Firefighters trying to contain a wildfire in Riverside Country in southern California, July 2023. Image: Shutterstock
যৌথ অনুসন্ধানে যেভাবে উন্মোচিত হলো দাবানল দূষণ নথিবদ্ধকরণে দুর্বলতার বিরূপ প্রভাব
অনেকেই হয়তো ফেডারেল ক্লিন এয়ার অ্যাক্টের “এক্সসেপশনাল ইভেন্টস রুল” বা ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধি সম্পর্কে কখনও শোনেনি। ২০২৩ সালে ক্যালিফোর্নিয়া নিউজরুম, মাকরক এবং গার্ডিয়ানের একটি অনুসন্ধানে দেখা গেছে, আমেরিকার ২০টি প্রদেশের ৭০টিরও বেশি কাউন্টি দেশটির এনভায়রনমেন্টাল প্রোটেকশন এজেন্সির (ইপিএ) সরকারী রেকর্ড থেকে দূষণ সম্পর্কিত তথ্য বাদ দিতে এক্সসেপশনাল ইভেন্টস রুল বা ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধি ব্যবহার করেছে।
আইনের এই ফাঁক — ২০০৫ সাল থেকে যার হিসেব পাওয়া যায় — ইপিএর বিভিন্ন পরিসংখ্যান ও নিয়ন্ত্রণমূলক সিদ্ধান্ত থেকে দাবানল বা আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের মতো “প্রাকৃতিক” বা “নিয়ন্ত্রণের বাইরে” কোনো কারণে সৃষ্ট বায়ুদূষণের তথ্যকে মুছে ফেলার সুযোগ করে দেয়।
ডেটায় এমন পরিবর্তন বা সমন্বয়, নিয়ন্ত্রক সংস্থার নেওয়া আইনি সিদ্ধান্তকে প্রভাবিত করতে পারে এবং এতে করে স্থানীয় নিয়ন্ত্রক সংস্থাগুলোর জন্য বায়ুর মান প্রকৃত অবস্থার চেয়ে ভালো ছিল বলে যুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্র তৈরি হয়।
কোনো এক মাস কিংবা একটি এলাকা থেকে কোনো একদিনের দূষণ সম্পর্কিত তথ্য বাদ দেওয়ার পর পরিবর্তনটিকে নেহাতই সামান্য বলে মনে হতে পারে, কিন্তু সেটি পরবর্তীতে সেই সিদ্ধান্তটি স্থানীয় দূষণকারীদের জন্য পরিবেশ সংস্থার কঠোর নিয়ন্ত্রণকে পাশ কাটানোর সুযোগ করে দেয় এবং দূষণের সত্যিকারের স্বাস্থ্যঝুঁকির চিত্রটিকে ঘোলাটে করে তোলে।
আমাদের অনুসন্ধানে উঠে এসেছে দাবানলের তীব্রতা বৃদ্ধির ঘটনা যেহেতু বেড়েছে তাই বায়ুর মানদন্ড নির্দিষ্ট সীমার মধ্যে রাখতে নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধির কথাই বারবার উল্লেখ করতে শুরু করেছে। গত গ্রীষ্মে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্য-পশ্চিম এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলের বেশিরভাগ অংশে দাবানলের ঘটনা বেড়েছে এবং দেখা গেছে এখান থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া কয়েক সপ্তাহ বা এমনকি মাসব্যাপী দূষণকে অস্বাস্থ্যকর পর্যায়ে ঠেলে দিতে পারে।
আইনি এ হাতিয়ারের প্রভাব নিয়ে আমাদের সাংবাদিক দল যাচাইবাছাই শুরু করার আগে, দেশ জুড়ে কোন কোন সংস্থা কী ধরনের ঘটনায় আইনটি সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেছে তা বলতে গিয়ে বিশেষজ্ঞরাও হিসসিম খাচ্ছিলেন।
প্রয়োজনীয় ডেটা ও নথি সংগ্রহ করে এ প্রশ্নের উত্তর খোঁজা, আইনটিকে খোলাসা করা এবং কী পরিণতি ঘটতে পারে, তা নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন তৈরি করতে আমাদের এক বছরেরও বেশি সময় লেগেছে। চূড়ান্ত প্রতিবেদনটি ছিল স্মোক, স্ক্রিনড— চার পর্বের একটি অনুসন্ধানী ধারাবাহিক।
যৌথ অনুসন্ধানে দুইয়ে দুইয়ে চারের বেশিও হয়
আমরা নিজেরা নিজেদেরকেই কয়েকটি প্রশ্ন করার মাধ্যমে ধারাবাহিকটি শুরু করি: দাবানল থেকে সৃষ্ট ধোঁয়া ও দূষণ বিষয়ে মার্কিন পরিবেশ সংস্থাগুলো কী করতে পারে? এবং এর তদারকিতে কারা বা কী ধরনের ব্যবস্থা জড়িত?
প্রতিবেদন তৈরির লক্ষ্যে বেশ কয়েক সপ্তাহ ধরে বিভিন্ন ঘটনা খুঁজে বের করার পর, আমরা দুজন পরস্পরের সঙ্গে একটি বিষয় নিয়ে আলাপ করি, যা বাদবাকি কাজটিকে এগিয়ে দেয়। আমাদের মনে যে চিন্তাগুলো আসে তা হচ্ছে, দাবানলের ধোঁয়া থেকে সৃষ্ট দূষণ নিয়ে সরকার তেমন কিছু করতে পারে না কারণ দাবানল এখনও একটি ব্যতিক্রমী ঘটনা হিসাবে বিবেচিত, যা কোনো নিয়মের অধীনে নয়— এটা নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কী মনে করছেন। আমাদের মধ্যে একজন যখন বলেন যে, ফেডারেল আইনের একটি অংশকে “এক্সসেপশনাল ইভেন্টস রুল” বলা হয় এবং ঠিক সেই মুহুর্তে অন্যজনের মনে পড়ে যায়, ইপিএ ডেটার একটি কলামে “ইভেন্টস ইনক্লুডেড” কথাটি লেখা রয়েছে।
ওই আলাপচারিতার শেষে, আমরা বুঝতে পেরেছিলাম জলবায়ু পরিবর্তনের এই বিশ্বে দাবানলকে ব্যতিক্রমী হিসেবে নয়, নতুন স্বাভাবিক ঘটনা হিসেবে বিবেচনায় নেওয়ার কোনো না কোনো উপায় থাকতে পারে।
এক পর্যায়ে দেখতে পাই, এ অনুসন্ধানের মাধ্যমে আমরা সবাই একই ধরনের তথ্য তুলে ধরতে চাচ্ছি। আমাদের দলের প্রতিটি সদস্যের সুনির্দিষ্ট দক্ষতা ও রিপোর্টিং শক্তির ওপর ভিত্তি করে অনুসন্ধানটি এমন একটি নতুন মোড়ে এসে হাজির হয়, যেখানে এককভাবে পৌঁছানোর কথা আমরা কল্পনাও করতে পারতাম না। আমরা দুজনেই অনুভব করতে শুরু করি, সহযোগিতা শুধু সক্ষমতাকে একত্রিত করে না; কখনও কখনও তা কয়েকগুণ বাড়িয়েও দেয়।
এই ধরনের দলীয় সমন্বয়কে উৎসাহিত করতে আমরা দুজন গুগল ড্রাইভে ডকুমেন্ট রাখা শুরু করি। আমরা ফোল্ডারটির নাম দিয়েছিলাম ”ডেইলি মেসি (এলোমেলো)”, যেখানে আমরা সবাই প্রতিদিনের রিপোর্টিং নোটগুলো টুকে রাখতাম (নিচের গ্রাফিক দেখুন)। তবে নাম, তারিখ, রোজকার কাজের তালিকা, সাক্ষাৎকার, পাবলিক রেকর্ড গবেষণা ও তথ্য যাচাই-বাছাই করা ছাড়া জার্নালটিকে অনেক বেশি সুসংগঠিত করার মতো ঝামেলায় যাইনি।
আমাদের প্রতিদিনের অগোছালো নথির বাইরে, আমরা আমাদের সমস্ত কাজ গুগল ড্রাইভে একটি ফোল্ডার করে রাখি এবং ফাইলগুলো গুছিয়ে রাখতে যতটা সম্ভব নিজেদের বাধ্য করি, যেন আমরা প্রত্যেকেই একে অপরের কাজগুলো দেখতে পারি।
আমাদের একটা নীতি ছিল “একজনের ফেলে দেওয়া জিনিস অন্যের সম্পদ:” একজন প্রতিবেদকের ছোট, তুচ্ছ বিবরণ অন্য প্রতিবেদকের অনুসন্ধানের লুকানো চাবিকাঠি।
আমরা দুজনই এ নীতি অনুসরণ করতাম, তবে আমাদের বৃহত্তর দলের মধ্যেও এটি ছড়িয়ে পড়ে। এর মাঝে আমাদের দলীয় মিটিংয়ে তিনটি ভিন্ন নিউজরুমের চারজন ঝানু সম্পাদককে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, যাদের প্রত্যেকেই ভিন্ন ভিন্ন ক্ষেত্রে বিশেষ দক্ষতাসম্পন্ন। এই সম্পাদকেরা আমাদের প্রতিবেদনগুলো পরীক্ষা করেন, অনুসন্ধানের নতুন ক্ষেত্রগুলো সম্পর্কে দিক নির্দেশনা দেন এবং আমরা যে গল্পগুলো বলতে চেয়েছিলাম, তা বলতে সাহায্য করেন।
আমরা স্থানীয় সাংবাদিকদের সঙ্গে কাজ করি, যারা স্থানীয় সূত্রদের সঙ্গে আমাদের কাজকে সংযুক্ত করতে সাহায্য করেছেন। যেমন মানোলা সেকাইরা, তিনি স্যাক্রামেন্টোর ক্যাপিটাল পাবলিক রেডিওর হয়ে প্রতিবেদন তৈরির সময় পরিবেশের প্রতি সহানুভূতিশীল ও যথাযথ একজন জলবায়ু কর্মীর সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন।
আমাদের সহযোগী দলের মধ্যে আরেকজন ছিলেন ক্যালিফোর্নিয়া নিউজরুমের ডেটা রিপোর্টার এমিলি জেন্টনার, যিনি ক্যালিফোর্নিয়ার এমন একটি এলাকায় বাস করতেন, যেটি “ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধির” প্রভাবগুলো ব্যাখ্যা করার জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
তাছাড়া জেন্টনার ছিলেন আমাদের অনুসন্ধানের ভিজ্যুয়াল গল্প বলার সৃজনশীল শক্তি। অনুসন্ধান নিয়ে ডিলান বার্গিনের সঙ্গে কথা বলার সময় তার ধারণাগুলো স্কেচের মাধ্যমে তুলে ধরেন। এরপর বার্গিন ও জেন্টনার গার্ডিয়ান গ্রাফিক্স টিমের অ্যান্ড্রু উইদারস্পুন ও অন্যদের সঙ্গে এই স্কেচগুলোকে ডিজিটালি রূপান্তরের জন্য কাজ করেন (নীচের ছবিগুলি দেখুন)।
তথ্য অধিকার আইন ও তা অনুসরণ
কয়েকজন ইপিএ বিশেষজ্ঞের পাশাপাশি বায়ুমণ্ডলীয় বিজ্ঞান ও পরিবেশগত আইন ও নীতি বিষয়ক বেশ কয়েকজন বিশেষজ্ঞের সাক্ষাৎকার গ্রহণের পর বিষয়টি পরিস্কার হয়ে যায় যে ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধি ঘিরে আমরা যে তথ্যগুলো চেয়েছিলাম তা সহজে পাওয়া সম্ভব হবে না।
ইপিএতে ব্যতিক্রমী ঘটনার আবেদনগুলো এক জায়গায় ছিল না, বরং তা ইপিএর বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিসে ছড়ানো ছিটানো অবস্থায় ছিল। তাছাড়া ব্যতিক্রমী ঘটনার বিস্তারিত বর্ণনাগুলো ইপিএর আগের যে ডেটা ফাইলে উল্লেখ করা ছিল সেগুলো অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছিল না।
এ পর্যায়ে প্রয়োজনীয় তথ্যের বেশিরভাগই তথ্য অধিকার আইন (ফোয়া) এবং ওপেন-রেকর্ড অনুরোধের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ছাড়া আর কোনো উপায়ও দেখা যাচ্ছিল না।
ফোয়া ভাষা রীতিতে সুনির্দিষ্ট তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠানোর সময় আমাদের গবেষণা এবং প্রথম দিকে নেওয়া সাক্ষাৎকারগুলো কাজে লাগে। তবে ঘন্টার পর ঘন্টা সময় নিয়ে অনুরোধগুলো লেখার পরও কিছু জটিলতা থেকেই গিয়েছিল।
প্রথমত, আমরা বুঝতে পারি তথ্য চেয়ে আবেদনের বিপরীতে বেশিরভাগ অঙ্গরাজ্যই তা যাচাই-বাছাই করার জন্য তৃতীয় পক্ষের সঙ্গে চুক্তি করেছে। তাই আমরা প্রতিটি রাজ্যের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ তৃতীয় পক্ষের সবগুলো প্রতিষ্ঠানের কাছে অনুরোধ জানানোর সিদ্ধান্ত নিই, আমাদের আগের অনুরোধগুলোর সঙ্গে আরও ৫০টি অনুরোধ যোগ হয়।
আমরা যে সব তথ্যের ভিত্তিতে অগ্রসর হতে চেয়েছি সে বিষয়ক নির্দিষ্ট ঘটনা আর সময়কালও উল্লেখ করি, এবং কী ঘটছে তা আরও ভালোভাবে বোঝার জন্য রাষ্ট্রীয় সংস্থার কাছে প্রতিনিধি সংস্থাগুলোর যোগাযোগ ইমেইল চেয়ে অনুরোধ করি।
এ আবেদনগুলো করার পর, আমরা ৯০টিরও বেশি ফোয়া এবং রাষ্ট্রীয় ওপেন-রেকর্ডের অনুরোধ করেছিলাম— কাজটি দুজন সাংবাদিকের মাথা ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট।
আমরা দুইটি বিষয়ের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ রাখি: পাবলিক রেকর্ড অফিসারদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ এবং আমাদের যে তথ্যগুলো পাঠানো হচ্ছে তার ওপর ভিত্তি করে নতুন কোনো ফলো-আপ অনুরোধ করতে হবে কিনা। এছাড়া তথ্য চেয়ে অনুরোধ পাঠানোর কাজগুলো আমরা মাকরক প্লাটফর্মের সঙ্গে ভাগ করে নিই, কিছু কিছু সময় মাকরকের মাধ্যমে সিএসভি ফাইলগুলোও আদান-প্রদান করি।
একই সময়ে, আমরা ডকুমেন্টক্লাউড ব্যবহার করে নোট নেওয়া ও নথি সাজানোর একটি উপায় দাঁড় করিয়ে ফেলি। অন্য দুইজন সাংবাদিক, হলি জে. ম্যাকডিড এবং লিন্ডসে শাচনো আমাদের নথিগুলো পর্যালোচনা করতে সাহায্য করেন।
শেষ পর্যন্ত, আমাদের মূল ফোয়া অনুরোধের ফলোআপে আমরা যে অনুরোধগুলো দায়ের করি, সেগুলো সিরিজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশের ভিত্তি হয়ে ওঠে, ব্যবসায়ী গোষ্ঠীগুলো কীভাবে নিয়মটি ব্যবহারের জন্য প্রচার কার্যক্রম চালিয়েছিলেন।
যে কোনো খুঁটিনাটি তুলে ধরতে ভয় পাবেন না
ফোয়া অনুরোধ পাঠোনোর প্রথম দিকে আমরা একজন বিশেষজ্ঞের সঙ্গে আবারো কথা বলি, ব্যতিক্রমী ঘটনার ওপর আমরা আগেই একবার তার সাক্ষাৎকার নিয়েছিলাম। ইপিএর কাছে অনুরোধ পাঠানো নিয়ে তিনি খানিকটা সন্দিহান ছিলেন।
কিন্তু আমরা নানা তথ্য পেতে শুরু করি এবং অচিরেই বিশেষজ্ঞদের তুলনায় আমাদের নিজেদেরই ব্যতিক্রমী ঘটনা সম্পর্কে বেশ ভালো বোঝাপড়া তৈরি হয়। আমাদের মধ্যে উত্তেজনা ও ভয় দুটোই কাজ করতে শুরু করে। বিষয়টিকে নতুনভাবে উপস্থাপনের মানে হচ্ছে, আগের কোনো গবেষক বা তাদের গবেষণা থেকে আমরা আমাদের প্রশ্নের উত্তর খুঁজে পাবো না।
এরপরও আমরা আমাদের মূল বিশেষজ্ঞদের সহযোগিতা নিই, এবং তারা আমাদের তথ্যগুলো যাচাই ও বিশ্লেষণ করেন।
তাছাড়া আমরা তথ্য সংগ্রহের প্রক্রিয়াটিকে ফের যাচাই করি। আর তা করতে আমরা সরকারী সংস্থাগুলোকে অনুরোধ করি, নথির তথ্যগুলো যে তাদের পক্ষ থেকেই পাঠানো হয়েছে এটা যেন তারা ইমেইলের মাধ্যমে আমাদের নিশ্চিত করেন।
আলাদা ডেটা পয়েন্টগুলোকে স্পট-চেক এবং ডেটা সম্পর্কে রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলোকে প্রশ্ন করার মাধ্যমে আমাদের হাতে যে তথ্য আসে তা ব্যবহার করে আমরা ঠিক যেমনটা ভেবেছিলাম সেভাবে গল্পটা বলতে সক্ষম হই। এর মধ্যে শিকাগো ট্রিবিউনের সঙ্গে যৌথভাবে আমরা যে প্রতিবেদনটি তৈরি করি, তা হচ্ছে কীভাবে মিডওয়েস্টের রাষ্ট্রীয় সংস্থাগুলো একত্রিত হয়ে আগের যেকোনো আবেদনের চেয়ে আরো জোরালোভাবে ব্যতিক্রমী ঘটনার বিপরীতে আবেদন করতে পারে এবং সেখানে একাধিক রাজ্যকে অন্তর্ভুক্ত করতে পারে।
শেষ পর্যন্ত আমরা বিশদ পটভূমিতে গল্পটা বলতে সক্ষম হই, কারণ আমরা ছোট খুঁটিনাটি বিষয়গুলো যাচাই করেছি। ঠিক বিপরীতভাবে আমরা ছোট গল্পগুলোও বলতে সক্ষম হই। কারণ আমরা বড় প্রেক্ষাপটের ওপর ভিত্তি স্থাপন করেছিলাম।
আমরা মনে করি ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধি সম্পর্কে বলার জন্য স্থানীয় আরো অনেক গল্প রয়েছে এবং আমরা চাই, যা কিছু বায়ুর গুণগতমানকে প্রভাবিত করে এমন বিষয়ের ওপর আপনি প্রতিবেদন তৈরি করুন।
সাম্প্রতিক একটি এসইজে ওয়েবিনারে আমরা দেখিয়েছি কীভাবে আমাদের ডেটাসেট ব্যবহার করে আপনি ব্যতিক্রমী ঘটনার ওপর প্রতিবেদন তৈরি করতে পারেন।
আমরা একটি রিপোর্টিং গাইড টিপশিট লিখেছি। এটি আমাদের কর্মপদ্ধতির একটি দীর্ঘ বিবরণ। এছাড়া গিটহাবের রিডমি- তে আমাদের অনুসন্ধান সম্পর্কিত সমস্ত ডেটা প্রকাশিত হয়েছে। আমরা ডকুমেন্টক্লাউডে, ফোয়া অনুরোধের মাধ্যমে ইপিএর বিভিন্ন আঞ্চলিক অফিস থেকে পাওয়া ১৩৮টি ব্যতিক্রমী ঘটনা বিধি সংক্রান্ত নথি প্রকাশ করেছি।
এরপরও ”ক্লিন এয়ার অ্যাক্ট এক্সসেপশনাল ইভেন্টস” সম্পর্কে রিপোর্ট করার ক্ষেত্রে আপনার যদি কোনো প্রশ্ন থাকে, তবে এই নিবন্ধের লেখকদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে বিন্দুমাত্র দ্বিধা করবেন না।
মূল প্রতিবেদনটি এসইজার্নাল এ প্রকাশিত হয়। তাদের অনুমতি নিয়ে এখানে পুনর্মুদ্রিত হয়েছে।
ডিলন বার্গিন মাকরকের ডেটা রিপোর্টার। তিনি তথ্য ও পাবলিক রেকর্ড ব্যবহার করে অনুসন্ধানী প্রতিবেদনকে আরও জোরালো করে তোলেন। বার্গিন ডকুমেন্টিং কোভিড-১৯ দলের সদস্য ছিলেন, এ প্রকল্পটির অর্থায়ন করে মাকরক এবং ব্রাউন ইনস্টিটিউট ফর মিডিয়া ইনোভেশন। এর আগে তিনি সার্চলাইট নিউ মেক্সিকোসহ রিপোর্ট ফর আমেরিকা কর্পসের সদস্য এবং ফুলব্রাইট জার্মানি জার্নালিজম ফেলো ছিলেন। তার সঙ্গে ইমেইলে যোগাযোগ করতে পারেন: dillon@muckrock.com.
মলি পিটারসন টেক্সাস-হেডকোয়ার্টার পাবলিক হেলথ ওয়াচের লস অ্যাঞ্জেলেসভিত্তিক সংবাদদাতা। তিনি ক্যালিফোর্নিয়া নিউজরুম, কেকিউইডি, ডব্লিউডব্লিউএনও এবং অন্যান্য পাবলিক মিডিয়া আউটলেটের হয়ে কতৃপক্ষের জবাবদিহিতার বিষয়টিকে গুরুত্ব দিয়ে জলবায়ু ও স্বাস্থ্যের ওপর প্রতিবেদন তৈরি করেন। সম্প্রতি শহুরে তাপমাত্রা বৃদ্ধি ও কর্মীদের নিরাপত্তা, সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বৃদ্ধি, বন্যা এবং দাবানলের ওপর কাজ করছেন। ক্যালিফোর্নিয়ার একজন আইনজীবী হয়েও তিনি এখনও পর্যন্ত ঠিক বিশ্বাস করে উঠতে পারেন না যে, এতোগুলো পাবলিক রেকর্ডের অনুরোধ জানানোর কাজটি তিনি করতে পেরেছেন। তার সঙ্গে mpeterson@publichealthwatch.org এ যোগাযোগ করতে পারবেন।