সাংবাদিকতায় আস্থা ধরে রাখতে ভ্রাম্যমান অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ কীভাবে কাজ করছে
উত্তর মেসিডোনিয়ার ওহরিডের মসৃন পাথুরে রাস্তা,হ্রদ আর ঐতিহাসিক গীর্জা দেখতে প্রতি বছর কয়েক হাজার পর্যটক আসে।
তবে ইউনেস্কো ঘোষিত সংরক্ষিত ঐতিহাসিক অঞ্চল হলেও ব্যাপক উন্নয়ন ও দুর্নীতির হাত থেকে রেহাই পায়নি এ শহরটিও।
স্থানীয় কুখ্যাত রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী নেফি ইউসিনি শতবর্ষী গাছে ঘেরা শহরের একটি জায়গাতে অবৈধভাবে প্লাজা নির্মাণ কাজ শুরুর পর ভবন পরিদর্শক গিয়েছিলেন সেখানে। তাঁকে রীতিমতো লাঞ্ছিত করা হয়। এ ঘটনার পর উত্তর মেসিডোনিয়ার সাংবাদিকেরা আর হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি।
ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং ল্যাবের (আইআরএল) প্রতিবেদক, সম্পাদক এবং ভিডিও প্রযোজকদের নিয়ে গঠিত দশজনের একটি শক্তিশালী দল দুই সপ্তাহের জন্য ওহরিডে যান এবং একটি “মোবাইল নিউজরুম” (ভ্রাম্যমাণ অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ) তৈরি করেন। ওসিসিআরপির সদস্য প্রতিষ্ঠান আইআরএলের অফিস রাজধানী শহর স্কোপিয়ায়।
তাঁরা একটি অফিস ভাড়া নেন। সেখানকার বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলতে শুরু করেন এবং স্থানীয় কর্মকর্তাদের দুর্নীতির তথ্যপ্রমাণ সংগ্রহ করতে থাকেন।
ওহরিডের স্থানীয় লোকেদের আস্থা অর্জনের জন্য সময় নেওয়া
ওহরিডে কাজ শুরুর আগে,আইআরএল স্থানীয় গোষ্ঠীগুলোর আস্থা অর্জনের লক্ষ্যে কয়েক মাস ধরে কাজ করতে থাকেন। এ সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে দলের সদস্যদের পরিচয় করানো হয়। উদ্দেশ্য, তাদের কাজ সম্পর্কে ধারণা দেওয়া এবং আগের অনুসন্ধানী কাজগুলো সম্পর্কে তথ্য দেওয়া।
সেখানে পৌঁছে তাঁরা নাগরিকদের জন্য একটি তথ্য কেন্দ্র স্থাপন করেন। স্থানীয় রাজনীতিবিদ যেখানে বেআইনিভাবে একটি বহুতল ভবন তৈরির চেষ্টা করছিলেন, সেখানে ওই শতবর্ষী গাছগুলোর নিচে স্থাপিত তথ্য কেন্দ্রে তাঁরা স্লোগান হিসেবে লিখেন, “দুর্নীতি মেসিডোনিয়াকে গিলে ফেলার আগে, আসুন আমরা দুর্নীতিকে নির্মূল করি।”
সহিংসতা এবং দুর্নীতিকে পরিপুষ্ট করে এমন পচা সিস্টেমগুলো প্রকাশ করা
ওহরিডের মোবাইল নিউজরুমের মাধ্যমে স্থানীয় লোকেদের থেকে পাওয়া মূল্যবান তথ্যেগুলো বেশ কাজে লাগে। সেগুলো কাজে লাগিয়ে আইআরএল উন্মোচন করে যে, একের পর এক সহিংসতা, বেআইনি নির্মাণ কাজ ও বিভিন্ন উপায়ে আইন লঙ্ঘনের পরও ইউজেনিকে কখনই বড় ধরনের কোনো শাস্তির মুখোমুখি হতে হয়নি।
অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি তুলে ধরে কীভাবে একটি পচা রাজনৈতিক ও বিচার ব্যবস্থা আইন লঙ্ঘন, সহিংসতা এবং দুর্নীতির বিস্তারে অভিযুক্ত হয়। (ইউজেনি তখন থেকে একাধিক তদন্তের মুখোমুখি হচ্ছেন, যা এখনও চলছে, এবং তাকে রাজনীতি থেকে সরে যেতে বাধ্য করেছে।)
প্রতিবেদনটি কয়েক সপ্তাহের মধ্যে আইআরএলের ইউটিউব চ্যানেলে ৭০ হাজারের বেশি ভিউ হয়।যে দেশে ব্যবসায়িক বা রাজনৈতিক স্বার্থের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট আউটলেটগুলোর পক্ষপাতিত্বের কারণে মিডিয়ার প্রতি লোকেরা আস্থা হারাচ্ছে, সেখানে এটি ছিল একটি বড় ধরনের অর্জন।
ঘটনাটি ছিল ২০১৯ সালের।
তারপর থেকে উত্তর মেসিডোনিয়া জুড়ে একাধিক সফল মোবাইল নিউজরুম প্রতিষ্ঠা করেছে আইআরএল। এ অঞ্চলটি রীতিমতো খবরের খরায় ভুগছিল। ছিল না স্থানীয় কোনো মানসম্পন্ন মিডিয়া। সেখানে এখন রীতিমতো সাধারণ লোকেরা সাংবাদিকদের কাছে এসে একের পর এক বিভিন্ন অপরাধ ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে তদন্তের অনুরোধ জানাচ্ছে।
পাঠকের সঙ্গে সম্পর্ক নাগরিক সাংবাদিকতাকে জোরালো করে
আইআরএলের প্রধান সম্পাদক সাশকা সভেৎকোভস্কা বলেন, “কোন অঞ্চল আর কোন বিষয়ের ওপর আমরা প্রতিবেদন তৈরি করবো, শুরুতে তা আমরা নিজেরাই ঠিক করেছি ।আর এখন সাধারণ নাগরিকদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য থেকেই আমাদের প্রতিবেদনগুলো তৈরি হচ্ছে। এ উদ্যোগটি দীর্ঘমেয়াদে পাঠক ধরে রাখা এবং সাংবাদিকতার প্রতি তাদের আস্থা ফেরাচ্ছে।
“আমরা যে সব জায়গাতে গিয়েছি, সে অঞ্চলের পাঠকের সংখ্যা বেড়েছে, এবং আজ অবধি তাঁরা আমাদের অনুসরণ করে চলেছে,” বলেন সভেৎকোভস্কা।
যদিও ক্ষমতাধর ব্যক্তিরা বিভিন্ন কায়দায় তাদের কাজে বাধা দেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেমন পৌরসভার অফিস খোলা থাকার সময়ে তথ্যের জন্য গেলে এক মেয়র এআরএলের মোবাইল নিউজরুমের ওই সাংবাদিককে বের করে দেন।
এদিকে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা নিয়ে যাঁরা কাজ করছেন তাদের পক্ষ থেকে কয়েকদফা সতর্ক করে দিয়ে বলা হয়েছে যে, দেশটিতে জবাবদিহিমূলক সাংবাদিকতা একের পর এক আক্রমণের শিকার হচ্ছে। সে ধারাবাহিকতায় অনুসন্ধানী দলটিকে বেশ কয়েকবার আক্রমণের শিকার হতে হয়।
তাছাড়া গত বছর একজন বিচারক তাঁর রায়ে বলেন যে, আইআরএল মূলত কোনো “সংবাদমাধ্যমই” নয়, আর এর কর্মীদের কেউই সাংবাদিক না। এরপর দেশটির আইন মন্ত্রণালয়কে তিনি সংস্থাটির কার্যক্রম বন্ধের সুপারিশ করে। এই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করেছে আইআরএল এবং মামলার শুনানির জন্য অপেক্ষা করছে।
সম্ভবত আইআরএলের কাজ তাদের অস্বস্তির কারণ হয়ে উঠেছে। সভেৎকোভস্কা মনে করেন, তাদের মোবাইল নিউজরুম কাজ করছে জনগণের জোটবদ্ধ শক্তি হিসেবে। নির্ভরশীল, গ্রহণযোগ্য এবং প্রভাবশালী প্রতিবেদন তৈরির মাধ্যমে সাংবাদিকতার প্রতি জন আস্থা ফেরাচ্ছে। সংবাদ মাধ্যমটি এমন ধরনের গল্প তুলে ধরছে যা লোকেদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়া অনলাইনে ছড়ানো ভূয়া ও মিথ্যা তথ্য যা কিনা রাজনৈতিক মেরুকরণের ইন্ধন যোগায় তা ঘিরেও পাঠকদের সচেতন করছে।
‘ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিস্ট সিস্টারহুড’ থেকে অনুপ্রাণিত হয় রি:বালটিকা। আর লাটভিয়ায় চালু হয় মোবাইল নিউজরুম
অন্যান্য অনুসন্ধানী সাংবাদিক দলকেও অনুপ্রাণিত করেছে এ উদ্যোগটি। যেমন ওসিসিআরপির লাটভিয়ান সদস্য রি:বালটিকাও স্থাপন করেছে তাদের নিজস্ব মোবাইল নিউজরুম।সভেৎকোভস্কার কাছ থেকে আইআরএলের কাজ সম্পর্কে জেনে রি:বালটিকার প্রধান সম্পাদক সানিতা জেমবারগা এ উদ্যোগ নেন।
স্থানীয় স্বাধীন মিডিয়া আউটলেট চায়কা. এলভ সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগ দিয়েছে রি:বালটিকার সাংবাদিকেরা। তাঁরা লাটভিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর ডাওগাভপিলসের রাস্তায় তাঁবু বসিয়েছেন। এ অঞ্চলের বাসিন্দারা প্রধানত রুশ ভাষাভাষি সম্প্রদায়ের।
২০২৩ সালের আগস্টে মাত্র সপ্তাহখানেক সময়ের মধ্যে তারা ১৫০ জন লোকের সঙ্গে কথা বলেন।সাংবাদিকদের কাছে স্থানীয়রা তাদের আগ্রহ ও উদ্বেগের কথা জানায়। এর মধ্যে এ অঞ্চলের মেয়রের ব্যয় সম্পর্কিত কিছু অভিযোগও ছিল।
মেয়র আন্দ্রেজ এলকসনিনের সঙ্গে একটি ছবি পোস্ট করেন সাংবাদিক জেমবারগা। তা দেখে একজন পাঠক মন্তব্য করেন, মেয়রের পরা জুতাজোড়ার দাম প্রায় ১ হাজার ইউরো (১১০০ মার্কিন ডলার)। মেয়র হিসেবে তিনি সরকারের কাছ থেকে যে বেতন পান তা দিয়ে কীভাবে তিনি এতোটা বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন! এই বক্তব্য মেয়রের বিলাসবহুল জীবনযাপন সম্পর্কিত অনুসন্ধানের পথ প্রসারিত করে।
রি: বালটিকা স্থানীয় সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণও দিয়েছে। এই সাংবাদিকেরা পরবর্তীতে স্থানীয় বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে তাদের প্রতিবেদন তৈরিতে সাহায্য করেন।
রুশ ভাষাভাষিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ, সাংবাদিকদের কাছে যাঁরা ডগাভপিলসের বিভিন্ন অন্ধকার দিক তুলে ধরেন
স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে কথা বলার পর সাংবাদিকেরা ইউক্রেনের ওপর মস্কোর আগ্রাসন ঘিরে রাশিয়ান ভাষাভাষী সম্প্রদায়ের উদ্বেগ সম্পর্কে আঁচ করতে পারেন। এর ওপর ভিত্তি করে সাংবাদিকেরা ডিভাইডেড শিরোনামের চার-পর্বের একটি ডকুমেন্টারি সিরিজ তৈরি করেন। আয়োজন করেন একটি থিয়েটার শো এর। রাজধানী রিগায় প্রদর্শনীর আগে সব টিকেট বিক্রি হয়ে যায়। এছাড়া ডাউগাভপিলসের প্রদর্শনীটিও ছিল ফুলহাউজ।
দুই শহরেই মঞ্চ নির্মাণ করা হয় ট্রেনের ওপর। এই প্রকল্পে কাজ করা সাংবাদিকেরা তাদের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার আলোকে চিত্রনাট্য তৈরি করেন। ডগাভপিলসে সাংবাদিকেরা সাধারণ যে লোকেদের সঙ্গে কথা বলেছিলেন, সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন তার ওপর ভিত্তি করে বাস্তব জীবনের সংলাপ দিয়ে চিত্রনাট্যটি সাজান। ওই সাক্ষাৎকার প্রদানকারীদের চরিত্রে অভিনেতারা অভিনয় করেন, আর সাক্ষাৎকার গ্রহণকারী হিসেবে সাংবাদিকেরা যে যাঁর ভূমিকায় হাজির হন।
জেমবারগা বলেন, প্রদর্শনীর পর আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পাই। মূল বিষয় ছিল, অনেক দর্শক উপলব্ধি করতে সক্ষম হয়েছেন যে, অবশেষে কেউ তাদের মনের ভেতরের সুপ্ত আবেগগুলোকে প্রকাশ করেছে। অনেকেই আবেগে আপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন। পরে তারা বলেন যে, প্রদর্শনীটি তাদের জন্য থেরাপি সেশনের মতো ছিল।
নিজের এ অভিজ্ঞতার আলোকে সাংবাদিকদের একে অপরকে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছেন জেমবারগা।
“ডাউগাভপিলস থেকে ফিরে আসার পর আমি সাশকা [সভেৎকোভস্কা] কে উদ্দেশ্য করে একটি খোলা প্রেমপত্র লিখি। চিঠিটি তাঁর কাছে এমন একটি সময় পৌঁছায়, যখন তিনি মানসিকভাবে ভীষন খারাপ অবস্থার মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন। আমি এটিকে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার সিস্টারহুড হিসাবে দেখি। আপনি জানেন, আপনার আশেপাশে এমন কেউ আছেন যিনি আপনাকে কঠিন অবস্থা থেকে টেনে তুলবেন, অনুপ্রাণিত করবেন এবং এমন কিছু করার পরামর্শ দেবেন যা আপনি আগে কখনও করেননি।
যাইহোক, প্রতিবেদনটি প্রকাশের পর লাটভিয়ার কর্তৃপক্ষ ও প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে তীব্র প্রতিক্রিয়া আসে। রাষ্ট্র-সমর্থিত মিডিয়া তহবিল বা অর্থায়ন ব্যবস্থার,( মিডিয়া তহবিল: সাধারণত বিভিন্ন গণমাধ্যম প্রকল্পগুলোকে আর্থিক সহায়তা প্রদান করে) পক্ষ থেকে রি:বালটিকাকে জরিমানা করা হয়। কারণ ডকুমেন্টারি সিরিজে অনেক বেশি সংখ্যক লোক রুশ ভাষায় কথা বলেছে। প্রকল্পটির জন্য প্রদত্ত ৩০ হাজার ইউরোর (৩৩ হাজার মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ ফেরত দেওয়ার দাবি জানানো হয়। রি:বালটিকা তাদের এ দাবির বিরুদ্ধে আপিল করেছে।
“আমাদের প্রতি ঘৃণামূলক প্রচারণার মাত্রা এতটা বেশি ছিল যেটা আমি আগে কখনো দেখিনি। স্বাভাবিকভাবেই আমরা লোকেদের মনে করিয়ে দিচ্ছি যে রুশ ভাষাভাষীরাও আমাদের সম্প্রদায়েরই অংশ। যতক্ষণ পর্যন্ত তাঁরা লাটভিয়াকে স্বাধীন দেশ হিসেবে শিকার করছে এবং রাশিয়াকে এখানে আক্রমণের আহ্বান না জানাচ্ছে ততক্ষণ পর্যন্ত তাদেরও অধিকার রয়েছে। ভিন্ন মতের অধিকারী হলেও তাঁদের মত প্রকাশের স্বাধীনতা রয়েছে,” বলেন জেমবারগা।
তবে, এর একটি ইতিবাচক দিকও ছিল — গত সপ্তাহে লাটভিয়ার সাংবাদিক সমিতির বার্ষিক পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠােনে দুটি বিভাগে পুরস্কার জয় করে রি:বালটিকা। এর মধ্যে একটি পুরস্কার ছিল লাটভিয়ার একটি রাজনৈতিক দলের অবৈধ অর্থায়ন নিয়ে অনুসন্ধানের জন্য। অন্যটি বিশেষ পুরস্কার বিভাগে “ডিভাইডেড” ডকুমেন্টারি সিরিজের জন্য।
জেমবারগা বলেন, রি:বালটিকা যখন তাদের অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার জন্য একের পর এক আক্রমণের শিকার হচ্ছে, তখন স্থানীয় মিডিয়ার সমর্থন তাদের জন্য অনেক বড় ঘটনা।
ডিভাইডেড প্রকল্প নিয়ে জেমবারগা আরো বলেন, “এর আগে রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে এত বাধা এবং অনলাইনে এত ঘৃণা ছড়ানোর ঘটনা আমরা দেখিনি।”
“তাঁরাও আক্রমণের শিকার হতে পারেন, এই চিন্তায় সহকর্মীরা প্রায়ই আমাদের পক্ষ নিতে ভয় পেতেন। আর তাই পেশাগত স্বীকৃতি আমাদের জন্য অনেক বড় বিষয়।”
সম্পাদকের নোট: লেখাটি প্রথমে ওসিসিআরিপির টিম অ্যাকাউন্ট মিডিয়াম–এ প্রকাশিত হয় তাদের অনুমতি নিয়ে এখানে পুনরায় প্রকাশ করা হলো।
মিডিয়ামে ওসিসিআরপির টিম অ্যাকাউন্টটি সংঘবদ্ধ অপরাধ ও দুর্নীতি রিপোর্টিং প্রকল্পের (Organized Crime and Corruption Reporting Project) সদস্যদের কার্যক্রম অনুসরণ করে।