প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স: এবছর অনলাইনে, পরের বছর সিডনিতে

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

২০২১ সালে গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। কিন্তু তার বদলে, আগামী ১-৫ নভেম্বর, এটি আয়োজিত হবে অনলাইনে। 

সশরীরে সম্মেলনে অংশ নিতে অপেক্ষা করতে হবে ২০২২ সাল পর্যন্ত। ঐ বছর ১৪-১৮ অক্টোবর, সিডনিতেই সম্মেলন আয়োজনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কজুডিথ নিলসন ইনস্টিটিউট ফর জার্নালিজম অ্যান্ড আইডিয়াজ

জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে আলাপ করে জিআইজেএন ও জেএনআই বুঝতে পেরেছে, এ বছরও আন্তর্জাতিক পরিসরে ভ্রমন পরিস্থিতি স্বাভাবিক অবস্থায় আসবে না, টিকা প্রদানও এতো বিস্তৃত হবে না। ফলে অনেক দেশ থেকেই সাংবাদিকরা অংশ নিতে পারবেন না।  

এবছরের নভেম্বরে, #জিআইজেসি২১ অনুষ্ঠিত হবে অনলাইনে। কিন্তু ২০২২ সালে #জিআইজেসি২২ অনুষ্ঠিত হবে অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে। যোগ দিন আমাদের সাথে!

বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় প্রভাবশালী ভূমিকা রাখে এই বৈশ্বিক সম্মেলন। এখানে নিজ নিজ ক্ষেত্রের সেরা সাংবাদিকরা বিভিন্ন প্যানেল ও, কর্মশালার মাধ্যমে অনুসন্ধানের আধুনিক সব কৌশল, ডেটা বিশ্লেষণ, অনলাইনে গবেষণা, আন্তসীমান্ত সহযোগিতা এবং আরো অনেক বিষয় হাতেকলমে তুলে ধরেন। জিআইজেএনের এসব সম্মেলন থেকে প্রশিক্ষণ পেয়েছেন আট হাজারেরও বেশি সাংবাদিক। এখান থেকে গড়ে উঠেছে অনেক অনুসন্ধানী দল ও অলাভজনক নিউজরুম; জন্ম নিয়েছে বড় বড় সব প্রতিবেদন। 

সর্বশেষ সম্মেলন, জিআইজেসি১৯, অনুষ্ঠিত হয়েছিল ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে, জার্মানির হামবুর্গে। সেখানে ১৩১টি দেশ থেকে অংশ নিয়েছিলেন ১,৭৫০ জন সাংবাদিক। 

এবছরের অনলাইন সম্মেলনে (#জিআইজেসি২১) থাকবে বিভিন্ন আঞ্চলিক প্রোগ্রাম, হাতেকলমে শেখার ওয়ার্কশপ, বিভিন্ন ভাষায় সেগুলোর অনুবাদ, এবং ব্যাপক নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ। উন্নয়নশীল ও উত্তরণশীল দেশগুলোর সাংবাদিকরা যেন এই ভার্চুয়াল ইভেন্টে অংশ নিতে পারেন, তা নিশ্চিত করতে শীগগিরই ফেলোশিপের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে জিআইজেএন। 

এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের জন্য  সহ-আয়োজক হিসেবে জেএনআই অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করতে যাচ্ছে। তাদের আয়োজনে সিডনিতে এমন কর্মসূচিও থাকবে যাতে সাংবাদিকরা সশরীরে ও সরাসরি উপস্থিত থাকতে পারবেন।

অনলাইন ও সিডনি; দুই সম্মেলনের সাম্প্রতিক খবরাখবর পেতে আমাদের ফলো করুন টুইটারে (@gijn@JN_Institute) এবং সাবস্ক্রাইব করুন জিআইজেএন বুলেটিন

সম্মেলনের জন্য অনুদান দিতে বা স্পন্সর হতে আগ্রহী? তাহলে যোগাযোগ করুন এখানে: hello@gijn.org

২০০৩ সালে প্রতিষ্ঠিত গ্লোবাল ইনভেস্টিগেটিভ জার্নালিজম নেটওয়ার্কের সঙ্গে এখন যুক্ত আছে ৮২টি দেশের ২১১টি অলাভজনক সংগঠন। তারা কাজ করছে বিশ্বজুড়ে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার চর্চা বাড়াতে ও শক্তিশালী করতে। ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় সিডনি-ভিত্তিক জুডিথ নিলসন ইনস্টিটিউট। তাদের লক্ষ্য হল: অস্ট্রেলিয়াসহ গোটা বিশ্বে মানসম্পন্ন সাংবাদিকতা ও স্টোরিটেলিংয়ে সমর্থন যোগানো।

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

GIJN এর সদস্যপদ জিআইজেসি২৫

মালয়েশিয়াকিনি: স্বাধীন বার্তাকক্ষ যেভাবে ইটের পর ইট গেঁথে ক্ষমতাবানদের “গলার কাঁটা” হয়ে ওঠে

“মালয়েশিয়াকিনি সবচেয়ে জরুরী কাজটি করেছে। বার্তাকক্ষটি সরাসরি এবং সুস্পষ্টভাবে চ্যালেঞ্জ করেছে ক্ষমতাবানদের কর্তৃত্বকে। সাধারণ মালয়েশিয়ানদের জন্য নিষিদ্ধ বিষয় যেমন জাতি, রাজপরিবার এবং ধর্ম নিয়ে মতামত প্রকাশের একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করেছে।”

অনুসন্ধান পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

নির্বাসিত লোকেদের ওপর রাষ্ট্রের হামলা: ওয়াশিংটন পোস্টের অনুসন্ধানী সিরিজ “দমন নীতির দীর্ঘ হাত” থেকে আমরা যা শিখতে পারি

দ্যা ওয়াশিংটন পোস্টের আন্তর্জাতিক অনুসন্ধানী দল রিপ্রেশন’স লং আর্ম ধারাবাহিকে তুলে ধরেছে, কীভাবে নিজ দেশের সীমানার বাইরে থেকেও নিশানা হচ্ছেন ভিন্ন মতাবলম্বীরা।

প্রতিবেদন প্রকাশ বণ্টন ও প্রচার

সাংবাদিকতায় আস্থা ধরে রাখতে ভ্রাম্যমান অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ কীভাবে কাজ করছে

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতায় এক নতুন মাত্রা যোগ করেছে ভ্রাম্যমান অনুসন্ধানী বার্তাকক্ষ। উত্তর মেসিডোনিয়ায় এমন একটি বার্তাকক্ষ স্থানীয় বাসিন্দাদের আস্থা অর্জন করেছে। তাঁরাই বার্তাকক্ষে ছুটে যাচ্ছেন সাক্ষ্যপ্রমাণ নিয়ে। সম্পৃক্ত হচ্ছেন নিজেরাও।

Toxic Waste Pollution Factory Bank

পরিবেশ ধ্বংসের পেছনে বিনিয়োগ করছে কারা-বিনিয়োগকারীদের খোঁজ করবেন যেভাবে : দ্বিতীয় পর্ব

ব্যবসায়িক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে পরিবেশের ক্ষতি করছে বা দূষণে ভূমিকা রাখছে—সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের এমন অনেক শিল্প প্রতিষ্ঠানকে আর্থিক সহায়তা বা প্রণোদনা দেওয়া হয়ে থাকে। লক্ষ্য, নিজ দেশের প্রাকৃতিক সম্পদ রক্ষা ও যেসব দেশে তাঁরা বিনিয়োগ করছে সেসব দেশের টেকসই উন্নয়ন। অনেক সময় খনিজ উত্তোলন ও বন উজাড় করার কাজেও বিনিয়োগ করে থাকে তারা। আর প্রচারণা চালায় উন্নয়ন বিনিয়োগ বলে। এই নিবন্ধটি পরিবেশ বিষয়ক সাংবাদিকদের জন্য অবশ্যপাঠ্য।