প্রবেশগম্যতা সেটিংস

লেখাপত্র

বিষয়

পল মায়ার্সের মাস্টারক্লাস: মহামারি নিয়ে অনুসন্ধানে অনলাইন গবেষণা 

আর্টিকেলটি পড়ুন এই ভাষায়:

English

জিআইজেএন ওয়েবিনার সিরিজে গুরুত্বপূর্ণ কিছু পরামর্শ দিয়েছেন অনলাইন অনুসন্ধানের বিশেষজ্ঞ পল মায়ার্স। ছবি: নিনা ওয়েইম্যান শুলজ / জিআইজেএন

মে মাসের শেষ দিকে, ব্রিটিশ সরকারের এক জ্যেষ্ঠ পরামর্শক জনসম্মুখে দাবি করেন, তিনি ২০১৯ সালের এক লেখায় করোনাভাইরাসের হুমকি সম্পর্কে সবাইকে সতর্ক করেছিলেন।

তাঁর ব্লগে গিয়ে দেখা যায়, ২০১৯ সালের ৪ মার্চ তিনি যে পোস্ট লিখেছেন, তাতে “করোনাভাইরাস” শব্দটি ছিল।

কিন্তু বিবিসির অনুসন্ধানে বেরিয়ে আসে, আদি ব্লগ পোস্টে “করোনাভাইরাস” নামে কোনো শব্দ ছিল না। তার লেখায় করোনা সতর্কতার অংশটুকু যোগ করা হয়, চলতি বছর ৯ এপ্রিলের পর, যখন এই বৈশ্বিক মহামারি ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।

বিবিসির ইন্টারনেট গবেষণা বিশেষজ্ঞ পল মায়ার্স বলছেন, এখন রিপোর্টাররা চাইলেই সাধারণ কিছু টুল ও কৌশল ব্যবহার করে কোনো পেজের অতীত ইতিহাস জানতে পারেন। যেমন, ওয়েব্যাক মেশিন। এই টুল ব্যবহার করেই তারা জেনেছিলেন, সেই পরামর্শকের মূল লেখাটি প্রকাশের এক বছর পরে সম্পাদনা করা হয়েছিল। এমন আরেকটি টুল হলো: গুগল স্ট্রিট ভিউ। এখান থেকে রিপোর্টাররা দেখে নিতে পারেন, অতীতের কোনো এক সময়ে একটি নির্দিষ্ট জায়গা দেখতে কেমন ছিল।

জিআইজেএন-এর অনলাইন মাস্টারক্লাসে ৯৪টি দেশের প্রায় ৭০০-র বেশি সাংবাদিকের কাছে পল মায়ার্স ব্যাখ্যা করেছেন: কিভাবে এসব ওপেন সোর্স টুল, সিনট্যাক্স ও সার্চ কৌশল ব্যবহার করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত তথ্য, ছবি ও সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট তুলে আনা যায়। এটি ছিল জিআইজেএন ওয়েবিনার সিরিজের দশম পর্ব।

এই ওয়েবিনার সিরিজের সব ভিডিও দেখা যাবে জিআইজেএন-এর ইউটিউব চ্যানেলে। তবে স্বত্ত্ব-জনিত কারণে আমরা এই সেশনটি রেকর্ড করতে পারিনি। এ কারণে সেখান থেকে আসা গুরুত্বপূর্ণ পরামর্শগুলো এই লেখায় সংকলন করেছি। জটিল বা টাকা দিয়ে কিনতে হয় – এমন টুলের বদলে আমরা এখানে তুলে ধরেছি গবেষণার সহজ ও সাধারণ কিছু কৌশল, যা ব্যবহার করে আপনি গুগল বা টুইটারে আরো ভালোভাবে সার্চ করতে পারবেন। এমন আরো টুল ও কৌশল সম্পর্কে জানতে দেখুন জিআইজেএন আর্কাইভ বা মায়ার্সের নিজস্ব ওয়েবসাইট রিসার্চ ক্লিনিক

আমরা কজনইবা জানি, গুগলে সার্চের সময় কোনো শব্দ উদ্ধৃতি চিহ্নের (“”) ভেতরে রাখলে বা শব্দের আগে একটা বিয়োগ (-) চিহ্ন বসালে অনেক অপ্রয়োজনীয় ফলাফল বাদ দেওয়া যায়?  অথবা সার্চের সময় বড় হাতের অক্ষরে “OR” লিখে দুটি শব্দের মাঝে বসিয়ে দিলে কতটা কার্যকর ফলাফল পাওয়া যায়? বা “site:”- এই প্রিফিক্স ব্যবহার করে একটি নির্দিষ্ট ডোমেইনের মধ্য থেকে তথ্য খুঁজে বের করা যায়?

বাস্তবজীবনে মানুষ কিভাবে সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে, তা নিয়ে চিন্তা করার পরামর্শ দিয়েছেন বিবিসি অ্যাকাডেমির ইনভেস্টিগেশন সাপোর্ট প্রজেক্টের প্রধান মায়ার্স। যেমন, অন্য সোশ্যাল মিডিয়ার চেয়ে লোকেশন ট্যাগ করে পোস্ট দেওয়ার প্রবণতা বেশি দেখা যায়, তরুন ইনস্টাগ্রাম ব্যবহারকারীদের মধ্যে। তাই, কোনো ঘটনা ঘটার সময় সেখানে কারা ছিল, তা জানতে ইনস্টাগ্রামে খোঁজ করাটা কাজের হতে পারে, সাংবাদিকদের জন্যে। মায়ার্সের পরামর্শ: একটি নির্দিষ্ট কমিউনিটিতে কোন ধরনের হ্যাশট্যাগ ব্যবহার করা হচ্ছে, তা খুঁজে বের করুন। সেই হ্যাশট্যাগ দিয়ে সার্চ করে আপনি সেই কমিউনিটির অনেক খবর জানতে পারবেন।

৯০ মিনিটের এই সেশনে মায়ার্স বেশ কয়েকটি টুলের কথা বলেছেন। জিআইজেএন-এর সঙ্গে আগের একটি সেশনেও তিনি এমন কিছু টুলের কথা বলেছিলেন। তবে এবার তিনি বেশি গুরুত্ব দিয়েছেন অনলাইনে খোঁজ করার মানসিকতা গড়ে তোলার দিকে। তাঁর মতে: এটিই ইন্টারনেট অনুসন্ধানের মূল বিষয়।

মায়ার্স বলেছেন, “বেশিরভাগ মানুষ গুগলে সার্চ করে সাধারণ ভাষায়। এটিকে কোনো ব্যক্তি হিসেবে বিবেচনা করে। এভাবেও হয়তো কাজ হয়ে যায়। কিন্তু কিছু সময় এটি আপনার প্রশ্ন বুঝতে পুরোপুরি ভুল করে। ফলে আমার মনে হয়, যুক্তি ও বিশেষ কিছু টুলের সাহায্য নিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করাই অনেক ভালো।”

“গুগল জানে না আমাদের কী চাই। কার্যকর সার্চের জন্য, আপনার দরকার হবে সঠিক কিওয়ার্ড ও একটি সুনির্দিষ্ট কৌশল। সার্চ করাটা খুব সহজ। কিন্তু প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুঁজে বের করা কঠিন। প্রতিবার সার্চ করার সময় খেয়াল করুন, আপনি কতগুলো ফলাফল পাচ্ছেন। যদি সার্চ রেজাল্ট অনেক বেশি হয়, তাহলে বুঝবেন: আপনাকে আরো সুনির্দিষ্ট করে সার্চ করতে হবে।”

যুক্তিনির্ভর মানসিকতা গড়ে তোলার কথা বলতে গিয়ে মায়ার্স একটি সার্চের উদাহরণ দিয়েছেন। ধরা যাক, বিখ্যাত হত্যাকাণ্ডগুলো নিয়ে একটি তুলনামূলক বিশ্লেষণ প্রয়োজন আপনার। এজন্য আপনি “কেনেডি” ও “লেনন” (জন এফ কেনেডি ও জন লেনন) লিখে সার্চ দিয়ে বেশ কিছু সাইটের ফলাফল পেয়েছেন। দেখা গেল, সেখানে ব্রিটিশ কোনো ফুটবল দলের খবরসহ নানা অপ্রাসঙ্গিক তথ্যও আছে। কিন্তু আপনি যদি “সিজার” লিখে আরেকটি কিওয়ার্ড সেই সার্চে জুড়ে দেন, তাহলে কাঙিক্ষত অনেক ফলাফল পেয়ে যাবেন। (কারণ তিন ব্যক্তিই হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন।) তখন সার্চ ফলাফলে শুধুই হত্যাকাণ্ড নিয়ে তুলনামূলক লেখাগুলো দেখাবে। “হত্যাকাণ্ড নিয়ে বিশ্লেষণ করে এমন পেইজ ছাড়া অন্য কোথায় এই তিনটা শব্দ একসঙ্গে থাকতে যাবে, বলুন? এখানে আমরা সার্চ করছি আমাদের যুক্তিবোধ দিয়ে। এবং অন্য রকমের ফলাফল পাচ্ছি,” বলেছেন মায়ার্স।

আবার, একটু যুক্তি দিয়ে চিন্তা করলেই দেখা যাবে, সোশ্যাল মিডিয়া থেকে কোনো কিশোর-কিশোরীর তথ্য পেতে টিকটক বা ইনস্টাগ্রাম জাতীয় প্ল্যাটফর্মে যেতে হবে। লিংকডইনে নয়। অন্যদিকে বড় কোনো কোম্পানির প্রধান নির্বাহীর জন্য খোঁজ করতে হবে লিংকডইনে; টিকটক বা ইনস্টাগ্রামে নয়। একইভাবে টুইটারে সার্চের সময় খেয়াল রাখতে হবে: শব্দ সীমাবদ্ধতার কারণে সেখানকার ব্যবহারকারীরা কী ধরনের শব্দ ব্যবহার করেন। যেমন টুইটারে “ইনফরমেশন” শব্দের বদলে সবাই হয়তো সংক্ষেপে “ইনফো” ব্যবহার করেন।

পল মায়ার্সের দেওয়া এমন কিছু পরামর্শ ও টুলের খবর এখানে:

সার্চ ইঞ্জিনে খোঁজাখুঁজি

  • মাথায় রাখুন, গুগল ইন্টারনেটের সবকিছু দেখতে পায় না। সে যেসব ওয়েবপেজ দেখে, তার একটি কপি তৈরি করে নেয়। কিছু পেজ আড়ালে থাকে পেওয়ালের কারণে। কিছু পেজ লুকানো থাকে রোবটস ডট টেক্সট (robots.txt) পেজ দিয়ে।
  • আপনার কী প্রয়োজন, তা চিন্তা করে সার্চ করবেন না। বরং সার্চ করুন সেসব কিওয়ার্ড দিয়ে, যেগুলো কোনো ওয়েবপেজ বা সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে থাকতে পারে।
  • প্রতিটি শব্দের সঙ্গে উদ্ধৃতি চিহ্ন ব্যবহার করে আপনার সার্চকে আরো কেন্দ্রীভূত করতে পারেন। সেটি করলে গুগল শুধু সেই শব্দগুলো ধরেই সার্চ করবে। এগুলোর প্রতিশব্দের দিকে দেখবে না। অথবা কোনো শব্দের আগে বিয়োগ চিহ্ন বসিয়ে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত সার্চ ফলাফল এড়াতে পারেন।
  • দুটি শব্দের মধ্যে বড় হাতের অক্ষরে “OR” লিখে আপনি সার্চের পরিধি কিছুটা বাড়াতে পারেন, অনাকাঙ্খিত ফলাফলকে দূরে রেখে-ই।
  • প্রয়োজনে আপনাকে নির্দিষ্ট একটি সাইটে খোঁজাখুঁজি করতে হতে পারে। সেক্ষেত্রে সেই সাইটের ডোমইনের আগে “site:” প্রিফিক্স যোগ করে সার্চ করতে পারেন। এখানে কোনো স্পেস দেওয়া যাবে না।

  • গুগলের নিজস্ব ট্যাব, টুলস ও অ্যাডভান্সড সার্চ ফাংশনগুলো কাজে লাগাতে পারেন। বিশেষ করে সময়সীমা বেঁধে দেওয়ার অপশনটিকে।
  • স্পষ্টভাবে জানেন, এমন বিষয়গুলো দিয়েই শুরুতে সার্চ করুন। এরপর দেখুন “হয়তো” জাতীয় বিষয়গুলো।
  • ডিলিট করে দেওয়া ওয়েবপেজ, বিশেষভাবে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্ট নিয়ে খুঁজতে পারেন এখানে: archive.org archive.is

  • নির্দিষ্টভাবে পিডিএফ ফাইল খোঁজার ক্ষেত্রে ext:pdf প্রিফিক্স ব্যবহার করে সার্চ করুন। ডিলিট করে দেওয়া নথিপত্র পাওয়ার জন্য সেগুলোর ক্যাশড ভার্সনও খোঁজ করুন। সেই কাগজপত্রে থাকা কোনো অংশ যদি আপনার মনে থাকে, তাহলে সেটিকে উদ্ধৃতি চিহ্নের ভেতরে রেখে সার্চ করুন এবং দেখুন যে, একই কাগজের অন্য কোনো সোর্স থেকেও পাওয়া যায় কিনা।
  • বিং সেসব কাজ করতে পারে, যেগুলো গুগল পারে না। মায়ার্স বলেছেন, “এটি আপনাকে পাখির দৃষ্টি দেবে। দেয়ালের ওপারে থাকা জিনিস দেখতে দেবে।” এখানে আপনি ডোমেইনের পরিবর্তে আইপি অ্যাডড্রেস ধরেও সার্চ করতে পারবেন। যেটি, মায়ার্স বলেছেন, “খুবই কার্যকরী, যদি একই কম্পিউটারে ৫০টি ভিন্ন ভিন্ন ডোমেইন থাকে। কিন্তু গুগল ব্যবহার করেই, সার্চ করার জন্য অনেক দারুন দারুন টুল আছে আমাদের হাতে।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খোঁজ

  • সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মের কন্টেন্ট আপনি বাইরে থেকেও (যেমন: গুগল সার্চ করেও) খুঁজতে পারেন। কিন্তু ভালো হয় যদি নির্দিষ্ট প্ল্যাটফর্মের সার্চ বক্স দিয়ে শুরু করেন। এটি তাদের নিজস্ব ডেটাবেজের সঙ্গে সংযুক্ত। ফলে এখানে অনেক হালনাগাদ সার্চ ফলাফল পাবেন।
  • যখন কোনো ব্যক্তির খোঁজ করবেন, তখন প্রথমে তাদের ইমেইল ঠিকানাটি বের করার চেষ্টা করুন। এখান থেকে আপনি অনেক তথ্য পাবেন। একই সঙ্গে ইমেইল দিয়ে আপনি কারো ইউজার নেম জানতে পারবেন। সেটি ব্যক্তি খোঁজ করার নানা ডেটাবেজে (যেমন Pipl.com) কাজে আসবে।
  • Email-format.com– এই সাইটে গিয়ে কোনো কোম্পানির নাম লিখে সার্চ দিলে হয়তো পেয়ে যেতে পারেন সেখানে কর্মরত ব্যক্তিদের ইমেইল অ্যাডড্রেস। এরপর সেখান থেকে আপনি আপনার প্রয়োজনীয় মানুষদের অ্যাডড্রেস দেখে নিতে পারেন।
  • অনলাইন ম্যাপগুলোতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে দেখা যায় কোনো জায়গার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ। এটি ব্যবহার করে আপনি দেখতে পারেন নির্দিষ্ট একটি জায়গার মানুষ একটি নির্দিষ্ট বিষয় নিয়ে কী কথাবার্তা বলছে। এজন্য সেই জায়গার অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ কপি করে সেটি টুইটারে আনুন। এবং “geocode:” প্রিফিক্স ব্যবহার করে সার্চ করুন। কতটা জায়গাজুড়ে সার্চ করতে চান সেটি নির্দিষ্ট করে দিন। যেমন “1km” (এক কিলোমিটার)।

  • ইউটিউবে সার্চ করুন গুগলের মাধ্যমে। site:youtube.com লিখে বা গুগলের ভিডিও ট্যাবের মাধ্যমে সার্চ করতে পারেন।
  • একেকটি প্ল্যাটফর্মে একেকভাবে সার্চ করতে হয়। সেগুলো মাথায় রাখুন। যেমন ইনস্টাগ্রামে আন্ডারস্কোরের ব্যবহার বেশি হয়। বা হাইফেনের পরিবর্তে বেশ কিছু শব্দ জুড়ে দিয়ে সার্চ করলে ভালো ফলাফল পাওয়া যায়। ইনস্টাগ্রাম থেকে অবশ্য ছবি কপি করা যায় না। তবে ছবিগুলো থেকে কিছু মেটাডেটা পাওয়া যায়, যেটি পরবর্তী খোঁজাখুঁজিতে কাজে লাগতে পারে।
  • ইনস্টাগ্রামে ভালোভাবে সার্চ করার জন্য যে সাইটগুলো কার্যকরী হতে পারে, পিকবাবুন তাদের মধ্যে একটি। এখানে আপনি ইনস্টাগ্রাম ইমেজ কপি করতে পারবেন এবং ফুল সাইজে সেগুলো ওপেন করতে পারবেন।
  • কোন ইনস্টাগ্রাম পোস্ট, টুইটারের মাধ্যমে করা হয়েছে, তা খুঁজে বের করা যায় ইকোসেক দিয়ে।
  • কিছু হ্যাশট্যাগ নির্দিষ্ট কমিউনিটিতেই ব্যবহার হয়। সেগুলো খুঁজে বের করে সেই কমিউনিটির সঙ্গে যুক্ত থাকতে পারেন টুইটারের মাধ্যমে। এসব হ্যাশট্যাগ খুঁজে বের করার জন্য সাহায্য নিতে পারেন এই সাইটের: Hashtagify.me। যেমন, বিমানের কেবিন ক্রুদের জন্য একটি বড় হ্যাশট্যাগ হচ্ছে: #crewlife। টুইটারে আপনি এই হ্যাশট্যাগ দিয়ে সার্চ করলে দেখতে পাবেন এয়ারলাইন সংক্রান্ত ব্যক্তিদের নানা পোস্ট।

  • “Intitle:” প্রিফিক্স ব্যবহার করে সার্চ করলে সেই কিওয়ার্ড শিরোনাম করে সোশ্যাল মিডিয়ায় যা পোস্ট দেওয়া হয়েছে, তা পেয়ে যাবেন।
  • আপনার যদি মনে হয়, ফেসবুকে কোনো পোস্ট এডিট করা হয়েছে, তাহলে তা নিশ্চিত করার জন্য পোস্টের ডান পাশে তিনটি ছোট ডট দেওয়া অংশে ক্লিক করুন এবং ‘এডিট হিস্টরি’ দেখুন। পোস্টটির পূর্ববর্তী কোনো ভার্সন থাকলে তা এখানে দেখতে পাবেন।
  • যদি মনে হয় যে, ফেসবুকে কোনো পোস্ট প্রকাশের সময় পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাহলে পোস্টটির পাশে থাকা ছোট ঘড়ির আইকনে ক্লিক করুন। এখান থেকে জানতে পারবেন পোস্টটি কবে দেওয়া হয়েছিল।

  • টুইটারে অন্য কোনো সাইটের লিংক যোগ করে পোস্ট দেওয়া হয়েছে কিনা, তা জানতে ব্যবহার করুন এই প্রিফিক্স: “url:”। যেমন, অ্যামাজনে মাস্ক বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়ে কেউ পোস্ট দিয়েছে কিনা, জানতে চাইলে সার্চ করুন এভাবে: url:amazon।
  • ফলোয়ারওঙ্ক দিয়ে আপনি টুইটারে মানুষের বায়োগ্রাফি সার্চ করতে পারবেন। এটি দিয়ে আপনি দুইটি আলাদা অ্যাকাউন্টের মিউচুয়াল ফলোয়ার সম্পর্কেও জানতে পারবেন।
  • ফেসবুকের সার্চ ফাংশন ততটা ভালো নয়। কিন্তু এখানে আপনি যে কোনো কিওয়ার্ড দিয়েই সার্চ করতে পারেন। কোম্পানির নাম দিয়েও সার্চ করতে পারেন। ফলে শুরুতে নামধাম জানা না থাকলেও আপনি যে কোনো ব্যক্তির খোঁজ শুরু করতে পারেন।
  • আপলোড করা ছবি থেকে শব্দ ও নম্বরও স্মরণ রাখে ফেসবুক। ফলে গাড়ির রেজিস্ট্রেশন নাম্বার ব্যবহার করেও আপনি সার্চ করতে পারেন।

  • ফেসবুকে নির্ভরযোগ্য অ্যাডভান্সড সার্চের জন্য ব্যবহার করতে পারেন এফবিসার্চগ্রাফ ডট টিপস
  • “মোস্ট রিলেভেন্ট” ফিল্টারের কারণে আপনার সার্চ সীমাবদ্ধ হয়ে পড়লে, গুগলে সার্চ করুন “অ্যাভয়েড দ্য ফিল্টার বাবল” ব্যবহার করে। ফেসবুকে এই সমস্যা সমাধানের জন্য নতুন একটি অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন, যেখানে কোনো ফ্রেন্ড ও ব্যক্তিগত তথ্য নেই। আপনার কুকিও পরিস্কার করুন। এতে এই সমস্যা অনেকখানি এড়াতে পারবেন।
  • সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে সার্চ করার আরেকটি ভালো টুল হলো: সোশ্যাল লিংকস। এটি কাজ করে মাল্টেগো প্রোগ্রামের মধ্যে। মায়ার্স বলেছেন: “এখানে কিছু অর্থ খরচ করতে হয়। কিন্তু এটি দিয়ে আমি অনেক কিছু করেছি। এর মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন সোশ্যাল নেটওয়ার্কে ফেসিয়াল রেকিগনেশন ব্যবহার করেও সার্চ করতে পারবেন। ট্যাগ করা ফটো বা পোস্ট সার্চ করতে পারবেন। ফেসবুক তাদের গ্রাফ সার্চ ফাংশন ব্যবহার করে সার্চ করার সুবিধা বন্ধ করে দেওয়ায় অনেক সাংবাদিকই হতাশ হয়েছেন। কিন্তু আপনি এই গ্রাফ সার্চ করতে পারবেন সোশ্যাল লিংক দিয়ে।”

রোয়ান ফিলিপ জিআইজেএন-এর রিপোর্টার। দক্ষিণ আফ্রিকার সানডে টাইমসে কাজ করেছেন প্রধান প্রতিবেদন হিসেবে। বিদেশী প্রতিনিধি হিসেবে রাজনীতি, দুর্নীতি ও সংঘাত নিয়ে রিপোর্ট করেছেন বিশ্বের দুই ডজনেরও বেশি দেশ থেকে।

লেখাটি পুনঃপ্রকাশ করুন


Material from GIJN’s website is generally available for republication under a Creative Commons Attribution-NonCommercial 4.0 International license. Images usually are published under a different license, so we advise you to use alternatives or contact us regarding permission. Here are our full terms for republication. You must credit the author, link to the original story, and name GIJN as the first publisher. For any queries or to send us a courtesy republication note, write to hello@gijn.org.

পরবর্তী

পরামর্শ ও টুল

সামাজিক মাধ্যমে প্রকাশিত ছবি দেখে বিস্ফোরক শনাক্ত করবেন কীভাবে?

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে অস্ত্র ও বিস্ফোরকের ছবি পোস্ট করার হার বেড়েছে। উন্মুক্ত সূত্র থেকে বিস্ফোরক অস্ত্র শনাক্ত করায় এই ছবিগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালক করে। কিন্তু এই ছবিগুলো থেকে অস্ত্রের ব্যবহার নিয়ে কখনও কখনও অপতথ্যও ছড়ায়।

টিপশীট জলবায়ু পরামর্শ ও টুল

সরকারের জলবায়ু অঙ্গীকার নিয়ে যেভাবে জবাবদিহি আদায় করবেন

জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলার ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক কূটনৈতিক ‍উদ্যোগের কেন্দ্রে রয়েছে বিভিন্ন দেশের করা জাতীয় অঙ্গীকার। আপনার দেশের সরকার কী ধরনের ঐচ্ছিক অঙ্গীকার করেছে? সেখানে উল্লেখ করা প্রতিশ্রুতিগুলো কি তারা রক্ষা করছে? এসব প্রশ্ন ধরে অনুসন্ধান এবং সরকারকে জবাবদিহি করার গুরুত্বপূর্ণ কিছু উপায়-কৌশল ও রিসোর্সের খোঁজ পাবেন এই লেখায়।

পরামর্শ ও টুল সংবাদ ও বিশ্লেষণ

ফেসবুক, টুইটার ও টিকটকের মতো সোশ্যাল মিডিয়া কোম্পানি অনুসন্ধান নিয়ে বিশেষজ্ঞরা যা বললেন

গত এক দশকে সোশ্যাল মিডিয়ার দ্রুতগতির বিবর্তন সমাজের ওপর সুদূরপ্রসারী ও গুরুতর প্রভাব বিস্তার করেছে। এসব প্রভাব নিয়ে কাজ করতে আগ্রহী অনুসন্ধানী সাংবাদিকদের অবশ্যই কোম্পানিগুলোর জটিল ও খুঁটিনাটি বিষয়গুলো বুঝতে হবে এবং প্রতিবেদনের অভিনব অ্যাঙ্গেল নিয়ে গভীরভাবে ভাবতে হবে। ২০২৩ ইন্টারন্যাশনাল জার্নালিজম ফেস্টিভ্যালের একটি আলোচনায় এমনটাই বলেছেন বিশেষজ্ঞরা। পড়ুন সোশ্যাল মিডিয়া নিয়ে অনুসন্ধানের এমন কিছু ভাবনা।

Aerial image of luxury villas in France

পদ্ধতি পরামর্শ ও টুল

ফ্রান্সসহ নানা দেশে জমি ও বাড়ি বেচাকেনা যেভাবে অনুসন্ধান করবেন

নিজ দেশে দুর্নীতি-অনিয়মের মাধ্যমে অর্থ পাচার করে অনেকেই জমি বা স্থাবর সম্পত্তি কেনেন ইউরোপসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। অনেক ক্ষেত্রেই এসব অর্থের উৎস ব্যাখ্যা করা যায় না। এবং সেগুলো হতে পারে বড় ধরনের দুর্নীতির ইঙ্গিত। এই লেখায় ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে বিদেশে এমন জমি ও বাড়ি কেনাবেচা নিয়ে অনুসন্ধানের কৌশল।