প্রবেশগম্যতা সেটিংস

Image: Screenshot, Siraj

লেখাপত্র

বিষয়

সিরিয়া থেকে ইউরোপে ফসফেট পাচার অনুসন্ধান

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

reporting sanctions phosphate smuggling

ছবি: স্ক্রিনশট, সিরাজ

সিরিয়াব্যাপী ছড়িয়ে পড়া গণ আন্দোলনের এক দশকেরও বেশি সময় পেরিয়ে গেছে, যা সহিংস উপায়ে দমন করেছিল প্রেসিডেন্ট বাশার আল আসাদের সরকার। যুদ্ধের বিস্তার ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় প্রেসিডেন্ট, তার অনুসারী এবং সরকার, সেনাবাহিনী ও সরকারপন্থী সশস্ত্র বাহিনীর সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে কঠোর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।

এই নিষেধাজ্ঞা (বিশেষ করে ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও যুক্তরাষ্ট্রের আরোপ করা নিষেধাজ্ঞা) সিরিয়ার সঙ্গে বাণিজ্যকে ব্যাপকভাবে প্রভাবিত করেছিল এবং তা মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী কিছু পক্ষকে শাস্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে কার্যকর বলে মনে হয়েছিল।

তবে সময়ের সঙ্গে সঙ্গে নিষেধাজ্ঞা এড়ানোও সহজ হয়ে উঠতে পারে। এমন একটি উদাহরণ: রপ্তানির সঙ্গে জড়িত ব্যক্তি ও কোম্পানির বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও সিরীয় ফসফেট কীভাবে ইউরোপীয় বাজারে জায়গা করে নিচ্ছে, তা নিয়ে সিরিয়ান ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিং ফর অ্যাকাউন্টিবিলিটি জার্নালিজম (সিরাজ) ও অংশীদারদের এই সাম্প্রতিক অনুসন্ধান। উল্লেখ্য, ফসফেট হলো সার তৈরির অপরিহার্য উপাদান, যা মূলত এক ধরনের পাললিক শিলা এবং ফসফরাসের প্রাকৃতিক উৎস।

আবিষ্কার ও সাফল্য

সিরীয় সাংবাদিক মোহাম্মদ বাসিকি গত পাঁচ বছর যাবৎ ফ্রান্সে বাস করছেন। ২০১১ সালের বিক্ষোভের আগে তিনি সিরিয়ায় একজন রিপোর্টার ও সম্পাদক হিসেবে কাজ করতেন। এরপর তিনি দেশ ছাড়েন এবং যুদ্ধ নিয়ে লেখালেখিতে মনোনিবেশ করেন। অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় সিরীয়দের প্রশিক্ষণ ও উৎসাহ দিতে তিনি সিরিয়ার কয়েকজন সাংবাদিকদের সঙ্গে সিরাজ গড়ে তোলেন।

Mohammed Bassiki profile image

সিরীয় সাংবাদিক ও সিরাজের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মদ বাসিকি। ছবি: স্ক্রিনশট, টুইটার

নির্বাসনে থেকেও বাসিকি প্রায়ই যুদ্ধ-বিধ্বস্ত সিরিয়ায় চলমান অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডে নজর রাখতেন। আগে তিনি অর্থনীতি বিষয়ক প্রতিবেদক ছিলেন, এবং বিশেষ করে সরকারি নীতি নিয়ে কাজ করতেন।

বাসিকি বলেছেন, “যুদ্ধ চলাকালে সবসময় সিরীয় সরকারের সিদ্ধান্ত ও জারিকৃত আদেশে আমার নজর ছিল।” “এই সরকার আইন ও সিদ্ধান্ত জারি করায় সিদ্ধহস্ত যা দেখতে ভালো মনে হলেও, বাস্তবে প্রচুর দুর্নীতি, শোষণ ও আইন লঙ্ঘনের কারণ।”

একটি খবরে বাসিকির চোখ আটকে যায়। সেটি হলো: ৫০ বছরের এক চুক্তির অধীনে স্ট্রয়ট্রান্সগাজ লজিস্টিক নামের (যার সঙ্গে মার্কিন নিষেধাজ্ঞাভুক্ত রুশ কোম্পানি স্ট্রয়ট্রান্সগাজ-এর যথেষ্ট মিল আছে) একটি কোম্পানিকে পালমিরা শহরের কাছে অবস্থিত সিরিয়ার বৃহত্তম ফসফেট খনি থেকে বিক্রয়-রাজস্বের ৭০% অধিকার দেয়া হয়েছে। ২০১৮ সালের এই চুক্তিতে অবশিষ্ট ৩০% পায় মার্কিন-নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সিরিয়ার তেল মন্ত্রণালয়ের অধীন রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন একটি কোম্পানি।

২০১৯ সালে তিনি নজর দেন তারতুস বন্দরের বিবরণীতে। সিরিয়ার যে দুটি কন্টেইনার টার্মিনাল আছে তার একটি এখানে এবং এটি রাশিয়ার জন্যেও কৌশলগত ও ভূ-রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ। তারতুসের নথিপত্রে তিনি কিছুটা অস্বাভাবিকতা দেখতে পান।

“বিবরণীতে কয়েকটি সন্দেহজনক নৌ-যান আমার চোখে পড়ে,” তিনি বলেন। “বিবরণীতে জাহাজের নাম ছিল, তাদের [সনাক্তকরণ নম্বর] এবং বহনকৃত বা বহন করা হবে এমন পণ্যের ধরনও উল্লেখ ছিল, তবে বাদ বাকি সব তথ্য ছিল অস্পষ্ট।”

জাহাজের গন্তব্য বা বন্দরে পৌঁছানোর তারিখ প্রকাশ না করা, সেই সঙ্গে আরও কয়েকটি অস্পষ্ট তথ্য সন্দেহের উদ্রেক করেছিল।

বাসিকি এই ঘটনা নিয়ে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেন এবং অর্গানাইজড ক্রাইম অ্যান্ড করাপশন রিপোর্টিং প্রজেক্টের (ওসিসিআরপি) কাছে স্টোরিটি প্রস্তাব করেন। ওসিসিআরপি পরে এই অনুসন্ধানে অংশীদার হয়।

reporting sanction phosphate smuggling

ওপেন সোর্স অনুসন্ধানী সাংবাদিক বাশার দীব (মাঝে) লাইটহাউস রিপোর্টস অফিসে স্টোরির কাজ করছেন। ছবি: শার্লট আলফ্রেডের সৌজন্যে, লাইটহাউস রিপোর্টস

স্টোরিটিতে প্রাথমিক লিড ছিল দুটি – ইউক্রেন ও রোমানিয়া; এই দেশ দুটিই ফসফেট বহনকারী জাহাজের প্রধান গন্তব্য বলে মনে হয়েছিল। তবে বাসিকি ও তাঁর দল কোনো কূল-কিনারা করতে পারছিলেন না। সিরাজ, এমন অবস্থায় জিআইজেএনের সদস্য লাইটহাউস রিপোর্টসের যোগাযোগ করে। নেদারল্যান্ডস-ভিত্তিক অলাভজনক প্রতিষ্ঠানটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় নিত্যনতুন কৌশল নিয়ে কাজ করে। এরপর থেকেই সব বদলাতে শুরু করে। 

লাইটহাউস রিপোর্টস অনুসন্ধানটির সম্ভাবনা অনুধাবন করতে পেরেছিল। জ্যেষ্ঠ সম্পাদক শার্লট আলফ্রেড ও ওপেন সোর্স অনুসন্ধানী সাংবাদিক বাশার দীব স্টোরিতে সহযোগিতা করেছেন।

প্রকাশ্যে লেনদেনের কথা উল্লেখ করে আলফ্রেড বলেছেন, “এতগুলো নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত সংস্থার সম্পৃক্ততা থাকায় আমাদের কাছে বিষয়টি বেশ বিস্ময়কর মনে হয়েছিল। এটি কি ইউরোপের কোনো ‘ডার্টি সিক্রেট,’ নাকি পুরোপুরি বৈধ, আর জড়িত সবাই কি অপরাধ থেকে দূরে থাকতে পেরেছেন?”

শনাক্তকরণ ও অনুসরণ

লাইটহাউস রিপোর্টস, দলটিকে ডেটা বিশ্লেষণ ও ওপেন সোর্স কৌশল দিয়ে সহায়তা করেছে। বিশেষ করে দীব, নিউজ স্টোরি ও সামাজিক মাধ্যম পোস্টের মাধ্যমে তারতুস বন্দরের ছবিগুলো সার্চ করেছিলেন। কয়েকটি সামুদ্রিক ট্র্যাকিং সাইট ব্যবহার করে দীব প্রমাণ করেছেন যে, জাহাজগুলো সিরিয়া থেকে ইউরোপের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যেত, তারপর ফসফেট বোঝাই করতে সিরিয়ায় যাওয়ার আগে সেগুলোর স্বয়ংক্রিয় সনাক্তকরণ ব্যবস্থা (এআইএস) বন্ধ করে দিত। ফসফেট আমদানিকারক দেশগুলো সম্পর্কে নিশ্চিত হতে দলটি জাতিসংঘের কমট্রেড ও ইউরোস্ট্যাট ডেটাবেস থেকে তথ্য নিয়েছিল। অনুসন্ধানজুড়ে ওসিসিআরপি অনুসন্ধানী দলটিকে ডেটা ভাগাভাগির নিরাপদ প্ল্যাটফর্ম যোগান দিয়েছে।

Oleg Oganov photo

ইউক্রেনীয় সাংবাদিক ওলেগ ওগানভের নিজ শহর মাইকোলাইভে রুশ বোমাবর্ষণ চলাকালে স্টোরিটির সত্যাসত্য যাচাই করেছেন। ছবি: শার্লট আলফ্রেডের সৌজন্যে, লাইটহাউস রিপোর্টস

গবেষণার অগ্রগতির সঙ্গে সঙ্গে দলটি বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত নতুন নতুন দেশের খোঁজ শুরু করেছিল, আর নতুন দেশ পেলে সেখানকার সাংবাদিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল। ইউক্রেন, রোমানিয়া, সার্বিয়া ও ইতালির অংশীদারদের সম্পৃক্ততায় স্টোরিটি শেষ হয়। ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ইউক্রেনে দলটির অংশীদার মিকোলাইভ সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ রিপোর্টিংয়ের ওলেগ ওগানভ যখন এই রিপোর্টের কাজ করছিলেন, তখন তাঁর নিজ শহরে রুশ বোমা হামলা চলছিল।

অনুসন্ধানে দেখা যায়, ইউরোপে সিরীয় ফসফেটের শীর্ষ ক্রেতা-দেশ সার্বিয়া, আমদানি করা ফসফেট পৌঁছেছে কৃষ্ণ সাগরের কনস্টান্টার মতো রোমানিয় বন্দরগুলোর মাধ্যমে; সেই ফসফেট সিরিয়া থেকে সরাসরি বুলগেরিয়া, ইতালি ও ইউক্রেনে পাঠানো হয়েছে।

সিরীয় সরকারের রোষানল থেকে বাঁচতে সিরিয়ায় সোর্স ও সাংবাদিকদের জন্য বাসিকিকে কেবল সিগন্যালের মতো নিরাপদ নেটওয়ার্কের মাধ্যমে স্থানীয় প্রতিবেদক ও নাগরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে হয়েছিল। তারা ফোন নম্বর ও ইমেইল নিয়মিত পরিবর্তন করেন এবং কল রেকর্ডগুলো বেশ কয়েকটি জায়গায় সংরক্ষিত রাখেন।

ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের মাধ্যমে সিরিয়ায় ফসফেটের গতিবিধি অনুসরণ করা হয়। প্রায়ই রাশিয়ার সরকার সমর্থক এবং সৈন্যেরা সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি শেয়ার করেন, ফসফেট পরিবহন বা রুশ কোম্পানির জন্য কাজ করার কথা বড়াই করে বলেন, যেখান থেকে অনেক দরকারি তথ্য জানা যায়।

“এই স্টোরিটি ওপেন সোর্স নেটওয়ার্কের গুরুত্ব তৃুলে ধরে,” বাসিকি বলেন। “কোনো স্থান থেকে নথি পেতে, বা রাশিয়ার মন্ত্রণালয় ও যে কোনো স্থানে কোনো বার্তা পাঠাতে আপনাকে সবসময় সবচেয়ে কঠিন জায়গার কথা ভাবতে হবে না৷ এর অনেক সহজ পদ্ধতি আছে, এটি তার একটি উদাহরণ।”

এই বাণিজ্যের সঙ্গে কতিপয় ব্যক্তির সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে হলেও তাদের ভূমিকা সরকারি রেকর্ড বা নথি দিয়ে প্রতিষ্ঠা করা যায়নি।

এছাড়া বেশিরভাগ দেশ বিস্তারিত কাস্টমস তথ্য প্রকাশ করে না। এই অনুসন্ধানের সঙ্গে জড়িত বিশ্বের ২৯টির দেশের মধ্যে একমাত্র ইউক্রেন এই পর্যায়ের তথ্য প্রকাশ করে, এবং রুশ আগ্রাসনের পর থেকে আমদানি ও রপ্তানি পরিমাণ কমে গেলেও দেশটি তা চালিয়ে যাচ্ছে। তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করে একমাত্র বুলগেরিয়া থেকে তথ্য পাওয়া গেছে।

আলফ্রেড বলেছেন, “তথ্যগুলোর জন্য সত্যিই আমাদের প্রতিটি রুটে চেষ্টা চালাতে হয়েছিল। আমরা যখন কাস্টমস ডেটা পেয়েছি, আপনার হয়ত মনে হবে যে আমরা স্টোরির শেষ প্রান্তে চলে এসেছি, আপনি জানতে পারবেন, কারা সিরিয়া থেকে ফসফেট রপ্তানি করেছে আর কারা সেগুলো দেশে আমদানি করেছে, তবে এখানেই শেষ নয়। এগুলো কেবল সম্মুখসারির সংস্থা, তাই আমরা তখনও জানতাম না, শেষ পর্যন্ত কারা এই ফসফেটগুলো কিনছে।”

“চূড়ান্ত গ্রাহকের” খোঁজ পেতে দলটি অনেক সময় এই শিল্পখাতের অভ্যন্তরীন ব্যক্তিদের পরামর্শের ওপর ভরসা করেছিল। পরবর্তীতে তাদেরকে আরও গবেষণা বা কোম্পানিগুলোর সাক্ষাৎকার নিয়ে নিশ্চিত হতে হয়েছে৷

নিষেধাজ্ঞা এড়ানো

রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের ঘনিষ্ঠ এক অলিগার্কের মালিকানাধীন রুশ কোম্পানি স্ট্রয়ট্রান্সগাজ, সিরিয়ায় ফসফেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িত থাকার কথা অস্বীকার করেছে। তারা আরও দাবি করেছে, তিনটি রাষ্ট্রীয় মালিকানাধীন সিরীয় সার কারখানা পরিচালনাকারী সংস্থা স্ট্রয়ট্রান্সগাজ ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের সঙ্গে তাদের নামের মিল থাকলেও এটি একটি স্বতন্ত্র আইনি সত্তা, যাদের সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। দলটির পরিচালিত গবেষণায় উঠে এসেছে, স্ট্রয়ট্রান্সগাজ, স্ট্রয়ট্রান্সগাজ ইঞ্জিনিয়ারিং, ও স্ট্রয়ট্রান্সগাজ লজিস্টিক-এ একই নামের একাধিক জ্যেষ্ঠ কর্মচারী ছিলেন এবং দামেস্কে তিনটি কোম্পানির ঠিকানা একই। তবে, তিনটি কোম্পানিই আইনগতভাবে ভিন্ন সত্তা এবং স্ট্রয়ট্রান্সগাজকে লক্ষ্য করে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা অন্যদের জন্য প্রযোজ্য নয়।

সাংবাদিকদের কাছে আরেকটি বিস্ময়কর দিক হলো, প্রকাশ্যে সিরীয় সরকারের সমালোচনায় মুখর দেশগুলোই এই সরকারের সঙ্গে পর্দার আড়ালে বাণিজ্য করেছে।

“তারা যাদের নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে, তাদেরকেই সমর্থন করছে,” বাসিকি বলেছেন।

আলফ্রেড আরও বলেছেন, বিশ্বে ফসফেটের চাহিদা এই বাণিজ্যের পেছনের কারণ তুলে ধরতে পারে। সিরীয় ফসফেটের মান ভালো, আর অন্যান্য উৎসের তুলনায় অনেক সস্তা।

কেন এটি গুরুত্বপূর্ণ

স্টোরিটি ড্যাফনে কারুয়ানা গালিজিয়া প্রাইজ ফর জার্নালিজমের চূড়ান্ত তালিকায় ছিল, এবং অনুসন্ধানটি প্রকাশিত হওয়ার সপ্তাহখানেক পর যুক্তরাজ্যইউরোপীয় ইউনিয়ন ফসফেট বাণিজ্যের সঙ্গে জড়িতদের সহ সিরিয়ার কোম্পানিগুলোর উপর নিষেধাজ্ঞা বাড়িয়েছে।

বাসিকির মতে, এই অনুসন্ধানে উঠে এসেছে, কীভাবে যুদ্ধের প্রভাব ও নিষেধাজ্ঞা নিয়ে অনুসন্ধান চালানো একটি দীর্ঘ প্রক্রিয়া হতে পারে, তবে এটি এখনও গুরুত্বপূর্ণ। “এই স্টোরিতে আমি বলতে পেরেছি যে সিরিয়ার স্টোরি এখনও প্রাসঙ্গিক, আর সিরিয়া থেকে সেই শক্তিশালী স্টোরিগুলো আসতে থাকবে।”

আরও পড়ুন

ডাঙায় বসে সাগরে থাকা জাহাজ অনুসরণ করবেন যেভাবে

ভেনেজুয়েলায় অবৈধ খনির নেটওয়ার্ক যেভাবে উন্মোচিত হলো

লেসন লার্নড ফ্রম সিরিয়ান জার্নালিস্টস ইনভেস্টিগেটিং রাশিয়ান ওয়ার ক্রাইমস


Nader Durgham

নাদের দুর্গাম যুক্তরাজ্য ভিত্তিক একজন সাংবাদিক। তিনি সিরিয়া জুড়ে বৈরুত বন্দরে বিস্ফোরণ, অর্থনৈতিক সংকট এবং রাজনৈতিক ও মানবিক সমস্যাসহ লেবানন ও সিরিয়া নিয়ে সংবাদ করে বৈরুতে ওয়াশিংটন পোস্টের হয়ে দুই বছর কাজ করেছেন। আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অব বৈরুতের একজন স্নাতক হিসেবে তিনি ইউনিভার্সিটি কলেজ, লন্ডনে গণতন্ত্র ও তুলনামূলক রাজনীতিতে স্নাতকোত্তরে অধ্যয়নরত আছেন।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

يبحث الفيلم الوثائقي الذي تنتجه هيئة الإذاعة البريطانية "تحت سماء مسمومة" في تأثير حرق حقول النفط العراقية على المجتمعات المجاورة وعلى البيئة. الصورة: لقطة الشاشة، بي بي سي

কেস স্টাডি

ইরাকি জনগোষ্ঠীর ওপর গ্যাস ফ্লেয়ারিংয়ের প্রভাব যেভাবে উঠে এসেছে বিবিসির অনুসন্ধানে 

২০৩০ সালের মধ্যে সব শীর্ষ তেল কোম্পানি ও অনেক দেশ নিয়মিত গ্যাস ফ্লেয়ারিং বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিলেও ইরাকের মতো দেশগুলোতে এখনও ফ্লেয়ারিং হচ্ছে। এবং এতে পরিবেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি হুমকির মুখে পড়ছে জনস্বাস্থ্য। দক্ষিণ ইরাকে পরিবেশ ও জনস্বাস্থ্যের ওপর গ্যাস ফ্লেয়ারিংয়ের প্রভাব অনুসন্ধান করেছে বিবিসি আরবি সংস্করণের একটি দল। পড়ুন, কীভাবে হয়েছে এই পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানটি।

কেস স্টাডি

নতুন বা নারাজ সোর্সকে কথা বলাবেন যেভাবে

এমন অনেক কর্মকর্তা, ভুক্তভোগী ও সম্ভাব্য হুইসেলব্লোয়ার সোর্স আছেন যারা অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়ে সাহায্য করতে পারেন, কিন্তু রিপোর্টারেরা তাদের নাগাল পান না। কীভাবে তাদের সন্ধান পেতে পারেন এবং কথা বলতে নারাজ— এমন ব্যক্তিদের সাক্ষাৎকার নিতে পারেন, তা নিয়ে কার্যকরী কিছু পরামর্শ পাবেন এই লেখায়।

কেস স্টাডি পরামর্শ ও টুল

ব্রাজিলের রাজনীতি নিয়ে অনুসন্ধান ও ফ্যাক্ট চেকিংয়ের টুল বানান তাই নালন

২০১৫ সালে, ব্রাজিলের বড় এক সংবাদমাধ্যমের চাকরি ছেড়ে নিজেই একটি অনুসন্ধানী ও ফ্যাক্ট চেকিং সংগঠন গড়ে তোলার উদ্যোগ নিয়েছিলেন তাই নালন। এখন তিনি নেতৃত্ব দিচ্ছেন ২০ জনের একটি পুরস্কারজয়ী দলকে। এই লেখায় তিনি জিআইজেএন-কে জানিয়েছেন, ফ্যাক্ট চেকিংয়ের কাজে তাঁরা কোন ধরনের টুলগুলো বেশি ব্যবহার করেন। এর মধ্যে সুপরিচিত অনেক টুল যেমন আছে, তেমনি আছে তাদের নিজেদের বানানো কিছু টুল।

Anna Wolfe Goldsmith Prize Mississippi Today welfare corruption

কেস স্টাডি

কল্যাণ তহবিলের টাকা নিয়ে নয়ছয় যেভাবে উন্মোচিত হলো এক পুরস্কারজয়ী অনুসন্ধানে 

যুক্তরাষ্ট্রের মিসিসিপি রাজ্যে দারিদ্রের হার সবচেয়ে বেশি। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জনকল্যান তহবিলে টাকা দেওয়া হলেও দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে তা সুবিধাবঞ্চিত মানুষদের কাছে পৌঁছায়নি। এ নিয়ে তিন বছর ধরে অনুসন্ধান চালিয়ে এই আর্থিক কেলেঙ্কারি উন্মোচন করেছেন আনা উলফ। জিতেছেন গোল্ডস্মিথ পুরস্কার। পড়ুন, তাঁর এই অনুসন্ধানের নেপথ্যের গল্প।