প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

কোভিড-১৯ টিকা ক্রয়ের চুক্তি নিয়ে অনুসন্ধান করবেন যেভাবে

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

ছবি: শাটারস্টক

বিষয়বস্তুর জটিলতার কারণে, কোভিড-১৯ টিকা তৈরি ও সরবরাহ নিয়ে রিপোর্ট করা এমনিতেই চ্যালেঞ্জিং। কাজটি আরো কঠিন করে তুলেছে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের ক্রয়চুক্তিতে গোপনীয়তা।

সরকার থেকে শুরু করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মত প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত, কোভিড-১৯ টিকা কেনার চুক্তিগুলো, পুরোপুরি অথবা আংশিকভাবে গোপন রাখছে। 

এত বাধাবিপত্তির পরও, সাংবাদিকরা টিকা কেনাকাটার চুক্তি সংক্রান্ত তথ্য খুঁজে পাওয়ার নানান রাস্তা বের করেছেন এবং সেগুলো নিয়ে প্রতিবেদন তৈরি করে যাচ্ছেন। তারা শুধু টিকার দাম বা সরবরাহের প্রতিশ্রুতি নিয়েই রিপোর্ট করছেন না, একই সঙ্গে লাইসেন্সিং ও আইনি বাধ্যবাধকতার মত গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোও সামনে আনছেন।

বিশ্বজুড়ে বড় বড় ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো কোভিড সংক্রান্ত কাজের জন্য বিলিয়ন বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করেছে। এটি তাদের জন্য বড় সুফল বয়ে আনবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। গত ২ ফেব্রুয়ারি, এক রিপোর্টে রয়টার্স জানিয়েছে, শুধু ২০২১ সালেই ১৫ বিলিয়ন ডলারের টিকা বিক্রি হবে বলে আশা করছে ফাইজার। এই টাকা কোত্থেকে কোথায় যাচ্ছে, তা অনুসরণ করার জন্য বেশ কিছু তথ্যের উৎস এই লেখায় নিয়ে এসেছে জিআইজেএন।

কোভিড পর্দার পেছনে

কোভিড টিকার ক্রয়চুক্তি নিয়ে কাজ করার সময় মাথায় রাখতে হবে, দুর্নীতির সম্ভাব্য জায়গাগুলো কোথায় এবং টিকা সরবরাহের ক্ষেত্রে কিভাবে পক্ষপাত হয়। 

২০২০ সালের শুরুতে, “কোভিড-১৯: যখন আতশী কাঁচের নিচে সরকারি কেনাকাটা” শিরোনামে একটি রিসোর্স প্রকাশ করেছিল জিআইজেএন। মহামারি সামাল দিতে বিভিন্ন দেশের সরকার ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানগুলো যে বিপুল টাকা খরচ করছে, তা নিয়ে গবেষণা এবং নানারকম দুর্নীতির দিকে নজর রাখার উপায় তুলে ধরা হয় সেই রিসোর্সে।

কিন্তু এখন, কোভিড টিকার বেচাকেনায় স্বচ্ছতার অভাব, উদ্বেগের একটি বড় বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। চুক্তিপত্র প্রকাশ করা হলেও সেখানে মূল তথ্যগুলো প্রায়ই উল্লেখ করা হচ্ছে না। যেমন, প্রতিটি টিকার দাম, সরবরাহের শর্ত, মেধাসত্ত্ব কার – এমন গুরুত্বপূর্ণ সব বিষয় গোপন থাকছে। 

ওয়াশিংটন ভিত্তিক বেসরকারি সংস্থা, ওপেন কন্ট্রাক্টিং পার্টনারশিপ (ওসিপি), এই তথ্য ঘাটতিকে একটি বড় সমস্যা বলে মনে করছে। 

২৯ জানুয়ারি প্রকাশিত এক বিবৃতিতে ওসিপি বলেছে, “চুক্তি ও দাম সংক্রান্ত তথ্য নিয়মিতভাবে প্রকাশ না করলে কোম্পানিগুলো চুক্তির শর্ত নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা পেয়ে যায়। শুধুমাত্র মুক্ত ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়াই পারে প্রতিটি দেশের জন্য ন্যায্য চুক্তির নিশ্চয়তা দিতে, এবং বৈশ্বিক এই সমস্যা সমাধানের জন্য ঐক্যবদ্ধ হওয়ার মতো পরিস্থিতি তৈরি করতে।”

ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল হেলথ ইনিশিয়েটিভের পলিসি অফিসার নাটালি রোডস ১৯ জানুয়ারি প্রকাশিত এক লেখায় বলেছেন, “স্বচ্ছতার বিষয়টি সব কাজের স্বাভাবিক অংশ হওয়া উচিৎ, দৈবাৎ তথ্য ফাঁসের মতো ব্যতিক্রমের উপলক্ষ্য নয়।”

আন্তর্জাতিক কেনাকাটার তথ্য সীমিত

কোভিড-১৯ টিকা কেনাকাটা ও সরবরাহের জন্য গঠিত বৈশ্বিক ব্যবস্থা, কোভ্যাক্স ফ্যাসিলিটির ক্ষেত্রেও স্বচ্ছতার অভাব দেখা গেছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং টিকা নিয়ে কাজ করা দুটি আন্তর্জাতিক সংগঠন, গাভি এবং দ্য কোয়ালিশন ফর এন্ডেমিক প্রিপেয়ার্ডনেস ইনোভেশনের সমর্থনে তৈরি হয়েছে কোভ্যাক্স, যারা নিজেদের, “বিশ্বের সবচে বড় ও বৈচিত্র্যপূর্ণ কোভিড টিকার সমাহার” বলে দাবি করে।

২০২১ সাল নাগাদ ২০০ কোটি টিকা উৎপাদনের লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে কোভ্যাক্স। “মহামারির তীব্র পর্যায়টির দ্রুত অবসান ঘটানোর জন্য এটিই এখন বিশ্বের সবচে আশার জায়গা,” বলছে কোভ্যাক্স। কিন্তু চুক্তির ব্যাপারে তারা বিস্তারিত কোনো তথ্য জানাতে চায় না। কারণ তাদের কর্মকর্তাদের মতে, এসব তথ্য গোপন রাখার কারণে ঝামেলা ছাড়াই চুক্তি করা যাচ্ছে।  

কোভ্যাক্স ও বিভিন্ন দেশের সরকারের ক্রয় করা টিকার তথ্য পাওয়ার জন্য সবচে ভালো উন্মুক্ত জায়গা কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিন মার্কেট ড্যাশবোর্ড। এটি তৈরি করেছে ইউনিসেফ। সংবাদ প্রতিবেদনের মতো উন্মুক্ত সোর্সের ওপর ভিত্তি করে এটি তৈরি করা হয়েছে। এখানে সাধারণত কী পরিমাণ টিকা কেনা হয়েছে সেই তথ্য পাওয়া যায়। কখনো কখনো চুক্তিতে উল্লেখ করা টিকার মূল্যও এখানে দেওয়া থাকে। এখানকার বিভিন্ন লিংক থেকে সেই সংবাদ-সূত্রে যাওয়া যায়, কিন্তু মূল চুক্তিপত্রটি এখানে পাওয়া যায় না। 

তারপরও, এই ড্যাশবোর্ডে সাম্প্রতিক সব তথ্য পাওয়া যায়, এবং দেশ বা উৎপাদনকারী ধরে সার্চ করা যায়। ইউনিসেফের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কোভিড টিকার প্রতি ডোজ বিক্রি হচ্ছে, ২.১৯ থেকে শুরু করে ৪৪ ডলার পর্যন্ত, বিভিন্ন দামে।

কোভ্যাক্সের লক্ষ্য হলো, উন্নত দেশ ও বিভিন্ন দাতা সংগঠন থেকে পাওয়া অনুদান দিয়ে, একশ কোটি ডোজ টিকা কিনে, ৯০টির বেশি নিম্ন ও মধ্য আয়ের দেশে বিতরণ করা। 

স্ক্রিনশট: ইকোনমিস্টের কোভিড-১৯ হেলথ ফান্ডিং ট্র্যাকার। আসল গ্রাফিক্সটি দেখতে ছবিতে ক্লিক করুন।

এই বাবদ কোভ্যাক্স কী পরিমাণ অর্থ পেয়েছে (৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ১৩.৮ বিলিয়ন ডলার) এবং বিতরণ করেছে (৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত ২.৭ বিলিয়ন ডলার), তার হিসেব রাখছে ইকোনোমিস্ট ইন্টেলিজেন্স ইউনিটের কোভিড-১৯ হেলথ ফান্ডিং ট্র্যাকার। আর কোভিড-১৯ সংক্রান্ত নানান চুক্তি এক জায়গায় করেছে ব্লুমবার্গের কোভিড-১৯ ডিলস ট্র্যাকার। 

মহামারি মোকাবিলার জন্য গঠিত তহবিল, এসিটি-এক্সিলারেটরে কী পরিমাণ অর্থ জমা হয়েছে, তার হিসেব রাখছে ডব্লিউএইচও-র এসিটি-এক্সিলারেটর কমিটমেন্ট ট্র্যাকার। কোভ্যাক্সও এই তহবিলের অংশ। 

তবে কোভ্যাক্স বা ইউনিসেফ, কেউই কোনো ক্রয়চুক্তির বিষয়বস্তু প্রকাশ করেনি। ইউনিসেফের এক কর্মকর্তা বলেছেন, “সরবরাহকারীর অনুমতি সাপেক্ষে” চুক্তিগুলোর “প্রাসঙ্গিক বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করবে” সংগঠনটি। ইউনিসেফ যেসব চুক্তির সঙ্গে যুক্ত, সেগুলো হয়তো সংগঠনটির তথ্য উন্মুক্তকরণ নীতিমালার আওতায় আসবে। কিন্তু বেশ কিছু সুরক্ষামূলক ব্যতিক্রমের ঘটনাও দেখা যায়।

জাতীয় পর্যায়ের চুক্তি

ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির সঙ্গে কোনো দেশের সরকারের করা ক্রয়চুক্তির কিছু সম্পাদিত ভার্সন দেখা গেছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপিয় ইউনিয়নে। এগুলো পাওয়া গেছে তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করার মাধ্যমে।

ইউরোপিয় ইউনিয়নে, টিকার মূল্য সংক্রান্ত কিছু প্রাথমিক তথ্য সামনে এসেছিল তথ্য ফাঁসের কারণে। বেলজিয়াম সরকারের এক মন্ত্রী একটি টুইটার পোস্টে বলেছিলেন, ইউরোপিয় কমিশন কত দামে টিকা কেনার জন্য দর কষাকষি করছে। পরবর্তীতে তিনি টুইটটি মুছে দেন।

তথ্য অধিকার আইনে করা বেশ কিছু আবেদন নাকচ হওয়ার পর অভিযোগ দায়ের করেছিল গবেষণা প্রতিষ্ঠান কর্পোরেট ইউরোপ অবজারভেটরি (সিইও)। সেগুলো খুব দ্রুতগতিতে তদন্ত করেছে ইইউ ন্যায়পাল। ইউরোপিয় পার্লামেন্টের সদস্যরাও তদবির করছেন স্বচ্ছতা আরো বাড়ানোর জন্য। এগুলোর ফলে কিউরভ্যাক ও অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে করা দুটি টিকা ক্রয়ের চুক্তি প্রকাশ করা হয়েছে, কোম্পানিগুলোর অনুমতি নিয়ে। কিন্তু দুটিতেই ব্যাপকভাবে তথ্য মুছে দেয়া হয়েছে। র‌্যা

এসব ক্রয়চুক্তির তথ্য খতিয়ে দেখছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যম। কিওরভ্যাকের চুক্তি নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ইউর‌্যাকটিভ। দেখিয়েছে, এই চুক্তিপত্রের “প্রায় এক চতুর্থাংশ” কালি দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে আরো দেখুন সিইও-র বিশ্লেষণঅ্যাস্ট্রাজেনেকার চুক্তি নিয়ে অনুসন্ধান করেছে স্পেনের সিভিও। আর ভক্সইউরোপ লিখেছে: কোভিড টিকার চুক্তি: বিশেষজ্ঞরা বলছেন ইইউর হাত বাঁধা

চুক্তিতে কী আছে?

টিকার প্রতিটি ডোজের মূল্য কত, তা দিয়েই অনেক সংবাদ শিরোনাম হতে পারে। তবে স্বাস্থ্যসেবা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, টিকা কেনাকাটার চুক্তিপত্রে খতিয়ে দেখার মতো আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আছে। 

দাম গোপন করার পরও আরো যেসব বিষয় চুক্তিতে থাকতে পারে: 

  • উৎপাদকদের অর্থনৈতিক ঝুঁকি কমানো।
  • উৎপাদকদের দায়-দায়িত্বের বর্ণনা।
  • টিকা ক্রয় করা পক্ষ সেগুলো অন্য দেশে পাঠাতে পারবে কিনা। 
  • টিকার মেধাসত্ত্ব কার।
  • টিকা তৈরির প্রক্রিয়া সম্পর্কে কার জানার অধিকার আছে। 
  • উল্লেখ থাকতে পারে – সরকারী অর্থায়নে তৈরি টিকার ক্ষেত্রে মেধাসত্ব বা দাম বাড়িয়ে বিক্রির ক্ষমতা, বিশেষ পরিস্থিতিতে, তৃতীয় কোনো পক্ষকে দেয়ার এখতিয়ার সরকারের আছে কিনা।  
  • ঠিকাদারের টিকা সংশ্লিষ্ট ডেটায় সরকারের প্রবেশাধিকার থাকবে কি না। 
  • টিকা সরবরাহের সময়সূচি।
  • চুক্তি পরিপালনে ব্যর্থ হলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের বিষয় আছে কিনা।
  • চুক্তি সম্পর্কিত তথ্য কারা নিয়ন্ত্রণ করবে, ইত্যাদি। 

এ বিষয়ে একাধিক রিপোর্ট করেছে নিউ ইয়র্ক টাইমস। তাদের ২৮ জানুয়ারির এক প্রতিবেদনের শিরোনাম ছিল: সরকারগুলোর গোপনে সাক্ষরিত টিকার চুক্তি: যে বিষয়গুলো তারা গোপন করছে। আই অন গ্লোবাল ট্রান্সপারেন্সিতে প্রকাশিত এই প্রতিবেদনটিও দেখতে পারেন: ট্রান্সপারেন্সি বিকামস এ ক্যাজুয়ালিটি ফর কন্ট্রাক্টস টু বাই কোভিড-১৯ ভ্যাক্সিনস

মার্কিন ক্রয়চুক্তিতে অনেক তথ্য কালি দিয়ে ঢাকা

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে, কোভিড টিকা কেনাকাটার চুক্তিগুলো প্রকাশ করা হয়েছে, গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনেক মুছে দিয়ে। ২০২০ সালের সেপ্টেম্বরে বিষয়টি তুলে ধরা হয়, এনপিআর-এর ফার্মাসিউটিক্যালস প্রতিনিধি সিডনি লুপকিনের প্রতিবেদনে। 

দেশটির টিকা সংক্রান্ত চুক্তি নিয়ে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে ওয়াশিংটন ভিত্তিক এনজিও নলেজ ইকোলজি ইন্টারন্যাশনাল। টিকা সংক্রান্ত এসব চুক্তির হালনাগাদ তথ্য পাওয়ার জন্য দেখতে পারেন কেইআই কন্ট্রাক্টস ডেটাবেজইউএস কোভিড-১৯ কন্ট্রাক্টস স্প্রেডশিট

মজার ব্যাপার হলো, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের সঙ্গে করা কিছু চুক্তির বিষয়ে তথ্য পাওয়া যায় সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের ওয়েবসাইটেও। টিকা উৎপাদনকারীরা এগুলো সেখানে যোগ করেছে। (দেখুন এডগার)

তথ্য সীমিত, তবু টিকা ক্রয়ের চুক্তি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন এনপিআর-এর লুপকিন। অনেক কিছু মুছে দেওয়ার পরও, তিনি চুক্তিপত্র থেকে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য খুঁজে বের করছেন।  

গত নভেম্বরে, ফাইজারের সঙ্গে করা একটি চুক্তির সম্পাদিত ভার্সন প্রকাশিত হওয়ার পর সেটি বিশ্লেষণ করেছিলেন লুপকিন। সেখান থেকে দেখা গেছে: চুক্তিতে “মেধাসত্ত্ব নিয়ে সরকারের অধিকারের বিষয়ে কিছু বলা নেই। যদিও সাধারণত যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় চুক্তিগুলোতে সেটির উল্লেখ থাকে।” জানুয়ারিতে, তিনি আরেকটি রিপোর্টে দেখিয়েছেন: ইমার্জেন্ট বায়োসলিউশনস নামের একটি কোম্পানির সঙ্গে করা চুক্তিতে এমন কিছু শর্ত আছে, যার ফলে সেই কোম্পানির কর্মী ও তাদের পরিবারদের টিকার দেয়ার তালিকায় সামনে আনা যাবে।”

এতো সমস্যার পরও, চুক্তিপত্র ঘেঁটে অনেক বিষয় খুঁজে পাচ্ছেন রিপোর্টাররা। আপনার কাছে টিকা কেনাকাটার চু্ক্তি নিয়ে কোনো খবর থাকলে পাঠিয়ে দিন জিআইজেএন-এর কাছে

আরো পড়ুন

স্বাস্থ্য ও ওষুধ নিয়ে অনুসন্ধানের জিআইজেএন গাইড

দেশ ধরে ধরে বিশ্ব ব্যাংকের কোভিড-১৯ অর্থায়ন ট্র্যাক করবেন যেভাবে

কোভিড-১৯: আপনার জন্য যে ৯টি পরামর্শ দিয়েছেন চীনা সাংবাদিকরা


টবি ম্যাকিনটশ জিআইজেএন রিসোর্স সেন্টারের সিনিয়র পরামর্শক। তিনি ওয়াশিংটন-ভিত্তিক রিপোর্টার ছিলেন এবং ৩৯ বছর ধরে বুমেরাং বিএনএ-এর সম্পাদক হিসেবে কাজ করেছেন।  তিনি অলাভজনক ওয়েবসাইট ফ্রিডমইনফো.ওআরজি-র সম্পাদকের দায়িত্বও পালন করেছেন। টবি আইঅনগ্লোবালট্রান্সপারেন্সি.নেট নামে একটি ব্লগ চালান।

ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সের অধীনে আমাদের লেখা বিনামূল্যে অনলাইন বা প্রিন্টে প্রকাশযোগ্য

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

পরামর্শ ও টুল

তথ্য অধিকার আইনে আবেদন: তথ্য প্রাপ্তির সুযোগ জোরালো করবেন যেভাবে

অনুসন্ধানকে এগিয়ে নিতে অনেক সাংবাদিকই তথ্য অধিকার আইনের (ফোয়া বা আরটিআই) আশ্রয় নেন। পড়ুন, কীভাবে আপনার তথ্য প্রাপ্তির অনুরোধকে পরবর্তী ধাপে উন্নীত করবেন।

Aerial image of luxury villas in France

পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

ফ্রান্সসহ নানা দেশে জমি ও বাড়ি বেচাকেনা যেভাবে অনুসন্ধান করবেন

নিজ দেশে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে অনেকেই জমি বা স্থাবর সম্পত্তি কেনেন ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব অর্থের উৎস ব্যাখ্যা করা যায় না। এবং সেগুলো হতে পারে বড় ধরনের দুর্নীতির ইঙ্গিত। এই লেখায় ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে বিদেশে এমন জমি ও বাড়ি কেনাবেচা নিয়ে অনুসন্ধানের কৌশল।

GIJC21, Investigative Stories to Replicate Around the World

পরামর্শ ও টুল

বিশ্বজুড়ে অনুকরণীয় অনুসন্ধানী প্রতিবেদন

অসাধারণ অনুসন্ধানী প্রতিবেদনের বিষয় যে সবসময় মৌলিক হতে হবে, এমন কোন বাধ্যবাধকতা নেই। কারণ দুর্নীতি, অবৈধ কার্যকলাপ ও ক্ষমতার অপব্যবহারের মত বিষয়গুলোর বৈশিষ্ট্য বিশ্বের প্রায় সবখানেই একরকম। তাই এক দেশে যে অনুসন্ধান হয়েছে, সেটি আপনার দেশেও অনুকরণ করতে পারেন অনায়াসে। এখানে তেমন কয়েকটি অনুসন্ধানী আইডিয়া পাবেন।

পরামর্শ ও টুল

জিআইজেএন বুকশেলফ: ২০২১ সালে পড়ার মতো অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক ডজন বই

অনুসন্ধানী সাংবাদিকতা এমনিতেই পরিশ্রমের কাজ। সাথে নানা রকম টেনশন। আর কাজ করতে করতে ক্লান্ত হয়ে পড়া মগজটাকে বিশ্রাম দিতে আমরা অনেকেই আশ্রয় নিই বই পড়ায়। ভাবছেন কী পড়বেন? জিআইজেএন বুকশেলফ থেকে এখানে অনুসন্ধানী সাংবাদিকতার এক ডজন বইয়ের একটি তালিকা দেয়া হলো, যা ২০২১ সালজুড়ে আপনার বই পড়ার অভ্যাসকে চাঙ্গা রাখবে।