জিআইজেএন বুকশেলফ: ২০২১ সালে পড়ার মতো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক ডজন বই
আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:
আমাদের সৌভাগ্য যে, জিআইজেএন-এ কাজের সুবাদে বিশ্বজুড়ে সংবাদমাধ্যমের সাম্প্রতিক অবস্থা ও অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা বিষয়ে বিভিন্ন বই ও প্রতিবেদন আমাদের সামনে আসে। এখানে থাকছে এমন ১২টি সাম্প্রতিক বইয়ের কথা, যেগুলো অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা পড়তে পারেন ২০২১ সালে। কিছুটা হালকা হওয়ার জন্য পড়তে পারেন, এমন একটি উপন্যাসের কথাও থাকছে এখানে, যেটি লিখেছেন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক।
“দ্য মোজো হ্যান্ডবুক: থিওরি টু প্যাক্সিস,” লিখেছেন ইভো বুরাম। ৩৫০ পৃষ্ঠার এই গাইডটি লিখেছেন জিআইজেএন-এর মোজো ওয়ার্কিং কলামের লেখক, ইভো বুরাম। মোবাইলের নানারকম টুল ব্যবহার করে কিভাবে বহুমাত্রিক প্রতিবেদন তৈরি করা যায়, তার একটি ক্র্যাশ কোর্স পাবেন এই গাইডে। এছাড়াও আছে ডকুমেন্টরি-ধাঁচে ভিডিও ফুটেজ ও স্পষ্ট অডিও রেকর্ড, ফোনে সম্পাদনা করা, আকর্ষণীয় কন্টেন্ট তৈরির জন্য মোবাইল স্টোরিটেলিংসহ নানা বিষয়ে প্রয়োজনীয় পরামর্শ।
“এ টেস্ট ফর ট্রাবল,” লিখেছেন অনিরুদ্ধ বাহাল। ২০ বছর আগে, ভারতের কয়েকজন শীর্ষ ক্রিকেটারের ম্যাচ-পাতানো নিয়ে অনুসন্ধান করে বৈশ্বিকভাবে আলোড়ন তুলেছিলেন বাহাল। ভারতের সবচেয়ে জনপ্রিয় এই খেলা পরিচালনার সঙ্গে জড়িত প্রতিষ্ঠানগুলোর মুখোমুখি দাঁড়ানো সহজ কথা নয়। এই কাজের জন্য বাহাল খ্যাতি পেয়েছিলেন “ভারতে স্টিং সাংবাদিকতার জনক” হিসেবে। তাঁর সাম্প্রতিক বই, “এ টেস্ট ফর ট্রাবল” লেখা হয়েছে লকডাউনের মধ্যে। এখানে তিনি নিজের শৈশব থেকে শুরু করে অনুসন্ধানী সংবাদমাধ্যম প্রতিষ্ঠা পর্যন্ত; সব কিছু আলোচনা করেছেন। বাহাল এমন সময়ে জিআইজেএন-এর সদস্য সংগঠন, কোবরাপোস্ট প্রতিষ্ঠা করেন যখন, হিন্দুস্থান টাইমসের মতে, “ক্ষমতার বিপরীতে দাঁড়িয়ে সত্য বলাটা প্রায় ছেড়েই দিয়েছিল গণমাধ্যমগুলো।”
“উই আর বেলিংক্যাট,” লিখেছেন ইলিয়ট হিগিন্স। যখন কোনো সংবাদমাধ্যমই সংবাদ শিরোনামে পরিণত হয়, তখন বুঝে নিতে হবে সেখানে দারুণ কিছু ঘটছে। অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা অনেক দিন ধরেই চোখ রাখছিলেন বেলিংক্যাটের ওপর। তবে সম্প্রতি, রাশিয়ার বিরোধীদলীয় নেতা অ্যালেক্সি নাভালনির ওপর বিষপ্রয়োগের ঘটনায় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবির জড়িত থাকার তথ্য উন্মোচন করে বিশ্বজুড়ে সংবাদ শিরোনামে পরিণত হয়েছে সংগঠনটি। দলটিকে নিয়ে প্রতিষ্ঠাতা ইলিয়ট হিগিন্সের বই, “উই আর বেলিংক্যাট” প্রকাশের জন্যও এটাই ছিল সবচেয়ে ভালো সময়। জিআইজেএন-এ প্রকাশিত বইটির একটি সারসংক্ষেপ পড়ুন এখানে।
“ইউ ডোন্ট বিলং হিয়ার: হাউ থ্রি উইমেন রিরোট দ্য স্টোরি অব ওয়ার,” লিখেছেন এলিজাবেথ বেকার। বিদেশ প্রতিনিধিরা প্রতিদিনের ঘটনা বা একটি অঞ্চলে লম্বা সময় ধরে ঘটে চলা ক্ষমতার পালাবদল যেমন তুলে আনতে পারেন, তেমনি সম্মুখসারি থেকে এমন সব সত্য প্রকাশ করতে পারেন, যা ইতিহাসের ভাষ্যটাকেই বদলে দিতে পারে। সাংবাদিক এলিজাবেথ বেকারের এই বইয়ে স্মরণ করা হয়েছে সেসব নারী সাংবাদিকদের, যারা পুরুষ-আধিপত্যের ছাঁচ ভাঙার জন্য ১৯৭০-এর দশকে কম্বোডিয়ার যুদ্ধ যুদ্ধক্ষেত্রে গিয়েছেন, এবং সেখানে থেকে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা, এবং গণহত্যাকারী খেমার রুজ নেতা পল পটের উত্থানের খবর প্রকাশ করেছেন।
“আনসেইফ ফর স্ক্রুটিনি,” প্রকাশ করেছে দ্য ফরেন পলিসি সেন্টার। এটিকে একটি বইয়ের চেয়ে বরং বড়সড় প্রতিবেদন বলাই ভালো। আর্থিক অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে রিপোর্ট করতে গিয়ে সাংবাদিকরা যেসব চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হন, তা উঠে এসেছে এখানে। আনসেইফ ফর স্ক্রুটিনি-র ভিত্তি হলো গত বছর পরিচালিত একটি জরিপ। তাতে দেখা গেছে: অংশগ্রহণকারীদের ৭১ শতাংশই বলেছেন, আর্থিক অপরাধ ও দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান করতে গিয়ে তারা প্রায়ই কোনো না কোনো হুমকি বা হয়রানির মুখে পড়েছেন। মৌখিক ও লিখিত হুমকি, অনলাইন ট্রলিং; এগুলো ছিল সবচে সাধারণ প্রবণতা। পুরুষদের তুলনায় নারী সাংবাদিকদের মধ্যে এই হয়রানির হার বেশি। সবচে বাজে পরিস্থিতি দেখা গেছে মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকায়। সেখানে জরিপে অংশগ্রহণকারীদের সবাই পেশাগত কাজের জন্য প্রতিহিংসার শিকার হন বলে জানিয়েছেন। এর পরেই ছিল সাবেক সোভিয়েত রিপাবলিকগুলো। সেখানে এমন অভিজ্ঞতার মুখোমুখি হয়েছেন ৮০ শতাংশ অংশগ্রহণকারী।
“ক্লাসরুম ফিফটিন: হাউ দ্য হুভার এফবিআই সেন্সরড দ্য ড্রিমস অব ইনোসেন্ট ওরিগন ফোর্থ গ্রেডার্স,” লিখেছেন পিটার লাউফার ও শিক্ষার্থীরা। বুক অথোরিটির ২০২১ সালে পড়ার মতো ২১টি সেরা সাংবাদিকতার বইয়ের তালিকা দেখতে গিয়ে আমরা কয়েকটি আকর্ষণীয় বইয়ের সন্ধান পেয়েছি। প্রথমটি হলো: ক্লাসরুম ফিফটিন: হাউ দ্য হুভার এফবিআই সেন্সরড দ্য ড্রিমস অব ইনোসেন্ট ওরিগন ফোর্থ গ্রেডার্স। পিটার লাউফারের এই বইটি লেখা হয়েছে ওরিগন ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীদের করা এক অনুসন্ধানকে কেন্দ্র করে। সেই শিক্ষার্থীদেরও উল্লেখ করা হয়েছে লেখক হিসেবে। বইটিতে ব্যাখ্যা করা হয়েছে: পত্রমিতালি করতে চাইছে, এমন ৯ ও ১০ বছর বয়সী শিশুদের ওপর কেমন প্রভাব ফেলেছে বিষাক্ত ম্যাকার্থিইজম। “কমিউনিস্ট প্রোপাগান্ডা”-র ভীতি থেকে, সেই শিশুদের ওপর নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছিল, যেন তারা সোভিয়েত ইউনিয়নের শিশুদের কাছে চিঠি না লেখে। এফবিআই ঘটনাটি তদন্ত করছে – এই খবর প্রকাশ হয়ে যাওয়ার পর ক্লাসের সজ্জন ভূগোল শিক্ষককে ভয়ানক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। কোনো রাখঢাক না করেই, তার ওপর আসতে থাকে একের পর এক আক্রমণ।
“ডার্ক মিরর: এডওয়ার্ড স্নোডেন অ্যান্ড দ্য আমেরিকান সার্ভেইল্যান্স স্টেট,” লিখেছেন বার্টন গেলম্যান। এটিও বাছাই করা হয়েছে বুক অথোরিটির ২০২১ সালের তালিকা থেকে। বইটি লিখেছেন তিনবার পুলিৎজার পুরস্কারজয়ী বার্টন গেলম্যান। ২০১৩ সালে, এডওয়ার্ড স্নোডেন তিন সাংবাদিকের (লরা পোইট্রাস, গ্লেন গ্রীনওয়াল্ড, এবং এই বইয়ের লেখক) হাতে কিছু ফাইল হস্তান্তর করেছিলেন, যেখানে বিস্তারিত বলা হয়েছিল, কিভাবে আমেরিকান সরকার নাগরিকদের ব্যক্তিগত যোগাযোগে হস্তক্ষেপ করতে পারে। মে মাসে প্রকাশিত বইটির রিভিউয়ে একজন লিখেছেন, “এটি এডওয়ার্ড স্নোডেন ও আধুনিক নজরদারিমূলক রাষ্ট্র সম্পর্কে একটি সুস্পষ্ট ভাষ্য”।
“শি সেইড: ব্রেকিং দ্য সেক্সুয়াল হ্যারাসমেন্ট স্টোরি দ্যাট হেল্পড ইগনাইট এ মুভমেন্ট,” লিখেছেন জোডি কান্টর ও মেগান টুহে। এই বইয়ে, পুলিৎজারজয়ী জোডি ক্যান্টর ও মেগান টুহের নিজেদের ভাষ্যে উঠে এসেছে: কিভাবে তারা নিউ ইয়র্ক টাইমসের হয়ে হার্ভি ওয়াইনস্টিনকে নিয়ে অনুসন্ধান করেছেন, এবং যৌন নিপীড়ন ও ধর্ষণের নানা অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে নায়িকা, সাবেক কর্মী ও অন্যান্য সোর্সদের সাক্ষাৎকার নিয়েছেন। বইটি প্রকাশের কয়েক মাস আগে, ২০২০ সালে কারাবন্দী করা হয় ওয়াইনস্টিনকে। ওয়াশিংটন পোস্টের বুক ক্রিটিক কার্লোস লোজাদা এই বইটিকে বর্ণনা করেছেন “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার একটি ক্লাসিক হিসেবে… ‘এটি মি টু যুগের ‘অল দ্য প্রেসিডেন্টস মেন’-এর মতো।”
“দ্য ডেটা জার্নালিজম হ্যান্ডবুক: টুওয়ার্ডস এ ক্রিটিক্যাল ডেটা প্র্যাকটিস,” সম্পাদনা করেছেন লিলিয়ানা বোনেগ্রু ও জোনাথন গ্রে। এই ম্যানুয়ালের দুটি অধ্যায় লিখেছেন জিআইজেএন-এর ইউনিস অউ ও পিনার ডাগ। ইউনিস লিখেছেন টুইটারে #ডিডিজে হ্যাশট্যাগের ব্যবহার নিয়ে। এবং ডাগ লিখেছেন তুরস্কে শ্রমিক মৃত্যুর হিসেব রাখা নিয়ে। ডেটা সাংবাদিকতা ও আধুনিক সাংবাদিকতায় এর ভূমিকা সম্পর্কে এটি একটি আবশ্য পাঠ্য। বইটির ৫০টি অধ্যায় লিখেছেন ডেটা সাংবাদিকতা জগতের শীর্ষ গবেষক ও চর্চাকারীরা। এর প্রথম সংস্করণ বেরোয় প্রায় এক দশক আগে। কিন্তু, সম্পাদকরা ভূমিকায় যেমনটি লিখেছেন, “২০১২ সালের পর থেকে অনেক পরিবর্তন হয়েছে।” সেই পরিবর্তন উঠে এসেছে নতুন সংস্করণে। বইটি বিনামূল্যে ডাউনলোড করতে পারবেন এখান থেকে। এটি সাংবাদিকতার শিক্ষার্থী ও সাংবাদিকদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ টুল হয়ে উঠবে।
“দ্য গোল্ডেন থ্রেড: দ্য কোল্ড ওয়ার অ্যান্ড দ্য মিস্টিরিয়াস ডেথ অব দ্যাগ হ্যামারশোল্ড,” লিখেছেন রবি সোমাইয়া। ১৯৬১ সালে জাতিসঙ্ঘের তৎকালিন মহাসচিব দ্যাগ হ্যামারশোল্ডের মৃত্যু এখনো একটি রহস্য হয়ে আছে। তাঁকে একটি জঙ্গলে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। তৎকালিন উত্তর রোডেশিয়ায় তার বিমান ভূপতিত হয়েছিল। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জন এফ কেনেডি, হ্যামারশোল্ডকে বর্ণনা করেছিলেন “আমাদের শতকের সেরা রাষ্ট্রনায়ক” হিসেবে। মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন একটি শান্তি মিশনে। নিউ ইয়র্ক টাইমসের সাবেক লেখক, রবি সোমাইয়া নতুন সব প্রমাণ ও জবানবন্দি ঘেঁটে তলিয়ে দেখতে চেয়েছেন ঘটনাটিকে। যেটি তাঁর ভাষায়, “বিংশ শতাব্দীর শেষ কয়েকটি দারুন অমিমাংসিত রহস্যের অন্যতম।”
“প্লাটা কোমো কাঞ্চা,” লিখেছেন ক্রিস্টোফার আকোস্তা। পেরু থেকে প্রকাশিত হয়েছে স্প্যানিশ-ভাষার বই, “প্লাটা কোমো কাঞ্চা” (অনুবাদ করলে দাঁড়াবে: “অফুরন্ত অর্থ”)। এই বইয়ে উঠে এসেছে প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী সিজার আকুনা পেরাল্টার ব্যক্তিগত, রাজনৈতিক ও পেশাগত জীবনের বিস্তারিত চিত্র। বইটির উপ-শিরোনাম ছিল: “গোপনীয়তা, সাজা মওকুফ ও সিজার আকুনার সৌভাগ্য”। বোঝাই যায় কেন বইটি ভালোভাবে গ্রহণ করা হয়নি, কেন এটির বিরুদ্ধে আইনি অভিযোগ উঠেছে এবং দাবি করা হচ্ছে যেন এটি বাজার থেকে প্রত্যাহার করা হয়। এসব দাবি অবশ্য উড়িয়ে দেওয়া হয়েছে আকোস্তার সাবেক কর্মস্থল, আইপিওয়াইএস-এর পক্ষ থেকে। লিমা-ভিত্তিক ইন্সটিটিউট ফর প্রেস অ্যান্ড সোসাইটি বলেছে, এমন দাবি “মতপ্রকাশের স্বাধীনতার গুরুতর লঙ্ঘন।”
“ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম,” লিখেছেন হুগো ডি ব্রুগ ও পল লাশমার। হ্যান্ডবুকটি লিখেছেন যুক্তরাজ্যের ওয়েস্টমিনিস্টার ইউনিভার্সিটি ও সিটি ইউনিভার্সিটির শিক্ষকরা। বেশ কয়েক বছর ধরে এটি অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য বই হয়ে উঠেছিল। ২০২১ সালের মার্চে প্রকাশিত হয়েছে বইটির তৃতীয় সংস্করণ। এতে উঠে এসেছে “অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার নতুন জগত”, যেখানে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের প্রভাবের ওপর। ইউরোপীয় ইউনিয়নের দুর্নীতি নিয়ে অনুসন্ধান, মালয়েশিয়ায় পরিবেশ বিপর্যয়, এবং চীন, পোল্যান্ড, তুরস্কসহ আরো অনেক জায়গার অনুসন্ধান এখানে নতুন করে যোগ করা হয়েছে। কলম্বিয়া ইউনিভার্সিটির স্টেবাইল সেন্টার ফর ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজমের পরিচালক, শিলা এস করোনেল বলেছেন, বইটিতে “ক্ষমতাবানদের জবাবদিহি করার নতুন নতুন টুল ও পদ্ধতির খোঁজ করা হয়েছে, এবং আন্তসীমান্ত সহযোগিতা ও সুরক্ষার নতুন নতুন মডেলের কথা বর্ণনা করা হয়েছে।”
“ইন দ্য কোম্পানি অব কিলারস,” লিখেছেন ব্রায়ান ক্রিস্টি। নিছক মজা পেতে অনুসন্ধানী সাংবাদিকরা কী পড়েন? কেমন হবে যদি এটি হয় একটি গোয়েন্দা উপন্যাস? যেটি লিখেছেন একজন অনুসন্ধানী সাংবাদিক? এটি ঠিক তেমনই একটি বই। লিখেছেন ন্যাশন্যাল জিওগ্রাফিকের স্পেশাল ইনভেস্টিগেশনের সাবেক প্রধান, ব্রায়ান ক্রিস্টি। তার অনুসন্ধানের কারণে গ্রেপ্তার ও কারাবন্দী হতে হয়েছিল “বণ্যপ্রাণী পাচারের পাবলো এসকোবার” হিসেবে পরিচিত আনসন ওয়াং-কে। বইটির মূল এবং কল্পিত একটি চরিত্র, টম ক্লে। তিনি একজন বণ্যপ্রাণী বিষয়ক অনুসন্ধানী সাংবাদিক। কাজ করেন একটি বিশ্বখ্যাত প্রকৃতি বিষয়ক ম্যাগাজিনের জন্য।
আরো পড়ুন
ডেটা জার্নালিজম বুকস: দ্য জিআইজেএন কালেকশন
ননফিকশন বই লিখছেন? এখানে পুলিৎজারজয়ী বেস্টসেলার লেখকের পরামর্শ পড়ুন
জার্নালিস্টস অ্যান্ড ট্রু ক্রাইম: দ্য বেস্ট ন্যারেটিভ ননফিকশন ক্রাইম বুকস বাই রিপোর্টারস
লরা ডিক্সন জিআইজেএন-এর সহযোগী সম্পাদক এবং ফ্রিল্যান্স সাংবাদিক। তিনি রিপোর্টিং করেছেন কলম্বিয়া, যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকো থেকে। তাঁর প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে দ্য টাইমস, ওয়াশিংটন পোস্ট, দ্য অ্যাটলান্টিকসহ বেশ কিছু পত্রিকায়। আইডব্লিউএমএফ ও পুলিৎজার সেন্টার থেকে তিনি ফেলোশিপ পেয়েছেন। এবং তিনি ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনালের ইয়ং জার্নালিস্টস প্রোগ্রামের অংশ।