Image: Shutterstock
যুক্তরাষ্ট্রের আদালত কেলেঙ্কারি, যেভাবে উন্মোচন প্রোপাবলিকার
“২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে রিপাবলিকান পার্টির দাতা ও শতকোটিপতি হারলান ক্রোর কাছ থেকে সুযোগ-সুবিধা নিয়ে আসছেন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ক্লারেন্স থমাস।
হারলান ক্রোর সৌজন্যে অবকাশ যাপনে গেছেন বিলাসবহুল গন্তব্যে। কখনও ক্রোর দামি প্রমোদতরিতে, কখনও বা তাঁর ব্যক্তিগত জেটে চড়ে দূরদূরান্তে ঘুরে বেড়িয়েছেন তিনি। সঙ্গ নিয়েছেন ক্রোর প্রভাবশালী বন্ধুবান্ধবদের, থেকেছেন শতকোটিপতি ক্রোর ব্যক্তিগত অবকাশযাপন কেন্দ্রে।
ক্রোর বদান্যতার সীমা কতদূর ছড়িয়েছিল সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি।
“ক্লারেন্স থমাস অ্যান্ড দ্য বিলিয়েনেয়ার,” জোশুয়া কাপলান, জাস্টিন এলিয়ট ও অ্যালেক্স মিয়ারজেস্কির অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের সূচনা ছিল এই।
প্রোপাবলিকার করা ধারাবাহিক প্রতিবেদনগুলোর প্রথম পর্ব যুক্তরাষ্ট্রে সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের আচরণবিধির তদারকিতে যে দুর্বলতা রয়েছে তা উন্মোচন করে দেয়।
অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে বিচারপতিদের কেউ কেউ প্রভাবশালী ও ধণাঢ্য ব্যক্তিদের কাছ থেকে মূল্যবান উপঢৌকন গ্রহণ করেছেন, অবকাশযাপনে বিশ্বব্যাপী ঘুরে বেড়িয়েছেন। এই ধারাবাহিকে পর্দার আড়ালে বিচারপতি ও ধণাঢ্য ব্যক্তিদেরও যে যোগাযোগ তা ফাঁস করে দেয় প্রোপাবলিকা।
এ ধরনের প্রতিবেদনের দৃষ্টান্ত খুব বেশি নেই। ফলশ্রুতিতে উচ্চ আদালত দ্রুতই অভ্যন্তরীণ সংস্কারের ঐতিহাসিক উদ্যোগ নেয়।
ধারাবাহিকটি শুরু হয়েছে বিচারপতি ক্লারেন্স থমাস ও শতকোটিপতি আবাসন ব্যবসায়ী হারলান ক্রোর সুসম্পর্কের গল্প দিয়ে।
জশুয়া কাপলান, জাস্টিন এলিয়ট ও অ্যালেক্স মিয়ারজেস্কি জানাচ্ছেন, এই দুই ব্যক্তির পরিচয় হয়েছিল তিনদশক আগে।
২০১৯ সালে আদালতের জুন অধিবেশন শেষ হওয়ার পরপরই থমাস ও তার স্ত্রী ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে ইন্দোনেশিয়ায় পাড়ি জমান।
প্রতিবেদনে রিপোর্টাররা এই ভ্রমণের বিবরণ দিয়েছেন এভাবে, “একজন ব্যক্তিগত বাবুর্চি ও একদল কর্মচারীসহ একটি বিলাসবহুল প্রমোদতরিতে (সুপারইয়ট) করে ইন্দোনেশিয়ার দ্বীপপুঞ্জে তিনি ঘুরে বেড়ান। কোনো একসময়ে সাগরের নিচে আগ্নেয়গিরির অগ্নুৎপাত থেকে এই দ্বীপপুঞ্জের উৎপত্তি। তাঁদের এই ভ্রমণের মেয়াদ ছিল নয়দিন।”
এককভাবে একটি প্রমোদতরি কিংবা উড়োজাহাজ ভাড়া নিলে খরচ পড়বে অর্ধ মিলিয়ন ডলারেরও বেশি। তবে প্রতিবেদকেরা জানাচ্ছেন, কোনো কিছুর জন্যই থমাসকে কানাকড়ি দিতে হয়নি। বরং তাঁর হয়ে অর্থ পরিশোধ করেছেন ক্রো।
দুই দশকেরও বেশি সময় ধরে প্রায় প্রতিবছর ক্রোর পৃষ্ঠপোষকতায় এ ধরনের ব্যয়বহুল অবকাশযাপন করেছেন থমাস
প্রতিবেদনটি বলছে, “ক্রোর সঙ্গে থমাস ক্যালিফোর্নিয়ার বোহেমিয়ান গ্রোভ পরিদর্শনে যান।” বছরে একবার বিশ্বের বিশিষ্ট অভিজাত ও প্রভাবশালী পুরুষেরা দুই সপ্তাহের জন্য বোহেমিয়ান গ্রোভে আসেন।
প্রতিবেদনে আরও উল্লেখ করা হয় “এ ধরনের বিশেষ আয়োজনে অংশগ্রহণ ছাড়াও পূর্ব টেক্সাসে ক্রোর বিশাল খামারে তিনি সময় কাটান। সাধারণত প্রতি গ্রীষ্মে উত্তর-পূর্ব নিউ ইয়র্কের অ্যাডিরনড্যাকে ক্রোর ব্যক্তিগত অবকাশযাপন কেন্দ্রে থমাস এক সপ্তাহ থাকেন।
এ ধরনের সফরের অর্থ হচ্ছে, ভেরিজন অ্যান্ড প্রাইসওয়াটারহাউসকুপার্সসহ ক্ষমতাবান কর্পোরেট মুঘল থেকে শুরু করে লিওনার্ড লিওর মতো রাজনৈতিক কর্মীদের সঙ্গে থমাসের ওঠাবসা ছিল।
প্রোপাবলিকা জানাচ্ছে, “ফেডারেলিস্ট সোসাইটির নেতা লিওনার্ড লিও সুপ্রিম কোর্টকে ক্রমশ রক্ষণশীল দক্ষিণপন্থার দিকে ঠেলে দেওয়ার অন্যতম কারিগর।”
নীতিশাস্ত্র বিশেষজ্ঞসহ চারজন ফেডারেল বিচারপতি বলেন,”অবকাশযাপনের এ ধরনের সুবিধা নিয়ে থমাস বিচারকদের দীর্ঘদিনের চর্চিত আচারণবিধি ভঙ্গ করেছেন।” এঁদের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত এবং দায়িত্বরত বিচারক রয়েছেন।
আরও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, ভ্রমণসংক্রান্ত তথ্যগুলো থমাস তাঁর বার্ষিক আর্থিক বিবরণীতে তালিকাভুক্ত করেননি। যদিও নিয়ম অনুসারে ৪১৫ ডলারের বেশি মূল্যের উপহার প্রাপ্তির কথা নথিবদ্ধ করার কথা। অনুসন্ধানী সাংবাদিকেরা বলছেন, এ ধরনের তথ্য প্রকাশের নিয়ম থাকা সত্ত্বেও প্রোপাবলিকার অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশের আগ পর্যন্ত সুপ্রিম কোর্টের নীতিনৈতিকতা বিষয়ক আচরণবিধি ছিল না।
বিশেষ করে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ভ্রমণ এবং প্রমোদতরীতে ঘুরে বেড়নোর তথ্য প্রকাশ করা উচিত ছিল বলে মত দিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রতিবেদকেরা এ বিষয়ে দুইজন নীতিশাস্ত্র বিশেষজ্ঞের সঙ্গে কথা বলেছেন। যাঁরা মনে করেন “ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে ভ্রমণের তথ্য প্রকাশ না করে থমাস ওয়াটারগেট কেলেঙ্কারি পরবর্তী প্রবর্তিত আইনের লঙ্ঘন করেছেন।
এ আইন অনুসারে বিচারপতি, বিচারক, কংগ্রেসের সদস্য এবং ফেডারেল কর্মকর্তাদের উপহারপ্রাপ্তির তথ্য প্রকাশের বিধান রয়েছে।”
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে যে, ক্রো “বিচার ব্যবস্থাকে প্রভাবিত করার চেষ্টা করা হয়েছে – এ কথা মানতে নারাজ। তবে তিনি বলেছেন, তিনি তাঁর আর সব প্রিয় বন্ধুদের জন্য যেমনটা করেন তেমনভাবে থমাসের জন্যও আতিথেয়তার হাত বাড়িয়েছেন।”
এ অনুসন্ধান থেকে উঠে আসা অন্যান্য তথ্যের মধ্যে রয়েছে:
- থমাস “নিজের ছেলে হিসাবে” একজনকে বড় করছেন। সেই কিশোরের জন্য ক্রো বোর্ডিং স্কুলের টিউশন ফি বাবদ প্রতিমাসে ৬ হাজার ডলারের বেশি টাকা দিয়েছেন। স্কুলের সাবেক প্রশাসনিক কর্মকর্তা জানান, “প্রায় এক বছর ধরে মার্টিনের সমস্ত টিউশন ফি মিটিয়েছেন ক্রো”।
- প্রোপাবলিকার প্রতিবেদন অনুসারে, ২০০৮ সালের জুলাইয়ে “মাছ ধরার জাঁকজমকপূর্ণ উৎসবে” জিওপির (জিওপি- গ্র্যান্ড ওল্ড পার্টি বা রিপাবলিকান পার্টি নামেও পরিচিত) শতকোটিপতি পল সিঙ্গারের সঙ্গে যোগ দেন বিচারপতি স্যামুয়েল অ্যালিটো।
- পলের ব্যক্তিগত জেটে অ্যালিটো যাতায়াত করেছেন। এখানেও সব খরচা মিটিয়েছেন পল। এরপর দেখা যায় যে পলের প্রতিষ্ঠান সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা করেছে। অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, অ্যালিটো বার্ষিক খরচের প্রতিবেদনে ব্যক্তিগত উড়োজাহাজে করে ভ্রমণের কথা চেপে গেছেন।
- ওই ট্রিপে অ্যালিটোর আবাসনের ব্যবস্থা করেন রবিন আর্কলি জুনিয়র। তিনি বন্ধকী ঋণ সংস্থার মালিক। প্রতিবেদকেরা জানান, আর্কলি “সম্প্রতি মাছ ধরার সুবিধাসহ বিশাল একটি খামারবাড়ি অধিগ্রহণ করেছেন।” বার্ষিক প্রতিবেদনে অ্যালিটো এ তথ্যও এড়িয়ে যান। এ সব তথ্যই হস্তগত করেছেন সাংবাদিকেরা।
- থমাস কোচ নেটওয়ার্ক আয়োজিত দুটি দাতা সম্মেলনে যোগ দেন। এই সংগঠনটি রাজনৈতিক, এবং এর গোড়াপত্তন করেন ধনকুবের চার্লস ও ডেভিড কোচ। সাংবাদিকেরা বলছেন, একটি রাজনৈতিক নেটওয়ার্ককে সমর্থনের মাধ্যমে থমাস পরোক্ষভাবে এমন কিছু করেছেন, যার নজির নেই। কারণ কোচ নামের এই সংগঠনের বহু মামলা আছে সুপ্রিম কোর্টে।
- ক্রো এবং তার স্ত্রী ক্যাথি থমাসের অষ্টম গ্রেডের শিক্ষকের সম্মানে একটি সাত ফুট লম্বা ব্রোঞ্জের মূর্তি নির্মাণ ও এর পর্দা উন্মোচন অনুষ্ঠানে অর্থায়ন করেন। নিউ ইয়র্ক সিটির এক উপশহরে ২০২১ সালের অক্টোবরে এ উপলক্ষ্যে একটি অনুষ্ঠান হয়। ওই অনুষ্ঠানে থমাস বক্তব্য রাখেন।
বছরব্যাপী অনুসন্ধানের ফলাফল:
- গত মে মাসে সিনেটের বিচার বিভাগীয় কমিটি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের নীতিনৈতিকতা বিষয়ক আচরণবিধি সংস্কারের উপর একটি পূর্ণাঙ্গ শুনানি করে। একই বছরের নভেম্বরে, কমিটি লিও এবং ক্রোর নামে সাবপোয়েনা (আদালতের আদেশ) জারি করে। (সম্পাদকের দ্রষ্টব্য: লিও তদন্তকে “রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত” বলে উল্লেখ করে কংগ্রেসের সাবপোয়েনায় সাড়া দিতে অস্বীকৃতি জানান।”)
- সুপ্রিম কোর্ট ২০২৩ সালের নভেম্বরে প্রথমবারের মতো আচরণবিধি প্রবর্তন করে।
- ক্যাম্পেইন লিগ্যাল সেন্টার এবং প্রজেক্ট অন গভর্নমেন্ট ওভারসাইট ধনকুবের ক্রোর পৃষ্ঠপোষকতায় আয়োজিত ভ্রমণের তথ্য প্রকাশ না করায় থমাসের বিরুদ্ধে বিচারবিভাগকে তদন্তের আহ্বান জানায়। ক্যাম্পেইন লিগ্যাল সেন্টার এবং প্রজেক্ট অন গভর্নমেন্ট ওভারসাইট একটি নির্দলীয় প্রতিষ্ঠান। এদের কাজ বিচারবিভাগের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোয় নীতিনৈতিকতা বিষয়ক আচরণবিধি অনুসরণ করা হচ্ছে কি না তা পর্যবেক্ষণ করা।
- এ ছাড়া আরও ৪০টির বেশি ওয়াচডগ গোষ্ঠী রাজনৈতিক দাতা সংশ্লিষ্ট মামলা থেকে থমাস এবং অ্যালিটোকে লম্বা সময়ের জন্য প্রত্যাহারের আহ্বান জানায়। যদিও বিচারপতিরা প্রত্যাহারের এই দাবি নাচক করে দেন।
ক্যাপলান, এলিয়ট এবং মিরজেস্কির অনুসন্ধানের সবচেয়ে শিক্ষনীয় দিকটি হচ্ছে, বিচার ব্যবস্থার সবগুলো পর্যায়ে চুলচেরা নিরীক্ষার প্রয়োজন রয়েছে।
প্রোপাবলিকা অনুসন্ধানী রিপোর্টার জাস্টিন এলিয়ট বলেন, “এ থেকে যে শিক্ষাটি আমরা পাই তা হল জাতীয় (ফেডারেল) পর্যায় থেকে শুরু করে প্রাদেশিক ও স্থানীয় [পর্যায়] পর্যন্ত আদালত সম্পূর্ণরূপে দুর্ভেদ্য।”
তিনি সাংবাদিকদের বিচারিক বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দিয়ে বেশি বেশি প্রতিবেদন করার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, “জাতীয়, প্রাদেশিক কিংবা স্থানীয় যে পর্যায়েরই হোক না কেন সাংবাদিকদের আদালতের বিষয়গুলোকে প্রাধান্য দেওয়ার পরামর্শ দেব।”
প্রোপাবলিকার অনুসন্ধানী রিপোর্টার জাস্টিন এলিয়ট বলেন, “এ থেকে যে শিক্ষাটি আমরা পাই তা হল জাতীয় (ফেডারেল) পর্যায় থেকে শুরু করে প্রাদেশিক ও স্থানীয় পর্যায় পর্যন্ত আদালত নিয়ে প্রতিবেদন হয় অপেক্ষাকৃত কম। আমার দিক থেকে একটা পরামর্শ থাকবে, কি কি প্রতিবেদন করবেন মনে মনে যখন এই তালিকাটা করবেন তখন বিচারক বিচারবিভাগের কথা ভুলবেন না। ”
কীভাবে আদালত বিষয়ক প্রতিবেদন তৈরি করবেন প্রোপাবলিকা প্রতিবেদকেরা সে বিষয়ক সাতটি পরামর্শ তুলে ধরেছেন দ্য জার্নালিস্টস রিসোর্সের কাছে।
১. জন ব্যক্তিত্বদের (পাবলিক ফিগার) আশেপাশে বিচরণ করেন এমন লোকেদের কথা মাথায় রাখুন।
কেননা রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ কোনো ব্যক্তি যখন এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় যান, তার জন্য ব্যাপক আয়োজনের প্রয়োজন পড়ে।
এলিয়ট বলেন,”যা মোটেই কোনো সাধারণ ব্যক্তির ইউরোপ বা অন্য কোথাও ভ্রমণে যাওয়ার মতো নয়।”
এ ধরনের কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তি যদি ব্যক্তিগত উড়োজাহাজ বা প্রমোদতরিতে ভ্রমণ করেন, তখন বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন চালক ও কর্মীর প্রয়োজন পড়ে। প্রোপাবলিকার প্রতিবেদকেরা খুঁজে বের করেছেন যে, ক্রোর প্রমোদতরী দেখাশোনার কাজে এক ডজন কর্মীর একটি বাহিনী নিয়োজিত রয়েছে।”
এলিয়ট বলেন, “আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম যে ওদের কয়েকজনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করব। সুতরাং আমরা কোল্ড কল (পূর্ব পরিচয় ছাড়াই বিক্রয় কর্মীরা যখন পণ্য সম্পর্কিত তথ্য দিতে বা বিক্রির জন্য অপরিচিত গ্রাহকদের ফোন করেন) করতে শুরু করি।”
২. অপরিচিত হওয়ার সুবিধা নিন, তবে কোল্ড কলের সময় লটারি খেলতে প্রস্তুত থাকুন।
কাপলান আরো বলেন, “মেধাবী অনেক আদালত প্রতিবেদক” আছেন, সোর্সের সঙ্গে যাদের চমৎকার সম্পর্ক। তাদের সোর্সরাও সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তগুলোর চমৎকার ব্যাখা দিতে পারদর্শী। কিন্তু প্রোপাবলিকার প্রতিবেদক দলটি এ ধরনের কোনও সূত্রের সঙ্গে কথা বলে কাজ শুরু করেনি। আর তাতে তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি।
প্রমোদতরিতে থাকা কর্মচারীদের হয়তো আদালত প্রতিনিধিকে তেমন কোনো তথ্য দেওয়ার নেই। তবে ওই কর্মচারীরা আমাদের জন্য তৃতীয় সূত্র হিসেবে কাজ করেছেন। তৃতীয় সূত্রের আদালতের নিয়মিত কাজের সঙ্গে সরাসরি কোনো সম্পর্ক নেই। তবে আদালতের বাইরে বিচারপতিরা কার সঙ্গে সময় কাটাচ্ছেন, সেই গল্পগুলো তাঁদের জানা।”
কাপলান বলেন, “বলতে গেলে আমাদের শুরু করতে হয়েছিল শূন্য থেকে। গোটা প্রক্রিয়াতেই অনেক বেশি সৃজনশীলতার প্রমাণ রাখতে হয়। আমরা নিরলসভাবে এমন লোকদের সঙ্গে কথা বলেছি যারা ওয়াশিংটন থেকে অনেক দূরে বসবাস করেন, তা ছাড়া জাতীয় রাজনীতির সঙ্গেও যাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বছর খানেকের মাথায় আমাদের নেওয়া কৌশলগুলো ক্রমান্নয়ে অনুসন্ধানের নতুন দিক উন্মোচনে সহায়তা করে।”
কাপলান বলেন,”গোটা প্রক্রিয়াতেই অনেক বেশি সৃজনশীল হতে হয়েছে আমাদেরও এবং বছরের ব্যবধানে আমাদের কাজ অনুসন্ধানের নতুন দিক উন্মোচনে সাহায্য করে।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা নিরলসভাবে এমন লোকদের সঙ্গে কথা বলছিলাম যারা ওয়াশিংটন থেকে অনেক দূরে বসবাস করেন। তাছাড়া জাতীয় রাজনীতির সঙ্গেও তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। বছরের ব্যবধানে এ পদক্ষেপগুলো ক্রমান্নয়ে অনুসন্ধানের নতুন দিক উন্মোচনে সহায়তা করে।
প্রমোদতরি থেকে অ্যাডিরনড্যাকস রিসোর্ট এবং আলাস্কান ফিশিং লজসহ (মাছ ধরার সুবিধা রয়েছে এমন খামার বাড়ি) অন্যান্য জায়গাতেও এই পরিষেবা কর্মীরা কাজ করেছেন। তাঁরাই আমাদের অনুসন্ধানের “সত্যিকারের মেরুদণ্ড হিসেবে কাজ করেছেন,” বলে উল্লেখ করেন কাপলান।
তিনি বলেন, “বিষয়টি মোটেও এমন ছিল না যে, কেবল একজন ব্যক্তির কাছেই দুর্ভেদ্য দূর্গে প্রবেশের চাবি ছিল কিংবা একজনের কাছ থেকেই আমরা পুরো তথ্য নিতে সক্ষম হয়েছি। ধাঁধার সূত্র টুকরো টুকরোভাবে অনেকের কাছেই ছিল।”
কাপলানের ধারণা, ধারাবাহিক এই প্রতিবেদনটি করতে তাঁরা এক হাজারেরও বেশি ফোন কল করেছেন।
এলিয়ট বলেন, “এটি সত্যিই একটি সংখ্যার খেলা। অনেক, অনেক, অনেক, অনেক লোক আমাদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়নি বা আমাদের ফিরতি ফোন করেনি।”
৩. আপনার অনুসন্ধানের ব্যাপ্তি সম্পর্কে ধারণা দিন এবং সোর্সের আস্থা অর্জন করুন। পাশাপাশি তাদের “অন দ্য রেকর্ড”, “অফ দ্য রেকর্ড” এবং “অন ব্যাকগ্রাউন্ড” সম্পর্কিত বিষয়গুলো বুঝিয়ে দিন।
সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার অভিজ্ঞতা নেই এমন সোর্সের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় আস্থা বিশ্বাস তৈরি করাটা ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।
প্রোপাবলিকার অনুসন্ধানী দলটি দেখেছে যে, অনুসন্ধানের বৃহত্তর প্রেক্ষাপট সম্পর্কে জানার পরই ওই সোর্সরা রিপোর্টারদের সঙ্গে কথা বলতে রাজি হয়েছে।
এলিয়ট বলেন, “সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে কারা সহজেই যোগাযোগ করতে সক্ষম সে সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা থাকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাজনৈতিক পরিচয় যা-ই হোক না কেন, জনস্বার্থ বিবেচনায় আমাদের সবার জানা উচিত সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতিদের সঙ্গে দহরম-মহরম কাদের, কারা দেশের সবচেয়ে প্রভাবশালী সরকারী কর্মকর্তাদের প্রভাবিত করছেন।”
তিনি আরো বলেন, “আমরা যদি ইলানা কাগান বা সোনিয়া সোটোমায়রকে নিয়ে লিখতাম তাহলেও একই ভাবেই কাজ করতাম।” এই দুই বিচারপতি মতাদর্শের দিক থেকে উদারপন্থী বলে বিবেচিত হয়ে থাকেন।
আরও বলব, ধৈর্য ধরুন এবং ব্যাখ্যা করুন যে তাদের তথ্যগুলো কীভাবে ব্যবহার করা হবে। অর্থাৎ, অন দ্য রেকর্ড, অফ দ্য রেকর্ড এবং অন ব্যাকগ্রাউন্ড এভাবে বুঝিয়ে বললে আপনি আপনার সোর্সদের কাছ থেকে অনেক বেশি তথ্য নিতে পারবেন।
ডেভিড কাপলান বলেন, “অনেকেই আছেন যারা এর আগে কখনও কোন রিপোর্টারের সঙ্গে কথা বলেননি। কেননা তারা বুঝতে পারে না কতটা গুরুত্বে সঙ্গে তাদের গোপনীয়তার বিষয়গুলো রক্ষা করা হবে। আমি মনে করি লোকেদের সম্পর্কে জানা, তাদের বিশ্বাস অর্জনের জন্য সময় নেওয়াটা গুরুত্বপূর্ণ।”
৪. সবার সঙ্গে কাজ ভাগাভাগি করে নিন, দলগত কাজের সুবিধা নিন।
এ ধরনের একটি অনুসন্ধানী কাজে শত শত ফোন কল ও দিস্তা দিস্তা রেকর্ড পড়তে হয়। তাই ছোট ছোট দল করে কাজ ভাগ করে নিলে সময় বাঁচে। আর অংশীদারত্বমূলক কাজের পথও সুগম করে দেয়।
মিয়ারজেস্কি বলেন যে, “এভাবে কাজ ভাগাভাগির সুবিধা হলো, যখন একের পর এক ফোন আসছে, তখনও আমাদের হাতে চা-নাস্তা খাওয়ার সময় ছিল। ঠান্ডা মাথায় তথ্য খোঁজার সুযোগ হয়েছিল বলে এই প্রতিবেদনের অনেক তথ্যই এসেছে।”
এই ধারাবাহিকে এলিয়ট ও কাপলান তথ্যদাতাদের খুঁজে বের করার কাজ করেছেন। মিয়েরজেস্কি ব্যস্ত ছিলেন অন্যান্য বিষয়গুলো চিহ্নিত করার কাজে। যেমন ক্যাথলিক সিমিট্রি ম্যাগাজিনে থমাসের শিক্ষকের স্মরণে তৈরি মূর্তি বিষয়ক প্রতিবেদনটি তিনিই খুঁজে বের করেন। আরও গভীরে খোঁজখবর নিয়ে জানতে পারেন, এই মূর্তি তৈরিতে ক্রো এবং তাঁর স্ত্রী টাকা ঢেলেছেন।
দলীয় কাজের কিছু মানসিক সুবিধাও রয়েছে। সাংবাদিকতা পেশার অন্তর্নিহিত মানসিক চ্যালেঞ্জ আছে। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় দলবদ্ধতা সাহায্য করে। বিশেষ করে কেউ যখন প্রতিবন্ধকতার মুখোমুখি হন, বাকিরা তখন তাঁকে এগিয়ে যেতে উৎসাহিত করেন।
এলিয়ট বলছিলেন, “একা একা একটি ঘরে বসে আপনি যদি পরপর সাতজনকে ফোন করেন, আর তারা পাল্টা প্রশ্ন করে আপনাকে জিজ্ঞাসা করে যে, আপনি কীভাবে তাদের নম্বর পেলেন, তারপর ফোনটি তারা কেটে দেয়, সেক্ষেত্রে আপনি হতাশায় ডুবে যেতে পারেন। এমন একটা পরিস্থিতির কথা ভাবতেই আমার মনের ওপর চাপ পড়ছে। বিষয়টা অনেকটা শরীর চর্চা কেন্দ্রে যাওয়ার মতো। আপনার যদি একজন সঙ্গী থাকে তবে কাজটি করা অনেকটাই সহজ হয়।”
এলিয়ট, কাপলান এবং মিয়ারজেস্কি লাগাতার সোর্সদের সঙ্গে যোগাযোগের কাজটি করে গেছেন। এ বিষয়ে কাপলান বলেছেন যে, এতে করে তাৎক্ষণিকভাবে অনেক কিছুরই সমাধা হয়েছে। যেমন, পোলো শার্টের ওপর ক্রোর প্রমোদতরির লোগো থেকে আমরা ধারণা করতে পেরেছিলাম যে, প্রমোদতরিতে থমাস কোথায় কখন অবস্থান করছেন।”
মিয়ারজেস্কি বলেন “আমার মনে আছে। সময়টা হবে শুক্রবার রাত ১০টার মতো। আমাদের দলের একজন হঠাৎ করেই ঝুঝতে পারেন যে শার্টের মধ্যে প্রমোদতরি মাইকেলা রোজের লোগো বসানো রয়েছে। যা অন্যান্য সম্ভাব্য ভ্রমণ গন্তব্যগুলো খুঁজে পাওয়ার একটি উপায় হতে পারে। আর তখনই আমাদের সিগনাল চ্যাট একের পর এক তথ্য এসে জমা হতে থাকে।”
এ প্রসঙ্গে এলিয়ট যোগ করেছেন, “এরপর আমরা বিচারপতি থমাসের পোলো শার্ট পরা প্রতিটি ছবিতে খুঁজতে শুরু করি।”
৫. ভিজ্যুয়াল প্রমাণ খুঁজুন, বিশেষ করে মূল সোর্স যদি কথা বলতে রাজি না হয়।
কাপলান বলেন, আলাস্কা ভ্রমণের সময় ক্রো এবং অ্যালিটোর সঙ্গে থমাসের হাতেও মাছ থাকার বিষয়টা প্রতিবেদনকে শক্ত ভিত্তি দিয়েছে। ছবিটি দেখেই মানুষ বুঝতে পেরেছে, পর্দার অন্তরালে গল্প আছে আরও। এতে করে আমাদের অনুসন্ধান আরও বহু মানুষের কাছে পৌঁছেছে।
এলিয়ট বলেন, এই প্রতিবেদনে আমাদের বলা গল্পের চেয়েও আলোকচিত্রগুলো ছিল অনেক বেশি শক্তিশালী। রিপোর্টাররা কিছু ছবি ইনস্টাগ্রাম এবং ফেসবুকের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খুঁজে পান। ছবিগুলো কেবল ভালো দৃষ্টান্তই ছিল না। বরং বিচারকদের কখন কোথায় যাচ্ছেন তার প্রমাণও হাজির করে।
অ্যালিটো পরোক্ষভাবে ওয়াল স্ট্রিট জার্নালে মতামত লিখে প্রোপাবলিকার সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দিয়েছেন।
থমাস অবশ্য সিরিজের প্রথম প্রতিবেদন প্রকাশিত হওয়ার আগ পর্যন্ত নীরবই ছিলেন।
এলিয়ট বলেন,”বিচারপতি থমাসকে আমরা বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিলাম, সঙ্গে ছিল বিস্তারিত বর্ণনাও। প্রতিটি প্রশ্নের শেষে আমরা জানতে চাই, “আপনি কী মনে করেন যে আপনার এটি করার অধিকার আছে, আপনি এটি ভুল করেছেন। কিন্তু তাঁর কাছ থেকে আমরা কোনো জবাব পাইনি।”
এ ধরনের পরিস্থিতি সাংবাদিকদের কাছ থেকে সতর্ক মনোযোগের দাবিদার। কেননা আপনি যদি সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির কাছ থেকে কোনো মন্তব্য সংগ্রহ করতে না পারেন তাহলে আপনার হাতে একেবারে নির্ভুল তথ্য থাকা ছাড়া আর কোনো বিকল্প থাকে না।”
৬. বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভগুলো খুঁজুন।
প্রোপাবলিকার দলটি ধারাবাহিক এই প্রতিবেদন তৈরির সময় কংগ্রেস এবং বিচার বিভাগীয় আর্কাইভসহ (অভিলেখাগার) অসংখ্য সংরক্ষণাগারের নথি ঘেঁটে দেখেছেন।
ইউনিভার্সিটি আর্কাইভগুলো হচ্ছে অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য অমূল্য সম্পদ। এখানে বিখ্যাত ও জনপ্রিয় অনেক ব্যক্তির কর্মজীবনের তথ্য জমা থাকে। ধারাবাহিক প্রতিবেদনটি তৈরির আগে এ অনুসন্ধানী দল হার্ভার্ড ল স্কুলের গ্রন্থাগারে যান।
সেখানে আছে সাবেক বিচারপতি আন্তোনিন স্কালিয়ার সংগ্রহ।
কাপলান বলেন, ২০১৬ সালে স্কালিয়ার মৃত্যুর পর তার প্রায় সব কিছুই হার্ভার্ড ল স্কুল লাইব্রেরিতে দান করা হয়। স্কালিয়ার আর্কাইভের অনেক অংশ সিল করা আছে , তবে আলোকচিত্রগুলো সিল করা হয়নি।
তিনি বলেন,“কিছু ছবির পেছনে থাকা দুর্বল হাতের লেখা থেকে স্কালিয়াকে আলাস্কা ভ্রমণে নিয়ে গিয়েছিলেন এমন লোকেদের আমরা চিনতে শুরু করি। একসময় আমরা অ্যালিটোকে খুঁজে পাই”।
কাপলান আরও বলেন, “বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভে সাবেক বা বর্তমান কর্মকর্তাদের তথ্য আছে কিনা তা খুঁজুন, হতে পারে আপনিই প্রথম প্রতিবেদক যিনি প্রথম এ তথ্যগুলোতে চোখ বোলাচ্ছেন। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর কাছে সোনার খনি থাকতে পারে।”
জনগুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়েছেন, সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আর্কাইভ খুঁজুন। এমনও হতে পারে কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে ওই ব্যক্তির দীর্ঘমেয়াদী সম্পর্ক আছে। হয়তো তিনি ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাপনা করছেন।
৭. প্রমাণ খুঁজতে আদালতের নথি দেখুন, এই নথি সবার জন্য উন্মুক্ত হওয়ার কথা।
আপনি হয়তো কোনো সরকারি কর্মকর্তার ব্যক্তিগত যোগাযোগ সম্পর্কে খোঁজ করছেন। এমনও হতে পারে, তথ্য প্রকাশের কোনো আইনগত বাধ্যবাধকতা তাঁর জন্য প্রযোজ্য নয়। এক্ষেত্রে আদালতের মামলার নথিগুলো দেখুন।
কখনও কখনও বিচারক মামলার নথি উন্মুক্ত করায় নিষেধাজ্ঞা দিয়ে থাকেন। যদি তা না করে থাকেন তাহলে এই নথি জনগণের জন্য উন্মুক্ত।
আগেই বলেছি থমাসের পালক পুত্র বেসরকারি যে স্কুলে পড়তো সেটির যাবতীয় খরচা মেটাতেন ক্রো। আদালতের নথি থেকে বেরিয়ে আসে এই স্কুল ঋণখেলাপির দায়ে অভিযুক্ত ছিল এবং পরবর্তীতে তাদের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়।
কিন্তু ফেডারেল আদালতে আর্থিক বিবরণী দাখিলের জন্য তারা বাড়তি সময় পেয়েছিল। রিপোর্টাররা পাবলিক এক্সেস টু কোর্ট ইলেক্ট্রনিক রেকর্ডস সিস্টেম বা পেসারে (আদালতের অনলাইন নথি) এর মধ্যে ওই বিবরণীগুলো খুঁজে পান।
এলিয়ট বলেন, “যাঁরা আদালতে নথি জমা দিচ্ছিলেন, তাঁরা ক্রমশ অসাবধানী হয়ে উঠছিলেন। সংবেদনশীল তথ্য বাদ দিতে ভুলে যাচ্ছিলেন তাঁরা। নথি ঘাঁটতে গিয়ে আমরা একটা কাগজ পেয়ে যাই। ওই কাগজটি ছিল মূলত ক্রোর প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুলে টাকা পাঠানোর রশিদ।”
২০০৯ সালের জুলাইয়ে “ক্রোর প্রতিষ্ঠান থেকে স্কুলে ৬ হাজার ২০০ ডলার পাঠানো হয়, যা স্কুলের মাসিক বেতনের পরিমাণকে ছাড়িয়ে যায়” বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করেন রিপোর্টাররা।
এই ধারাবাহিকের অন্য প্রতিবেদনগুলো পড়ুন,
Clarence Thomas and the Billionaire
Clarence Thomas Had a Child in Private School. Harlan Crow Paid the Tuition.
Clarence Thomas Secretly Participated in Koch Network Donor Events
A ‘Delicate Matter’: Clarence Thomas’ Private Complaints About Money Sparked Fears He Would Resign
The Judiciary Has Policed Itself for Decades. It Doesn’t Work.
এ নিবন্ধটি প্রথম প্রকাশ করা হয় দ্য জার্নালিস্ট’স রিসোর্স-এ । তাদের অনুমতি নিয়ে এখানে পুনঃপ্রকাশ করা হয়েছে।
ক্লার্ক মেরেফিল্ড ২০১৯ সালে দ্যা জার্নালিস্ট রিসোর্সে যোগ দেওয়ার আগে নিউজউইক ও দ্যা ডেইলি বিস্টে গবেষক হিসেবে কর্মরত ছিলেন। গ্রেট রেসেশনের ওপর তিনটি বই লিখেছেন তিনি। কাজ করেছেন, কেন্দ্রীয় সরকার যোগাযোগ কৌশলবিদ হিসেবে। জন জে কলেজ অব ক্রিমিনাল জাস্টিসে তিনি কিশোর অপরাধ ও নির্জন কারাবাস বিষয়ক ফেলোশিপে অংশ নেন। তাঁর প্রতিবেদনকে ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টার্স অ্যান্ড এডিটরস পুরস্কৃত করেছে।