারা সহায়তা করতে পারেন।”
২. প্রাসঙ্গিক গবেষণা ও ডেটা খুঁজে পেলে সহজ ভাষায় সেই তথ্যের ব্যাখ্যা জানতে গবেষকদের সহায়তা চান। কোনো গবেষককে মূল নথি পড়তে বা আপনার ডেটা বিশ্লেষণের পর্যালোচনা ও প্রতিক্রিয়া জানানোর অনুরোধ করতে সঙ্কোচ করবেন না।
লভেল বলেছেন, যে বিষয়ে গবেষকদের বিশেষ দক্ষতা থাকে, তারা সে বিষয়ে উৎসাহী থাকেন এবং তারা চান মানুষ যেন সঠিক তথ্য পায়। প্রশ্নের উত্তর বা জার্নালে প্রকাশিত লেখার সন্ধান দেয়া ছাড়াও তাদের অনেকেই সাংবাদিকদের সহায়তা করতে মুখিয়ে থাকেন।
গবেষকেরা সাধারণত সাংবাদিকতার প্রক্রিয়ার সঙ্গে পরিচিত নন; অনেকেরই সাংবাদিকদের নিয়ে নেতিবাচক অভিজ্ঞতা থাকে বা তারা হয়ত কাউকে চেনেন যাদের এমন অভিজ্ঞতা হয়েছে। এই বিষয়গুলো বিবেচনায় নিয়ে সাংবাদিকদেরকে তাদের বিশ্বস্ততা অর্জনের পরামর্শ দিয়েছেন লভেল। সাংবাদিকতার পরিভাষায় “অন দ্য রেকর্ড” ও “অফ দ্য রেকর্ড” বলতে কী বোঝায় এবং সহায়তাকারী গবেষকের বক্তব্য নিউজ স্টোরিতে উদ্ধৃত হবে কি না- সাংবাদিকদের তা খোলাসা করা উচিত।
লভেল বলেছেন, গবেষকেরা কভারেজের কোনো অংশ পুনঃনিরীক্ষা করতে বলতে পারেন বা অন্য কোনোভাবে কোনো তথ্য দিতে চাইতে পারেন।
তিনি বলেন, “কোনো গবেষক অন দ্য রেকর্ড কথা বললে, প্রতিবেদক বা সাংবাদিক যেভাবে সেটি লিখছেন তাতে শেষবার চোখ বুলিয়ে নেওয়ার সুযোগ দিলে অনেক সময় তারা ভালো বোধ করেন, যেন তারা ‘ঠিক আছে,’ ‘আপনি ঠিক ধরেছেন,’ ‘এটি পুরোপুরি ঠিক নয়,’ বা ‘শব্দের ব্যবহারে কিছুটা পরিবর্তন আনুন, তাহলেই আমাদের গবেষণার ব্যাখ্যাটি সঠিক হবে’ — এ জাতীয় [প্রতিক্রিয়া] দিতে পারেন।”
বার্তাকক্ষগুলো সাধারণত রিপোর্টারদের স্টোরির খসড়া কাউকে পাঠাতে বারণ করে। তবে গবেষকেরা অন্যভাবেও সাংবাদিকদেরকে তাদের কাজ একাধিকবার যাচাইয়ে সহায়তা করতে পারেন। যেমন; সাংবাদিকেরা সোর্সদেরকে তাদের উদ্ধৃতি পড়ে শোনাতে পারেন। নির্দিষ্ট পরিস্থিতিতে কোনো কোনো সংবাদমাধ্যম নির্ভুলতা যাচাইয়ের জন্য গবেষকদেরকে কোনো নিউজ স্টোরির নির্দিষ্ট অনুচ্ছেদ পড়তে বা কোনো পরিসংখ্যানের বিশ্লেষণ পর্যালোচনা করতে বলতে পারে।
৩. যদি এমন হয় যে আপনি কোনো এজেন্সি নিয়ে অনুসন্ধান করছেন এবং তারা দিক নির্দেশনার জন্য এক বা একাধিক সুনির্দিষ্ট গবেষণার ওপর নির্ভর করছে, তাহলে সেই গবেষণাপত্র খুঁজে বের করুন এবং নিশ্চিত হোন যে আপনি সেটি বুঝতে পারছেন।
যে বিষয়বস্তুর কারণে কোনো এজেন্সি একটি গবেষণার ওপর ভরসা করছে এবং সেই গবেষণায় যে আসলেই তা রয়েছে, এটি সাংবাদিকদের নিশ্চিত করতে হবে।
বেদী বলেন, “আপনি যদি প্রতিবেদক হন, যদি এমন হয় যে আপনি একটি অনুসন্ধান করছেন, তাহলে আপনার উচিত হবে এই গবেষণাসহ সব কিছুকে সন্দেহের চোখে দেখা।”
২০২১ সালে প্রেডিকেটিভ পুলিশিং কর্মসূচি নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য পুলিৎজার পুরস্কার জিতেছিলেন বেদী। ফ্লোরিডার একটি কাউন্টি শেরিফ অফিস, স্থানীয় অধিবাসীদের হয়রানি ও স্কুল শিক্ষার্থীদের প্রোফাইল তৈরিতে এই কর্মসূচি ব্যবহার করেছিল। বেদী এবং ঐ ধারাবাহিকে তাঁর সহকর্মী টাম্পা বে টাইমসের প্রতিবেদক ক্যাথলিন ম্যাকগ্রোরিকে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার কর্তা ব্যক্তিরা বলেছিলেন যে কর্মসূচিটির ভিত্তি ছিল একটি গবেষণা যেখানে বলা হয়েছে, শৈশবে মানসিক আঘাতের শিকার হওয়া যুবকদের মধ্যে পরবর্তী জীবনে সহিংস অপরাধে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা বেশি থাকে।
বেদী ও ম্যাকগ্রোরি কয়েকজন ফৌজদারি বিচার বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং নিশ্চিত করেছেন যে শেরিফ অফিস গবেষণাটির ভুল ব্যাখ্যা করেছে। বিখ্যাত অপরাধবিদ ডেভিড কেনেডি তাদেরকে বলেছিলেন, শৈশবের অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে কারো ভবিষ্যত আচরণের পূর্বাভাস করা হলো “বিজ্ঞানের মুখে মাছি ছুড়ে দেওয়া।”
শেরিফ অফিসের এই কর্মসূচি সম্পর্কে গবেষকদের মতামতই শেষ পর্যন্ত অনুসন্ধানী ধারাবাহিকটির প্রধান উপাদান হয়ে উঠেছে।
“[শেরিফ অফিসের কর্মকর্তারা] যে গবেষকদের বারবার উদ্ধৃত করছিলেন, তাদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তারা বলেন, ‘আমার কাজ এভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে, মানে কী? এটি একটি ভয়ঙ্কর কর্মসূচি। আমার কাজ কখনো এভাবে ব্যবহার করা উচিত নয়। তারা আমাদের সিদ্ধান্ত থেকে দূরে সরে যাচ্ছে আর এমন একটি কর্মসূচি তৈরি করছে, যেখানে শিশুরা হয়রানির শিকার হয়,’” বেদী জানান। “আমার মনে হয়, একজন গবেষক এই কর্মসূচিকে শিশু নির্যাতনের সঙ্গেও তুলনা করেছিলেন।”
৪. পুরানো ডেটা নির্ভর গবেষণাকে উপেক্ষা করবেন না। গবেষণার ফলাফল এখনো প্রাসঙ্গিক কি না এবং কেন, গবেষকদের তা ব্যাখ্যা করতে বলুন।
প্রতিদিনকার খবরের পেছনে ছোটা একজন সাংবাদিকের কাছে বেশ কিছু কারণে জার্নাল নিবন্ধের ডেটা পুরানো বলে মনে হতে পারে। একটি কারণ হলো কয়েক ধরনের তথ্য সংগ্রহে কয়েক বছর পর্যন্ত লেগে যেতে পারে। এমনকি একটি গবেষণা শেষ হওয়ার পরও পিয়ার-রিভিউ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করতে এবং একটি একাডেমিক জার্নালে প্রকাশ হতে কয়েক মাস থেকে এক বছর বা তারও বেশি সময় লাগতে পারে।
একটি গবেষণা যখন কোনো সাংবাদিকের হাতে পড়ে তখন এই তথ্য ও পরিসংখ্যান বেশ কয়েক বছরের পুরানো হতে পারে। ফলে প্রশ্ন আসতে পারে যে গবেষণাটি “খুব পুরানো” কিনা, আর এর ফলাফল প্রাসঙ্গিক কিনা।
আমার পরামর্শ: গবেষক বা একই বিষয়ের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন আর তাদেরকে সেই প্রশ্নগুলো করুন। তাদের আবিষ্কার করা প্রবণতা ও কাঠামোর অস্তিত্ব এখনো আছে কিনা, সে ব্যাপারে তারাই ব্যাখ্যা দিতে পারবেন। প্রথম ডেটা সংগ্রহের পর কোনো বড় ঘটনা কীভাবে সেই প্রবণতা ও কাঠামোকে প্রভাবিত করতে পারে, তারা চাইলে এই আলোচনাও করতে পারেন। এই প্রসঙ্গ হয়ত আপনার কভারেজের জন্যও মূল্যবান।
লভেল উল্লেখ করেন, কিছু ডেটা সময়ের সঙ্গে খুব বেশি বদলায় না। তিনি আরও বলেছেন, সেক্ষেত্রে, “ডেটা কয়েক বছরের পুরানো হলেও সত্যিকার অর্থে আপনার ফলাফলে তেমন কোনো তাৎপর্যপূর্ণ পরিবর্তন আনছে না।”
সাংবাদিকদের হয়ত তাদের বার্তাকক্ষে পুরনো ডেটায় অনাগ্রহী সম্পাদকদের বোঝাতে হতে পারে।
তিনি বলেন, “আমি কেবল বিরোধিতা করতাম আর বলতাম, ‘বছর খানেক আগের ডেটা, সেই কাঠামো এখন আর চলনসই নয়, এমনটি মনে করার যৌক্তিক কারণ আছে কী?’
৫. আপনি যে বিষয়ে অনুসন্ধান করছেন তা যতই বিস্তৃত বা সংকীর্ণ হোক না কেন, মনে রাখবেন, পৃথিবীর কোনো না কোনো প্রান্তে কোনো না কোনো গবেষক হয়ত বছরের পর বছর ধরে এ বিষয়ে গবেষণা করছেন।
লভেল বলেছেন, “আমি প্রায় শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলতে পারি যে বিষয়টি যাই হোক না কেন, বিশেষ করে নীতিমালা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা সম্পর্কিত হলে সে বিষয়ে অধ্যয়নরত গবেষক অবশ্যই আছেন।”
বেদী বলেছেন, তিনি সাধারণত তাঁর আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে গবেষণাপত্র পড়ে, তারপর গবেষকদের খোঁজা শুরু করেন।
তিনি ওয়েবিনারের অংশগ্রহণকারীদের বলেছেন, “যতই অস্পষ্ট হোক না কেন, এমনকি কিছু না বুঝলেও আমি একাডেমিক কাগজপত্র পড়া শুরু করি। গবেষণাপত্র পড়ার চেষ্টা করা, যতটা সম্ভব বোঝার চেষ্টা করা এবং লেখকের দিকে নজর রাখার বিষয়টিকে আপনার প্রক্রিয়ার অংশ করে নেয়া উচিত। খুব প্রাসঙ্গিক বলে মনে হচ্ছে এমন কোনো কাগজপত্র পেলে সেই লেখকদের একটি তালিকা করা শুরু করুন। তাদের কাছে যান। যারা কথা বলতে চান, তাদের সঙ্গে কথা বলুন।”
বেদী ও লভেল দুজনেই প্রথমে ইমেইলের মাধ্যমে যোগাযোগের পরামর্শ দিয়েছেন। বেদী বলেছেন, তিনি সাধারণত যে গবেষকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন, তাদের কাছে কাজে আসার মতো অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের ব্যাপারেও জানতে চান।
তিনি জোর দিয়ে বলেছেন, সঠিক গবেষক বা গবেষকদের খুঁজে পেতে সময় লাগতে পারে। আর একবার তাদের খুঁজে পেলে অনুসন্ধানের পুরোটা সময় জুড়ে আপনি সেই সম্পর্ক গড়ে তুলতে চাইবেন।
তিনি বলেছেন, “কয়েক মাস দীর্ঘ অনুসন্ধানের সময় আপনি একবার ফোন করে কথা বলতে ব্যর্থ হলেন আর কথা বলার চেষ্টা বন্ধ করে দিলেন- এমন যেন না হয়। এটি একটি প্রক্রিয়া। প্রথম দিকে, কোনো বিষয়ে আপনি পাঁচ বছরের শিশুর মতো অনেক কিছু শিখছেন, আর জটিল বিষয়গুলো তাদেরকে খোলাসা করতে বলছেন – কারণ বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ এবং সাংবাদিক হিসেবে জানাটা আপনার জন্য জরুরি, কারণ এ বিষয়ে একেবারে অজ্ঞ পাঠকদেরও আপনার বোঝাতে হবে। তারপর আপনি কঠিন প্রশ্নগুলো করা শুরু করলে তারাও হয়ত সেগুলোর উত্তর দিবেন, আর ধীরে ধীরে সত্যিই আপনি এই অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রক্রিয়ার গভীরে যাবেন, তাদের পছন্দের বিষয় নিয়ে কথা বলতে আপনি তাদের কাছে বার বার ফিরে আসবেন। আর সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এভাবেই কথোপকথনের মাধ্যমে আপনি এই মানুষগুলোর সঙ্গে সত্যিই একটি ভালো সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারবেন।”
এই নিবন্ধ প্রথম প্রকাশিত হয় দ্য জার্নালিস্টস্ রিসোর্সের ওয়েবসাইটে। অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হলো।
আরও পড়ুন
একাডেমিক-সাংবাদিক সহযোগিতা যেভাবে এগিয়ে নিচ্ছে কানাডার একটি রিপোর্টিং ল্যাব
দ্য রিসার্চ ডেস্ক: টিপস অন ডিগিং ইনটু স্কলারলি রিসার্চ জার্নালস
নিউজ মডেলস: হাও অ্যাকাডেমিকস, ননপ্রফিট নিউজ অ্যান্ড গভর্নমেন্ট আর কোলাবোরেটিং
ডেনিস-মেরি অর্ডওয়ে ২০১৫ সালে দ্য জার্নালিস্টস রিসোর্সে যোগদান করেন। এর আগে তিনি অরল্যান্ডো সেন্টিনেল ও ফিলাডেলফিয়া ইনকোয়ারার সহ যুক্তরাষ্ট্র ও মধ্য আমেরিকার একাধিক সংবাদপত্র ও রেডিও স্টেশনে রিপোর্টার হিসেবে কাজ করেছেন। ইউএসএ টুডে, দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমস এবং ওয়াশিংটন পোস্টের মত পত্রিকাতেও তাঁর কাজ প্রকাশিত হয়েছে।