প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

ভারতের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: স্পাইওয়্যার বেচাকেনা, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখলদারিত্ব ও বিষাক্ত কফ সিরাপ

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

গত কয়েক বছরে ভারতের গণমাধ্যম নজিরবিহীন হুমকি ও নিপীড়নের মুখে রয়েছে। রিপোর্টার্স উইদাউট বর্ডারসের বার্ষিক বিশ্লেষণ অনুসারে, দেশটিতে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা কমেছে উল্লেখযোগ্যভাবে, যা ২০১৬ সালে বিশ্বের ১৩৩তম থেকে ২০২৩ সালে ১৮০টি দেশের মধ্যে ১৬১তম অবস্থানে নেমেছে। অভিযান চালানো হয়েছে বিবিসির মতো নেতৃস্থানীয় মিডিয়া হাউজগুলোতে। সংবাদ সংস্থা নিউজক্লিকের সাংবাদিকসহ সংবাদপত্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের অভিযোগে বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের অধীনে অভিযুক্ত ও গ্রেফতার করা হয়। যদিও কঠোর এ আইনটি সাধারণত সন্ত্রাস সংশ্লিষ্ট মামলায় প্রয়োগ করার কথা, তবে গত নয় বছরে ১৬জন সাংবাদিককে ইউএপিএর [বেআইনী কার্যকলাপ (প্রতিরোধ) আইনের] আওতায় অভিযুক্ত করা হয়েছে এবং এখন পর্যন্ত সাতজন কারাগারে আছেন।

কঠিন কর্মপরিবেশ ও রাষ্ট্রীয় চাপের কারণে প্রথাগত গণমাধ্যমে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরির সংখ্যা উল্লেখযোগ্য মাত্রায় কমে গেছে। প্রথাগত মাধ্যমগুলোকে প্রোপাগান্ডা ধাঁচের সাংবাদিকতার জন্য প্রায়ই “গদি মিডিয়া” (পোষা সাংবাদিকতা) নামে আখ্যায়িত করা হচ্ছে, যারা পক্ষপাতদুষ্ট ও চাঞ্চল্যকর খবর পরিবেশন করে ক্ষমতাসীন সরকারের গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ারে পরিণত হয়েছে। তবে ডিজিটাল সাংবাদিকতার নতুন ধারাটি এ প্রবণতাকে খানিকটা প্রতিহত করছে। ডিজিটাল মিডিয়া তাদের ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে প্রভাবশালী রাজনৈতিক দলের সমালোচনা করতে আগ্রহী— যা মনোযোগ আকর্ষণ করতেও শুরু করেছে। যদিও তাদের সীমিত লোকবল অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা চালিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে কিছুটা চ্যালেঞ্জিং, তবে তাদের অনেকেই এখন সরকারের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ক্ষমতাধর ব্যক্তিদের গল্পগুলো তুলে ধরতে তৎপর। এখানে এ ধরনের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের একটি তালিকা তুলে ধরা হলো।

ঋণ অ্যাপের অন্ধকার জগৎ

বিবিসির তথ্য অনুসারে, অনলাইনে সুলভে পাওয়া যায় এমন সব ঋণ অ্যাপ থেকে ধার করা অর্থ ফেরত দিতে ব্যর্থ হওয়ার পর লাঞ্ছিত ও হুমকির শিকার হয়ে আত্মহত্যা করেছেন অন্তত ৬০ জন ভারতীয়। ছবি: স্ক্রিনশট, বিবিসি

কোভিড-১৯ মহামারি ও এর জের ধরে দেশব্যাপী তিনটি লকডাউন ভারতের দরিদ্র এবং মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মধ্যে আকাশচুম্বী বেকারত্ব ও অর্থনৈতিক অশান্তি সৃষ্টি করে। এই ব্যাপক আর্থিক অসচ্ছলতার ফায়দা লুটতে, তাৎক্ষণিকভাবে অনেকগুলো ঋণ অ্যাপ ছড়িয়ে পড়ে, যেখানে মূলত প্রলুব্ধকর নানা অফারের মাধ্যমে আর্থিকভাবে দুর্বল মানুষদের লক্ষ্যবস্তু করা হয়। এই অনলাইন ঋণ পাওয়া সহজ, তবে শর্ত কঠোর, বিশেষ করে গ্রহীতা যদি ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হন। প্রাথমিকভাবে সহজ শর্তাবলীসহ সাধারণ ঋণ অ্যাপ বলে মনে হলেও এগুলো মূলত প্রতারণামূলক স্কিম, যেখানে ঋণগ্রহীতারা অর্থ প্রদান করতে অপারগ হলে পাতানো ফাঁদে ফেলে লাঞ্ছিত করা হয়। এই স্কিমটিতে শুধু ভারতীয়রা নয়, এশিয়া, আফ্রিকা ও ল্যাটিন আমেরিকাসহ অন্যান্য দেশের মানুষদেরও লক্ষ্যবস্তু বানানো হয়েছে।

বিবিসির প্রতিবেদন অনুসারে, অন্তত ৬০জন ভারতীয় এ ধরনের ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হয়ে অপমান ও হুমকির শিকার হওয়ার পর আত্মহত্যা করেছেন। বিবিসির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি ভারত ও চীনে এ ধরনের ঋণ কেলেঙ্কারির বিষয়টি সামনে এনেছে এবং সাধারণ মানুষকে চরম দুর্দশাগ্রস্ত পরিস্থিতিতে ফেলে কারা ফায়দা লুটেছে, তা খুঁজে বের করেছে।

ভারতের অবরুদ্ধ অদৃশ্য কর্মীবাহিনী

ছবি: স্ক্রিনশট, এলেনা ওদারিভা, আইস্টকফটো

সুনিপুন কাজ আর চমৎকার সব নকশার জন্য বিশ্বজুড়েই কদর রয়েছে ভারতীয় হস্তশিল্পের, যার মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করে নারীরা। শিল্পটিতে চুক্তিভিত্তিক ও অনানুষ্ঠানিক দুই ধরনের শ্রমকর্মী নিয়োজিত রয়েছেন। নারীরা প্রায়শই উপ-ঠিকাদারদের মাধ্যমে বড় কোম্পানিগুলোতে নিযুক্ত হন। আর এভাবে কর্মী নিয়োগ বিনিয়োগকারী বা মালিকপক্ষকে কম মজুরী প্রদান ও কঠোর শ্রম আইন এড়াতেও সক্ষম করে।

ভারতের প্রথম ডেটা সাংবাদিকতা উদ্যোগ ও জিআইজেএন সদস্য ইন্ডিয়াস্পেন্ড, এ খাতটি ঘিরে অনুসন্ধান চালিয়ে খুঁজে পায় যে, উক্ত নারী কর্মীদের সামান্য মজুরী দেওয়া হয় এবং তাদের কোন আইনি সুরক্ষা নেই। কম মজুরি ও দুর্বল আইনি সুরক্ষা বড় বড় শহরগুলোতে এ ধরনের গৃহ-ভিত্তিক শ্রমিকদের নিম্নমানের আবাসন ও বস্তির মতো পরিবেশে কাজ করতে বাধ্য করে। ইন্ডিয়াস্পেন্ডের মতে, কর্মক্ষেত্রে নারীদের এ ধরনের শোষণ “তাদের পেশা ও সুস্থতা উভয় ক্ষেত্রেই বিরূপ প্রভাব ফেলে।”

স্যাটেলাইট ইমেজের মাধ্যমে নথিভুক্ত ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখলদারিত্ব

ভারতের উত্তরকাশী সীমান্তে চীনের নতুন নির্মাণ কার্যক্রমের দৃশ্য। ছবি: স্ক্রিনশট, মূল ছবি প্ল্যানেট ল্যাব বিবিসির সৌজন্যে

সীমান্ত রাজ্য সিকিম, লাদাখ ও অরুণাচল প্রদেশে চীনা অনুপ্রবেশের কথা বারবার অস্বীকার করেছে ভারত সরকার। স্থানীয় মিডিয়ার পক্ষ থেকে বিভিন্ন খবর প্রকাশ ও বিপরীত দাবী সত্ত্বেও ভারতের গণমাধ্যমগুলো সীমান্তের ওপারে চীনা সামরিক বসতি নির্মাণের বাস্তব ঘটনা প্রকাশ করা থেকে দূরে থেকেছে। তবে ভারত সরকারের এ দাবী যে মিথ্যা তা উঠে এসেছে দেশটির শীর্ষস্থানীয় মিডিয়া হাউজ ইন্ডিয়া টুডের অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে।

স্যাটেলাইট ইমেজ ব্যবহার করে ইন্ডিয়া টুডের প্রকাশিত প্রতিবেদন “চীনের সামরিক গ্রাম নির্মাণের সাম্প্রতিক দাবিকে নিশ্চিত করে অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরে।” প্রতিবেদন অনুসারে, মাত্র এক মাসের ব্যবধানে ভারতীয় সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘন করে চীন প্রায় ১০০টি অবকাঠামো তৈরি করেছে, যা ভারতের ক্ষমতাসীন সরকারের জন্য বড় ধরনের বিব্রতকর ঘটনা। ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে যে, চীনা স্থাপনাগুলো ভারতের জন্য একটি সুস্পষ্ট কৌশলগত উদ্বেগের কারণ কেননা তারা “অঞ্চলের সুবিধাজনক ভূসংস্থানকে কাজে লাগিয়ে বর্ধিত সৈন্য মোতায়েনের ব্যবস্থা করতে সক্ষম”।

ফোর্টিফাইড ডিল: ভারতের অর্ধেক জনশক্তিকে ফোর্টিফাইড চাল (পুষ্টি চাল) খাওয়ানোর প্রশ্নবিদ্ধ সিদ্ধান্তের নেপথ্যে

মধ্যাহ্নভোজ প্রকল্পের অধীনে ঝাড়খণ্ডের কুচিয়াশোলির গ্রামের শিশুদের জন্য ফোর্টিফাইড চাল দিয়ে রান্না করা ভাতের প্লেট হাতে প্রতিমা মুন্ডা ৷ ছবি: শ্রীগিরীশ জালিহাল, রিপোর্টার্স কালেকটিভ

জিআইজেএন সদস্য ও অনুসন্ধানী রিপোর্টারদের কনসোর্টিয়াম দ্য রিপোর্টার্স কালেক্টিভ— তিন পর্বের সিরিজ প্রতিবেদনে তুলে ধরে শিশুদের ওপর ফোর্টিফাইড চালের সম্ভাব্য ক্ষতিকারক প্রভাব সম্পর্কে বিশেষজ্ঞদের সতর্কতা সত্ত্বেও ভারতের অর্ধেক জনগোষ্ঠীকে তা খাওয়ানো হয়েছে। অনুসন্ধানে জানা যায় বিশ্বের অন্যতম প্রধান ফোর্টিফাইড রাইস প্রিমিক্স পাউডার উৎপাদনকারী কোম্পানি নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক রয়্যাল ডিএসএম এনভি ছয়টি অলাভজনক সংস্থার ওয়েবসাইট ব্যবহার করে ভারত সরকারকে এ চুক্তিটি করতে প্রভাবিত করেছিল। জনস্বাস্থ্য সংক্রান্ত উদ্বেগ এবং অর্থ মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে পদক্ষেপটিকে “অকালপক্ক” বলে অভিহিত করার পরও কোম্পানিটি পণ্য বিক্রয়ের জন্য ভারতের বিশাল বাজারকে কাজে লাগায়। যদিও কোম্পানিটির সঙ্গে চুক্তি সম্পাদনের ঘোষণাটি আসে খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছ থেকেই।

ভারতীয় সামরিক বাহিনীর পেগাসাস স্পাইওয়্যার ক্রয়ের তথ্য উন্মোচন

২০২১ সালে আবুধাবিতে আন্তর্জাতিক প্রতিরক্ষা প্রদর্শনী ও সম্মেলনের একটি বুথ। ছবি: স্ক্রিনশট, কগনাইট, দ্য হিন্দু

গত বছর, পেগাসাস স্পাইওয়্যার কেলেঙ্কারি অনেক দেশের ভিত নাড়িয়ে দেয়, বিশেষ করে যখন অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা যৌথ তদন্তের মাধ্যমে উন্মোচন করেন যে এটি ব্যবহার করে রাজনীতিবিদ, মানবাধিকার কর্মী এবং সংবাদমাধ্যমগুলোর ওপর নজরদারি চালানো হয়েছে। প্রতিবেদনে এটাও প্রকাশ করা হয় যে, ভারতের অনেক বিরোধী নেতাসহ শীর্ষ সাংবাদিকেরাও স্পাইওয়্যারের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছেন। ঘটনাটি এতোটাই বিতর্ক সৃষ্টি করে যে, সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি নিযুক্ত করা হয়। যদিও মোদি সরকারের পক্ষ থেকে ইসরায়েলি কোম্পানি এনএসও-এর সফটওয়্যার ক্রয়ের বিষয়টিকে সম্পূর্ণভাবে অস্বীকার করা হয়।

এ অবস্থায় দ্য হিন্দু পত্রিকার একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক ভারতীয় সেনাবাহিনীর এ ধরনের পণ্য ক্রয়ের খোঁজ বের করতে বাণিজ্যিক তথ্য ব্যবহার করেন। প্রতিবেদন অনুসারে, একজন পরিচিত স্পাইওয়্যার প্রস্তুতকারক তিন বছরেরও বেশি সময় ধরে ভারতীয় সামরিক বাহিনীর সিগন্যাল ইন্টেলিজেন্স ডিরেক্টরেটকে (এসআইডি) কম্পিউটার গিয়ার সরবরাহ করে আসছে।

নয়া দিল্লির জি২০ সম্মেলন আয়োজনের কদাকার দিক

রাজস্ব রেকর্ডে এক সরকারী কর্মকর্তা মেহরাউলি প্লটের কথা উল্লেখ করেছেন, প্লটটি অনেকবার “অধিগ্রহণের’ বিষয়টি নিবন্ধিত হয়েছে৷ ছবি: স্ক্রিনশট, মুক্তা জোশী, আর্টিকেল ফোরটিন।

গত বছর জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে আমন্ত্রিত অতিথিদের সামনে ভারতের রাজধানী নয়াদিল্লিকে একটি ঝকঝকে-পরিচ্ছন্ন বিশ্বমানের শহর হিসাবে তুলে ধরার সরকারী চেষ্টার পেছনে রয়েছে একটি ভয়াবহ কুৎসিত অধ্যায়। সৌন্দর্যবর্ধন চেষ্টার অংশ হিসাবে ১ হাজার ৬ শত বাড়ি এবং ভবন আগাম নোটিশ বা আবাসনের বিকল্প কোনো বন্দোবস্ত ছাড়াই ভেঙে ফেলে রাতারাতি ২ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি লোককে গৃহচ্যুত করা হয়। চারটি এলাকাজুড়ে আইন বহির্ভূতভাবে এমন বিধ্বংসী অভিযান চালানোর ঘটনাগুলো সবার সামনে উন্মোচনের লক্ষ্যে আর্টিকেল ফোরটিনের প্রতিবেদনকেরা সুচারু গবেষণা ও অনুসন্ধান চালান। মাত্র তিন মাসের ব্যবধানে এই গণ-উচ্ছেদগুলো করা হয়, যদিও সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, কাজটি তারা আইন মেনেই করেছে।

অনলাইন বিক্রেতাদের মাধ্যমে সহজে অ্যাসিড ক্রয় ভারতীয় নারীদের জন্য হুমকির মাত্রা বাড়িয়ে তোলে

ইলাস্ট্রেশন: স্ক্রিনশট, রজত বারান, দ্য মর্নিং কনটেক্সট

অ্যাসিড আক্রমণ— ভারতের গণমাধ্যমে একটি নিয়মিত শিরোনাম। সম্পর্কের প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান, ব্যর্থ সম্পর্ক, বা প্রত্যক্ষ নারীবিদ্বেষের মতো বিষয়গুলো প্রায়ই অরক্ষিত নারীদের এই করুণ পরিণতি ডেকে আনে। ২০১৩ সালের জনবিক্ষোভের পর ভারতের সুপ্রিম কোর্ট অ্যাসিড বিক্রির বিষয়ে নির্দেশিকা জারি করে যে, অ্যাসিড বিক্রেতাদের অবশ্যই একটি রেজিস্টারে ক্রেতাদের নাম, ঠিকানা ও অ্যাসিড ক্রয়ের পরিমাণসহ বিস্তারিত বিবরণ রাখতে হবে। এই আইনের তোয়াক্কা না করে অনলাইন শপিং কোম্পানিগুলো নিবন্ধন ছাড়াই অ্যাসিড বিক্রি চালিয়ে যাচ্ছে, যেখানে ক্রেতাদের কোনো ধরনের তথ্য রাখা হয় না। দ্য মর্নিং কনটেক্সটের এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদক অনলাইন প্ল্যাটফর্মগুলোতে অ্যাসিডের প্রাপ্যতা পরীক্ষা করেছেন। তিনি দেখিয়েছেন যে, নারীকে লক্ষ্যবস্তু বানানোর এ হাতিয়ারটি প্রায় সব শপিং প্ল্যাটফর্মে পাওয়া যায় এবং বিক্রির সময় ক্রেতার পরিচয় বা আইনগতভাবে প্রয়োজনীয় কোনো রেকর্ড রাখা হয় না।

ভারতের কাশির সিরাপ পরীক্ষার পদ্ধতিগত ব্লাইন্ড স্পট

ছবি: পিকটো/স্ক্রিনশটের মাধ্যমে তৈরি

গত বছর ভারতে উৎপাদিত কাশির সিরাপ খেয়ে পশ্চিম আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়ার ৭০জন শিশু মারা যায়। শিশু মৃত্যুর ঘটনার জন্য বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ভারতীয় এক ওষুধ উৎপাদকারী প্রতিষ্ঠানকে দায়ী করে, যারা কোনো ধরনের পরীক্ষা ছাড়াই কাশির সিরাপটিতে ক্ষতিকারক রাসায়নিক উপাদান ব্যবহার করেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। দ্য স্ক্রোলের একজন অনুসন্ধানী প্রতিবেদক সমস্যাটির গভীরে গিয়ে দেখতে পেয়েছেন যে, ওই সংস্থাটি একা নয়, অন্যান্য বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানও উৎপাদন খরচ কমাতে গিয়ে যথাযথ পরীক্ষা ছাড়াই একই উপাদান ব্যবহার করেছে।


দীপক তিওয়ারি জিআইজেএনের হিন্দি সম্পাদক। প্রবীন এ ভারতীয় সাংবাদিক ভোপালের মাখনলাল চতুর্বেদী ন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অব জার্নালিজম অ্যান্ড কমিউনিকেশনের সাবেক উপাচার্য। রিপোর্টার, সাব-এডিটর, টেলিভিশন ভাষ্যকার, মিডিয়া পরামর্শদাতা এবং মিডিয়া স্টার্টআপের ব্যবস্থাপনা সম্পাদক হিসাবে ২৭ বছরেরও বেশি কাজের অভিজ্ঞতাসম্পন্ন। ভারতের মধ্য প্রদেশ রাজ্যের রাজনৈতিক ইতিহাসের ওপর দুটো বই লিখেছেন তিনি।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

সম্পাদকের বাছাই

প্রাণঘাতী আন্দোলন, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি এবং দুর্নীতি অনুসন্ধান: ২০২৪ সালে বাংলাদেশের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

আরও স্থান পেয়েছে জাতিসংঘের শান্তিরক্ষী মিশনে অংশগ্রহণকারীদের নিয়ে অনুসন্ধান, জনসংখ্যার ডেটা নিয়ে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত গরমিল ও ক্ষমতাধর পুলিশ প্রধানের শিক্ষাগত যোগ্যতার প্রসঙ্গ।

আইনি সুরক্ষা ও জরুরি সহায়তা সংবাদ ও বিশ্লেষণ

হয়রানিমূলক মামলার বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে বার্তাকক্ষের পাশে দাঁড়াচ্ছে রিপোর্টার্স শিল্ড

অনেকটা শূন্য থেকেই গত বছর যাত্রা শুরু করা রিপোর্টার্স শিল্ড বিশ্বেজুড়ে সংবাদমাধ্যমগুলোর পাশে আর্থিক ও অন্যান্য সহায়তা নিয়ে দাঁড়িয়েছে। অলাভজনক সংস্থাটি স্ট্র্যাটেজিক ল-স্যুটস অ্যাগেইনস্ট পাবলিক পার্টিসিপেশন—সংক্ষেপে স্ল্যাপের (জনস্বার্থ বিরোধী কৌশলগত মামলা) বিপরীতে আর্থিক ও প্রয়োজনীয় সমর্থন দিয়ে থাকে। স্ল্যাপ মূলত অনুসন্ধানী প্রতিবেদন তৈরিকে নিরুৎসাহিত আর অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষকে ধ্বংসের হাতিয়ার হিসেবে প্রয়োগ করা হয় ।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চীন-পন্থী প্রচারণা, গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম, সবুজ বিভ্রম: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনলাইনে প্রচারণা, ভুয়া তথ্য, নারী অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর সাইবার হামলা, অবৈধভাবে খনন বা গাছ কাটা বিষয়ে পরিচালিত কয়েকটি অনুসন্ধান জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

ব্যক্তিগত বন্দিশালা, ওয়াটার মাফিয়া, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ: ২০২৩ সালে পাকিস্তানের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ২০২৩ সালে পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমন ৮টি প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।