প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

চীন-পন্থী প্রচারণা, গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম, সবুজ বিভ্রম: দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় গণতন্ত্রের জন্য বড় ধরনের যুদ্ধক্ষেত্রে পরিণত হচ্ছে ডিজিটাল জগৎ। ২০২২ সালে ফিলিপাইনের রাষ্ট্রপতি নির্বাচন এ সত্যকে আরো স্পষ্ট করে। ধারণা করা হচ্ছে, ২০২৪ সালের শুরুতে এ অঞ্চলের রাজনৈতিক মনোযোগের অন্যতম কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠবে ইন্দোনেশিয়া— দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বৃহত্তম জনসংখ্যার এ দেশটি ব্যস্ত হয়ে পড়বে নির্বাচন ঘিরে।

অনলাইন প্রচারণা ও অপতথ্যের ঝুঁকি থেকে শুরু করে ডিজিটাল বিশ্ব কীভাবে নারীর বিরুদ্ধে অনলাইন আক্রমণের বিষাক্ত ইনকিউবেটর হিসেবে কাজ করতে পারে, আমাদের সম্পাদকদের বাছাইকৃত বেশ কয়েকটি প্রতিবেদনে তা দেখানো হয়েছে। ফিলিপাইনের অনলাইন ওয়েবসাইট র‌্যাপলার উন্মোচন করেছে কীভাবে চীনপন্থী অনলাইন প্রচারণা ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়া হয়। ইন্দোনেশিয়ায় স্বাধীন প্ল্যাটফর্ম ইন্দোনেশিয়া লিকস গুপ্তচরবৃত্তির সরঞ্জাম সংগ্রহ ও ব্যবহার সংক্রান্ত খবর সামনে এনেছে। এদিকে, মিয়ানমার ঘিরে করা তদন্তে উঠে এসেছে ক্ষমতাসীন সামরিক জান্তা কী কৌশলে অনুমতি ছাড়া অনলাইনে গণতন্ত্রপন্থী নারী অ্যাক্টিভিস্টদের ব্যক্তিগত ছবি ও ভিডিও প্রকাশ করে তাদের বিরুদ্ধে সাইবার আক্রমণ চালিয়েছে।

এছাড়াও তালিকায় পরিবেশগত বিষয়গুলো নিয়ে অনুসন্ধান পরিচালনার গল্প রয়েছে। ব্যবহারের পর ফেলে দেওয়া পুরানো স্নিকার্সগুলো কোথায় যায়, নিকেলের চাহিদা বৃদ্ধি কীভাবে অবৈধ খননের ইন্ধন যোগায়, এমন সব প্রতিবেদনসহ তুলে ধরা হয়েছে কূটনৈতিক নিরাপত্তা ও শোষণের ঘটনাগুলো।

নির্বাচিত প্রতিবেদনগুলো অপরাধ ও অন্যায় ঘিরে সাংবাদিকদের প্রতিশ্রুতি ও দৃঢ় অবস্থানকে প্রতিফলিত করে, প্রায়ই এসব অনুসন্ধান পরিচালিত হয়েছে ডিজিটাল অনুসন্ধানী টুল ব্যবহার করে।  

ফিলিপাইনে অনলাইনে কীভাবে চীনপন্থী প্রচারণার বীজ বোনা হয় (ফিলিপাইন)

ছবি: স্ক্রিনশট, র‍্যাপলার

কল্পনা করুন, নিয়মিত রসদ সরবরাহ কাজে নিয়োজিত ফিলিপাইনের দুটি জাহাজ চীনের উপকূলরক্ষীদের জল কামানের লক্ষ্যবস্তুর শিকার হয়েছে। পর্যবেক্ষকরা হয়তো এখানে জাতীয়তাবাদী মনোভাবের উত্থান, কিংবা ফিলিপাইনের উপকূলরক্ষীদের ভাষ্য অনুযায়ী এ “বেআইনি ঘটনা” ঘিরে প্রতিবাদ কর্মসূচী দেওয়া হবে বলে আশা করেছিলেন। অথচ, স্বাধীন সংবাদমাধ্যম র‌্যাপলারের অনুসন্ধানে দেখা যায়, এই ঘটনা ঘিরে অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ছে বেইজিংয়ের সমর্থনে নানাবিধ পোস্ট। এ ধরনের আরও ঘটনা দেখায় যে, কীভাবে অনলাইনে চীনপন্থী মনোভাবের বীজ ছড়িয়ে দেওয়া হয়।

এই অনুসন্ধানে রিপোর্টারেরা ফেসবুকে এমন একটি কমিউনিটি খুঁজে পেয়েছেন যারা বছরের পর বছর ধরে “চীনের সমর্থনে অপপ্রচার ও বিভ্রান্তি ছড়িয়ে চলেছে।” এই পোস্টগুলো প্রায়ই লেখা হয় ব্লগারদের দিয়ে, এবং পোস্ট করা হয় ওয়েবসাইটে। এ লেখকরা নিজেদের শিক্ষাবিদ দাবী করার পাশাপাশি থিঙ্ক ট্যাঙ্কের সঙ্গে যুক্ত থাকার কথাও উল্লেখ করেছেন। এসব উৎস থেকে আসা তথ্যগুলো পরবর্তীতে আরও বেশি করে ছড়ানো হয় সমমনা সংবাদমাধ্যমগুলোর মাধ্যমে। দ্য নার্ভের সঙ্গে যৌথভাবে তৈরি র‌্যাপলারের এ প্রতিবেদনে বিভিন্ন নেটওয়ার্ক বিশ্লেষণের পাশাপাশি নানা ধরনের গ্রাফ যুক্ত করা হয়েছে, যেন পাঠকেরা সহজেই বুঝতে পারেন যে, বেশ কয়েক বছর ধরে চীনপন্থী প্রচার-প্রচারণার বিস্তার কার্যক্রমে কীভাবে পরিবর্তন এসেছে।

ইন্দোনেশিয়ায় এনএসও স্পাইওয়্যার ট্র্যাকিং (ইন্দোনেশিয়া)

Jaring spyware Indonesia police

ছবি: স্ক্রিনশট, জারিং

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ইন্দোনেশিয়ার রাজনীতিবিদ, সাংবাদিক ও মানবাধিকার কর্মীদের লক্ষ্য করে সাইবার হামলা নিয়মিত ঘটনায় পরিণত হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ইন্দোনেশিয়ার সাতটি সংবাদমাধ্যম একজোট হয়ে গঠন করেছে এনক্রিপ্টেড প্ল্যাটফর্ম, ইন্দোনেশিয়ালিকস— যেখানে অভ্যন্তরীণ ব্যক্তিদের পাশাপাশি হুইসেলব্লোয়াররা নিরাপদে তাদের তথ্য প্রকাশ করতে পারেন। উদ্যোগটি ইন্দোনেশিয়ায় গুপ্তচরবৃত্তির বিভিন্ন সারঞ্জাম ক্রয় ও এর ব্যবহার সংক্রান্ত তথ্যগুলো সামনে এনেছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য একটি সারঞ্জাম জিরো-ক্লিক এক্সপ্লয়েট, এটি কেনা হয়েছে স্পাইওয়্যার পেগাসাসখ্যাত ইসরায়েলি সাইবার-গোয়েন্দা সংস্থা এনএসও গ্রুপের সঙ্গে যুক্ত একটি প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে। ইন্দোনেশিয়ায় যে প্রতিষ্ঠান এগুলো আমদানি করেছে, তাদের উৎস শনাক্ত করা অবশ্য কঠিন।

নজরদারীর কাজের জন্য আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা অতীতে জিরো-ক্লিক সার্ভিলেন্স টুল ব্যবহারের বিষয় স্বীকার করেছেন, তবে এনএসও-এর সবচেয়ে পরিচিত স্পাইওয়্যার প্ল্যাটফর্ম, পেগাসাস ক্রয়ের বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেন। ২০২২ সালে করা রয়টার্সের অনুসন্ধানে উঠে আসে এক ডজনেরও বেশি ঊর্ধ্বতন সরকারী এবং সামরিক কর্মকর্তাকে এনএসওয়ের ফোর্সডএন্ট্রি টুল ব্যবহারের মাধ্যমে নজরদারির লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত করা হয়েছিল।

অবৈধনিকেল পাচার (ইন্দোনেশিয়া)

ছবি: স্ক্রিনশট, টেম্পো

ব্যাটারির কাঁচামাল, বিশেষ করে বৈদ্যুতিক যানবাহনে ব্যবহারের জন্য নিকেলের ক্রমবর্ধমান বৈশ্বিক চাহিদা মেটাতে ইন্দোনেশিয়ার কোম্পানিগুলো ধাতুটির উৎপাদন বৃদ্ধি করছে। কিন্তু নিউজরুম টেম্পোর প্রচ্ছদ প্রতিবেদনে প্রমাণ সাপেক্ষে তুলে ধরা হয়েছে যে, বেশ কয়েকটি কোম্পানি লাইসেন্স ছাড়াই খনন কাজ চালায় এবং অন্যান্য কোম্পানির নথি ব্যবহার করে প্রক্রিয়াকরণ প্ল্যান্টে তা বিক্রি করে, এভাবে তারা অবৈধভাবে নিকেল সংগ্রহ করে। এ কোম্পানিগুলোর মালিকানা দলিলে রাজনীতিবিদসহ উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তাদের নাম নথিভুক্ত রয়েছে বলে উঠে এসেছে টেম্পোর প্রতিবেদনে। যদিও এসব কোম্পানি ও অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের জড়িত থাকার বিষয়টি সম্পূর্ণ অস্বীকার করেছেন। টেম্পো রিপোর্টাররা একটি নির্দিষ্ট এলাকা থেকে নিকেল আকরিক উত্তোলনের চার্ট তৈরির জন্য স্যাটেলাইট ছবি বিশ্লেষণ করে দেখেন ৯০ শতাংশ নিকেল সংগ্রহ করা হয়েছে যে বনাঞ্চল থেকে, সেখান অনুমতি ছাড়া নিকেল উত্তোলন নিষিদ্ধ ছিল।

ইন্দোনেশিয়ান কোম্পানি আর যে সবুজ বিভ্রান্তিতে প্রতারিত হচ্ছে ইউরোপ (ইন্দোনেশিয়া)

ছবি: স্ক্রিনশট, ইউটিউব/নারাসিটিভি

প্রায় এক দশক আগে, ইন্দোনেশিয়ার অন্যতম পাল্প উৎপাদক প্রতিষ্ঠান তাদের কাঁচামালের চাহিদা মেটাতে বন উজাড় বন্ধের পক্ষে প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করে। স্যাটেলাইট ইমেজ, কোম্পানির নথি ও ট্র্যাকিং টুলের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্যের মাধ্যমে নারাসিটিভির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনটি প্রতিষ্ঠানটির কার্যক্রমের বর্তমান অবস্থা তুলে ধরে। যেখানে দেখা যায়, বিশ্বব্যাপী দুই মিলিয়ন হেক্টর জমির মালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানটি কেবলমাত্র তাদের কথার বরখেলাপই করেনি বরং বন উজাড়ের মাধ্যমে কাঁচামাল সংগ্রহের প্রক্রিয়া বহাল রেখেছে। প্রতিবেদন অনুসারে, ট্যাক্স হেভেনে শেল কোম্পানিসহ বিভিন্ন জটিল ব্যবসায়িক ফন্দি ব্যবহার করে প্রতিষ্ঠানটি একইভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যদিও প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নারাসিটিভির অনুসন্ধানকে পুরোপুরি অস্বীকার করা হয়।

কূটনৈতিক নিরাপত্তা ও দায়মুক্তি (ফিলিপাইন)

ছবি: স্ক্রিনশট, র‍্যাপলার

কূটনৈতিক পরিবারগুলোর জন্য কাজ করতে এসে অভিবাসী গৃহকর্মীরা কীভাবে শোষনের শিকার হন তা নিয়ে উঠে এসেছে র‌্যাপলারের এই আন্তসীমান্ত সিরিজ অনুসন্ধানে। কাজটি করতে গিয়ে রিপোর্টাররা ১৯৮৮ থেকে ২০২১ সাল— তিন দশকেরও বেশি সময়ের তথ্য নিয়ে একটি ডাটাবেস তৈরি করেন। পাবলিক রেকর্ড, ওপেন সোর্স ডেটা, আদালতের মামলা, সংবাদ প্রতিবেদন এবং অলাভজনক বিভিন্ন সংস্থার কাছে আসা নিপীড়ন ও হয়রানির অভিযোগগুলো বাছাই করে ডেটাসেটটি তৈরি করা হয়। পাশাপাশি অভিবাসী গৃহকর্মীদের কাছ থেকে সরাসরি সংগৃহীত তথ্যও রয়েছে। নামমাত্র মজুরি, অতিরিক্ত শ্রম এবং যৌন নির্যাতন ও হয়রানিসহ রিপোর্টাররা কর্মী শোষণের শত শত ঘটনা খুঁজে পেয়েছেন। প্রায় ক্ষেত্রেই আক্রান্ত ব্যক্তিরা নিজেদের রক্ষার জন্য কোনো ধরনের সাহায্য নিতে সক্ষম হননি। র‌্যাপলারের প্রতিবেদনে উঠে আসে অপরাধীরা প্রায়ই শাস্তি এড়াতে সক্ষম হয়েছেন। শুধুমাত্র একটি ক্ষেত্রে একজন কূটনীতিক কর্তৃক গৃহকর্মীকে শারীরিকভাবে নির্যাতনের ভিডিও ভাইরাল হওয়ার পর জন ক্ষোভের জন্ম হলে ওই ভুক্তভোগী ন্যায়বিচার পান। এ বিষয়ের ওপর প্রতিবেদক দলের তথ্যচিত্রটি এখানে দেখুন।

সিঙ্গাপুরে পুনর্ব্যবহারের জন্য সংগৃহীত জুতাগুলো কোথায় যায়? (সিঙ্গাপুর)

ছবি: শাটারস্টক

পুরানো জুতা পুনর্ব্যবহার করে খেলার মাঠ ও রানিং ট্র্যাক তৈরির জন্য সিঙ্গাপুর সরকারের সঙ্গে চুক্তি করেছিল মার্কিন পেট্রোকেমিক্যাল কোম্পানি ডাও। বিষয়টি ঘিরে অনুসন্ধান চালানোর জন্য রয়টার্সের দলটি দানকৃত ১১ জোড়া জুতাতে ট্র্যাকিং ডিভাইস স্থাপন করে এবং ছয় মাস ধরে অনুসরণ করে যে, জুতাগুলো কোথায় কিভাবে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। রিপোর্টিং দলটি দেখতে পায়, পুনর্ব্যবহারের উদ্দেশ্যে নিলেও বেশিরভাগ জুতাই ইন্দোনেশিয়ার সেকেন্ড-হ্যান্ড বাজারে রপ্তানি করা হয়। প্রতিবেদনটি প্রকাশ হওয়ার পর ডাওয়ের পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে বলা হয়, সিঙ্গাপুরের যে কোম্পানিটি অনুদানের জুতা সংগ্রহ ও গুদামজাতের দায়িত্বে ছিল তাদের সঙ্গে চুক্তি বাতিল করা হয়েছে।

নারী গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের ওপর সাইবার হামলা (মিয়ানমার)

ছবি: শাটারস্টক

সমালোচকদের মুখ বন্ধ করা ও ক্ষমতা ধরে রাখতে বিভিন্ন কৌশল ব্যবহার করেছে মিয়ানমারের জান্তা সরকার। এর মধ্যে একটি হলো গণতন্ত্রপন্থী নারী অ্যাক্টিভিস্টদের ওপর সাইবার হামলা। সিএনএনের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, গণতন্ত্রপন্থী পুরুষ কর্মীদের ওপর পরিচালিত আক্রমণের তুলনায় নারীর ওপর চালানো আক্রমণগুলো ভিন্ন বৈশিষ্ট্যযুক্ত। মিয়ানমারে ফেসবুক বন্ধের পর টেলিগ্রামের মতো চ্যানেলে নারীদের ব্যক্তিগত ছবি এবং ভিডিও ছড়িয়ে আক্রমণের বিষয়বস্তুতে পরিণত করা হয়। বিষয়টির আরো গভীরে অনুসন্ধানের উদ্দেশ্যে মিয়ানমারের একটি এনজিওর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করে সিএনএন। এ সময় তারা ১০টি পাবলিক টেলিগ্রাম চ্যানেলে মিয়ানমারের জান্তা সরকার সমর্থিত ১ লাখ ৭৮ হাজার পোস্ট বিশ্লেষণ করে। যেখানে ৯৮ শতাংশ নারী অ্যাক্টিভিস্টকে লক্ষ্য করে ১ হাজার ১৯৯টি যৌন উস্কানিমূলক বার্তা, ২০৪টি ব্যক্তিগত ছবি এবং ১৮৭টি যৌন উস্কানিমূলক ভিডিও ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টি ঘিরে প্রতিক্রিয়া জানাতে টেলিগ্রামের পক্ষ থেকে দাবি করা হয় যে, এর “মডারেটররা প্ল্যাটফর্ম থেকে এ ধরনের কন্টেন্ট সরাতে সক্রিয় মডারেশন ও ব্যবহারকারীর প্রতিবেদনের সংমিশ্রণ ব্যবহার করে।”

উৎপাদন প্রক্রিয়ায় অবৈধ কাঠ ব্যবহার করে শীর্ষ ফ্যাশন ব্র্যান্ড (কম্বোডিয়া)

ছবি: স্ক্রিনশট, মোঙ্গাবে

কম্বোডিয়ার অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে তৈরি পোশাক শিল্প। দেশটির ১ হাজার ২০০টি কারখানায় প্রায় সাড়ে ৭ লাখ শ্রমিক নিয়োজিত, যারা এইচঅ্যান্ডএম, গ্যাপ, লেভি স্ট্রস এবং ইন্ডিটেক্স (জারা)-এর মতো সুপরিচিত ব্র্যান্ডের পণ্য তৈরিতে কাজ করে। উন্মুক্ত তথ্য, স্যাটেলাইট থেকে প্রাপ্ত ছবি এবং বনাঞ্চলে কাঠ কাটার কাজে নিয়োজিত ব্যক্তি ও মধ্যস্বত্বভোগীদের সঙ্গে কথা বলে মোঙ্গাবের প্রতিবেদকেরা দেখতে পান শিল্পটিকে টিকিয়ে রাখতে অবৈধভাবে সংগৃহীত কাঠ নিয়মিতভাবে কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহার করা হয়। বেশিরভাগ কারখানা এবং আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডগুলো তাদের পক্ষ থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি, বাকিরা মোঙ্গাবের প্রতিবেদনকে অস্বীকার করেছে। কম্বোডিয়ান গার্মেন্টস অ্যাসোসিয়েশন ট্রেড গ্রুপও প্রতিবেদনটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করার পাশাপাশি দাবি করেছে কাঁচামালের ভারসাম্যহীন সরবরাহ ও উচ্চ মূল্য পরিস্থিতির কারণে শিল্পটি অবৈধ কাঠের ওপর নির্ভর করবে না।

বন উজাড়কে কেন্দ্র করে আরো একটি চমৎকার অনুসন্ধান: ২০২১ সালে নিষেধাজ্ঞা আরোপের পর মিয়ানমারের সেগুন কাঠ এখনও কীভাবে ইইউতে আমদানি করা হচ্ছে তার ওপর আর্টিটিভির একটি তথ্যচিত্র


Kholikul Alimখলিকুল আলিম ইন্দোনেশিয়ার জাকার্তাভিত্তিক অলাভজনক মিডিয়া ও জিআইজেএন সদস্য জারিং.আইডির ব্যবস্থাপনা সম্পাদক। গত পাঁচ বছর ধরে তিনি ডেটা সাংবাদিকতা এবং ডিজিটাল নিরাপত্তার ওপর সাংবাদিকদের প্রশিক্ষণ ও পরামর্শ প্রদান করছেন।

 

ত্রি জোকো হার রিয়াদি ২০০৭ সালে পিকিরান রাকয়াতের সাংবাদিক হিসেবে কাজ শুরু করেন। তিনি বর্তমানে জিআইজিএন ইন্দোনেশিয়ান সম্পাদক। এছাড়াও তিনি বান্দুংবার্গেরাকের এডিটর-ইন-চিফ পদে কাজ করছেন। বিকল্প এ মিডিয়া আউটলেট ইন্দোনেশিয়ার বান্দুং সম্পর্কে ডেটা-নির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করে। তিনি এলিজাবেথ ও’নিল জার্নালিজম অ্যাওয়ার্ডসহ সাংবাদিকতার ওপর বিভিন্ন আঞ্চলিক পুরস্কার জিতেছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

environmental spill ocean liquid natural gas terminal

পরামর্শ ও টুল সংবাদ ও বিশ্লেষণ

কীভাবে খুঁজবেন, পরিবেশের ক্ষতির পেছনে কে বা কারা জড়িত?

পরিবেশ সম্পর্কিত যে কোন অবৈধ কাজের সঙ্গে অনেক বেশি আর্থিক সংশ্লেষ থাকে। আর তা উন্মোচনের জন্য নিবিড়ভাবে জানতে হয় বিভিন্ন অঞ্চল, আর সেখানকার আইন কানুন, গতিবিধি পর্যবেক্ষণ করতে হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের। এ ধরনের প্রতিবেদন তৈরিতে কিছু কৌশল সাংবাদিকদের সাহায্য করতে পারে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

ব্যক্তিগত বন্দিশালা, ওয়াটার মাফিয়া, ইউক্রেনে অস্ত্র সরবরাহ: ২০২৩ সালে পাকিস্তানের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

প্রতিকূল পরিবেশের মধ্যেও ২০২৩ সালে পাকিস্তান থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমন ৮টি প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

চিংড়ি চোরাচালান, হাসপাতালে অগ্নিকাণ্ড, তামাক শিল্পের ক্ষতিকর প্রভাব: চীন, হংকং ও তাইওয়ানের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অনেক বাধাবিপত্তি ও চ্যালেঞ্জের মুখেও চীন, হংকং ও তাইওয়ান থেকে ২০২৩ সালে প্রকাশিত হয়েছে প্রভাব তৈরির মতো অনুসন্ধানী প্রতিবেদন। এমনই কিছু প্রতিবেদন জায়গা করে নিয়েছে জিআইজেএনের সম্পাদকের বাছাইয়ে।

সংবাদ ও বিশ্লেষণ সম্পাদকের বাছাই

ভারতের ২০২৩ সালের সেরা অনুসন্ধানী প্রতিবেদন: স্পাইওয়্যার বেচাকেনা, ভারতীয় ভূখণ্ডে চীনা দখলদারিত্ব ও বিষাক্ত কফ সিরাপ

নানাবিধ বাধাবিপত্তি ও সীমাবদ্ধতার মধ্যেও ২০২৩ সালে ভারত থেকে প্রকাশিত হয়েছে সাড়া জাগানো কিছু অনুসন্ধানী প্রতিবেদন, যেগুলো উন্মোচন করেছে ধোঁয়াশাপূর্ণ রাষ্ট্রীয় চুক্তি, শ্রম পরিস্থিতি, ঝুঁকিপূর্ণ ওষুধ, সীমান্ত দ্বন্দ্বের মতো বিষয়।